"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013

নিয়মিত ঘুরাঘুরি আর আয় উপার্জন

by Md Imran Hasan Hira
"নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন; দুটিই সমানভাবে কিভাবে করা যায়? অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করেন,ট্র্যাকিং করেন। তারা আসলে কিভাবে উপার্জন করেন?"

যদিও প্রশ্নটা শুনতে অনেক সহজ, এখানে অনেকগুলা কিন্তু আছে। পোস্টের দুইটা লাইনকে স্টেরিওটিপিক্যাল পয়েন্ট থেকে বলি

প্রথম পয়েন্ট হলঃ “নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন; দুটিই সমানভাবে কিভাবে করা যায়?”

ঘুরতে টাকা পয়সা লাগে না, এই কথাটা সত্য না। ইউরোপে বেশ কিছু দেশ ঘুরার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরতে কম টাকা লাগে না। ইটালি’র আমালফী কোষ্টের একটা হোটেলের খরচ, কিংবা সান্তরিনি’র নীল সাদা কেভ হাউজ অথবা রোমের কলোশিয়ামের এন্ট্রি টিকেট কোনটাই সস্তা না। আবার এটারও অন্য সাইড আছে। সান্তরিনি’র নীল সাদা কেভ হাউজ এর কাছাকাছি ডরমিটরি হোটেল তুলনামূলক অনেক সস্তা। প্যারিস সিটি সেন্টারের থেকে মেট্রোতে ৩০/৪০মিনিট দূরত্বে হোটেল তুলনামূলক অনেক সস্তা। ঘুরতে গেলে কেউ চারদিন ট্রিপের তিনদিনই হোটেল সুইমিং পুলে কাটায়, কারও কাছে হয়ত ৪/৫ স্টার হোটেলের সুমিং পুলের থেকে রাস্তা ধরে হাঁটতেই ভাল লাগে। কেউ হয়ত চার দিন ট্রিপের প্রতি রাতেই ভাল রেস্টুরেন্টে ডিনার করবে, কেউ হয়ত তিনদিন টার্কিস সস্তা মজার ডোনার খেয়ে একদিন দামী রেস্টুরেন্টে ডিনার করবে। কেউ হয়ত ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এক ঘণ্টার পশ বোট রাইড দিবে, কেউ হয়ত এক হাজার টাকায় পাহাড়ের হাইকিং শেষে পেনিন্সুলাতে বসে সুর্যাস্ত দেখবে।

ট্রাভেল এর সাথে আয় উপার্জনের একটা ভাল সম্পর্ক আছে। কারণ ট্রাভেল এর খরচ তো কাউকে না কাউকে দিতে হবে। বুয়েটীয়ান একজন ১২ হাজার টাকার দুইটা টিউশনি কড়ায়ে মাসে ২৪হাজার টাকা পেলে, সেই টাকায় চাইলে প্রতি মাসেই ট্রিপ দিতে পারবে। বছর শেসে দেশের বাইরেও ট্রিপ কোন ব্যাপার না। এটা করবে, কারণ হলের সীট ভাড়া একেবারেই নগণ্য। কিন্তু সেই একই ছেলেকে যদি আজিমপুরে একটা বাসা নিয়ে থাকতে হত, তাহলে ২৪হাজার টাকার ১০ হাজার টাকা চলে যেত বাসা ভাড়ায়। তখন মাসে মাসে ট্রিপ দেওয়া একটু কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু আবার সেই ছেলেরই যদি অলরেডি ঢাকাতে ফ্যামিলি থাকে, তাইলে আবার বাসা ভাড়া বেচে গেল।

দিনশেষে নিজের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানোর পরে বাজেট থাকলে মানুষ ঘুরাঘুরি করে। কিন্তু এটারও আবার ব্যাতিক্রম আছে। যেমন কিছু কিছু মানুষের ঘুরাঘুরি করাটাই একটা বেসিক চাহিদা। শুনতে কঠিন শুনালেও এই ব্যাপারে উপার্জন ক্লাস বিভাজন জিনিসটা খুব প্রকট। উপার্জন বেশী হলে ঘুরাঘুরির প্যাটার্ন এক রকম হবে। উপার্জন কম হলে রমনা পার্ক ঘুরেই খুশি লাগবে। এই পয়েন্টের সামারি হইল নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন, দুটিই সমানভাবে সবসময়ই করা যায়, কিন্তু ট্রাভেলের পছন্দ আর উপার্জন দুইটা মিলে ফাইনাল কি কি কতোটুকু ঘুরাঘুরি হবে, সেটা ঠিক করে দেয়।

এবার আসি সেকেন্ড পয়েন্টেঃ “অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করেন,ট্র্যাকিং করেন।”

এই লাইনের ভিতরে একটা বিশাল ট্র্যাপ আছে। সেটা হল, শুনা কোথায়, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্ট দেখে কে কোন ক্যাটাগরি’র সেটা অনুমান করা ঠিক না। তার থেকেও বড় কথা হল, সেই পোষ্ট দেখে নিজের সাথে কম্পেয়ার করাও ঠিক না। ট্র্যাপ বলছি কারণ কম্পেয়ার না করতে চাইলেও, আশেপাশে অনেকে করছে, এই জিনিসটা এক ধরনের পিয়ার প্রেশার তৈরী করে। এটা একটা সোশ্যাল স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দেয়। যেই স্ট্যান্ডার্ড এর বেইজ হয়ত ভুল অনুমানের উপর চিন্তা করা। এটার অনেক কারণের মধ্যে কয়েকটা হল

১। ঘুরাঘুরি করতেছে আর ভাল ভাল ছবি দিতেছে মানেই অনেক টাকাপয়সা উপার্জন করতেছে, এমন না।
২। ঘুরাঘুরি করতেছে না মানেই ভাল উপার্জন করতেছে না, এমন না।
৩। ট্যুর দেখে অনেক উপর্জন করে মনে হলেও, সেটা হয়ত শুধু নিজের উপার্জন না। হয়ত ডাবল ইনকাম ফ্যামিলি। আবার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া উপার্জনও হতে পারে।
৪। উত্তরাধিকার সূত্রে যে শুধু উপার্জনই হতে হবে এমনও না। হয়ত বাবা/মা এতটাই এস্টাব্লিষ্টড যে ছেলে মেয়ের উপর নির্ভরতা নাই। হয়ত মাসিক খরচের পিছুটান নাই।
৫। মাসে কি পরিমাণ খরচ হবে, সেটার প্রেডীক্টাবিলিটি কোন শহরে বাস করতেছে সেটার উপর ডিপেন্ড করে। ইউরোপের লাইফস্টাইলে প্রেডীক্টাবল খরচের মধ্যে ট্যুরের প্লান করা সহজ। কিন্তু ঢাকার লাইফস্টাইলে মান্থলি খরচ সবসময় প্রেডীক্টাবল না।

“অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করে” , এই কথাটার “অনেকেই” অংশটা অনেক আপেক্ষিক। এই গ্রুপের যারা মেম্বার, তাদের নেটওয়ার্কও বুয়েটিয়ানদের সাথে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর বুয়েটিয়ানদের বেশিরভাগই তাদের সমসাময়িক অন্যান্যদের থেকে ভাল বেতনের চাকরীতে থাকবে, এটাও স্বাভাবিক। এখন নেটওয়ার্কের বেশিরভাগই যখন নিয়মিত ঘুরাঘুরি করতেছে, সেটাও স্বাভাবিকই লাগা উচিত, কারণ এই স্যাম্পল সেটের বেশিরভাগই উচ্চ উপার্জনশীল ক্লাস ক্যাটাগরি’র, যারা ফাইনানশিয়ালি স্ট্যাবল। ফাইনানশিয়ালি স্ট্যাবিলিটী ব্যাপারটাও হয় নিজের উপার্জন, না হয় জামাই বউ দুইজনের উপার্জন, না হলে উত্তরাধিকার সূত্রের উপার্জন দিয়ে হচ্ছে। ঘুরাঘুরির টাকা তো কোন না কোন গৌরী সেনের পকেট থেকেই দিতে হবে।

সবশেষে বলব, ঘুরাঘুরি হইল একটা লাইফস্টাইল। এই লাইফস্টাইল এর আবার অনেক ছেলেপেলে ক্যাটাগরি আছে – পশ ঘুরাঘুরি, হাইকিং ঘুরাঘুরি, স্ট্রিট ট্রাভেলার ঘুরাঘুরি, রেস্টুরেন্ট ঘুরাঘুরি। সেই ছোট ক্যাটাগরির আবার নাতিপুতি ক্যাটাগরি আছে – পশ গাড়িতে ঘুরাঘুরি, পশ হোটেলে ঘুরাঘুরি, সিরিয়াস হাইকিং ক্যাম্পিং, পাহাড়ে রেগুলার ক্যাম্পিং, স্টুডেন্ট বাজেট ঘুরাঘুরি। সব লাইফস্টাইল লিড করতে ভাল উপার্জন লাগে এমন না। যার ঘুরাঘুরি’র লাইফস্টাইল যত টাকা ডিমান্ড করে, তার সেরকম উপার্জন+সাপোর্ট থাকলেই হবে, এটাই।


Tu hi meri shab he

by Md Imran Hasan Hira

২০০৫ এর কথা, চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হইছি আমরা চট্টগ্রাম নৌবাহিনী স্কুল থেকে ১১ জন। সবার আব্বুর চাকরি নেভী ঘাটীতে হওয়ায় আমাদের সবার বাসাই নেভি স্কুলের আশেপাশে। আলাদা আলাদা যাওয়ার থেকে বন্ধুরা একসাথে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে আমরা পুরো টেম্পুই রিজার্ভ করে ফেলতাম। আমাদের এতগুলা মানুষকে নিয়ে টাইগার পাস এসে টেম্পু আর উঠতে পারতোনা। হঠাত হঠাত দুই একজনকে নেমে হেটে ব্রিজ এর মাঝে পর্যন্ত এসে তারপর আবার টেম্পুতে উঠা লাগত।

কলেজের ক্লাস শেষ করে ফেরার পথে হইত আরেক ঝামেলা। কলেজের সামনে থেকে টেম্পুতে উঠাই প্যারা, তার পর রিজার্ভ তো করাই যাবে না। প্রায়ই আমরা সিএনজি তে সাতজন উঠে পরতাম। সমস্যা করত টাইগার পাস এর ওখানে পুলিশ মামা। এক সিএনজিতে নাকি সাতজন উঠা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধ ঢাকতে এমনভাবে সিটীং এরেঞ্জ করা হইত, যাতে বাইরে থেকে বুঝা না যায় ভিতরে কয়জন বসছে! বন্ধুদের কয়েকজন এর কাছে ছিল সেই সময়কার বিখ্যাত নকিয়া কিংবা বেনকিউ সিমেন্স মোবাইল।

মাঝে মাঝে গনি বেকারী পর্যন্ত হেটে এসে তারপর টেম্পুতে উঠে জামালখান রোডের উপর দিয়ে আজিজ স্টেডিয়াম পার হয়ে লালখান বাজার ইস্পাহানী সার্কেল এঁর সামনে নেমে, সেখানে বাস ধরে আবার নেভি হাসপাতাল গেট। তবে গনি বেকারি থেকে টেম্পু না পাওয়া গেলে শেষ ভরসা হিসেবে জামালখান রোডের পর চেরাগির পাশ দিয়ে ডিসি হিল হয়ে নিউ মার্কেট, সেখান থেকে বাস।

অই সময়টায় এফ এম রেডিও ছিল তুঙ্গে। নিউ মার্কেটের সামনে সব হকার দোকানে এফ এম রেডিও ঝুলত। রেডিও শুনার ঝোঁক ছিল না বিধায় আমি অলওয়েজ এই রেডিওগুলার দিকে তাকায় থাকতাম আর চিন্তা করতাম এইগুলা কারা কিনে! বিভিন্ন আকৃতি আর ডিজাইনে ভরপুর সেই এফএম রেডিওগুলা দেখতে দেখতে রাস্তা পার হয়ে যাইত। আর রাস্তায় রাস্তায় বাসে ঘাটে হাই ভলিউমে চলত এই গান।

আমি বাসায় থাকা অবস্থায় বাসায় ডিশ চ্যানেল ছিলনা। যখন কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে, তখন একটা ভিসিডি প্লেয়ার কিনা হইল। সেই ভিসিডি প্লেয়ার এ দেখার জন্য আব্বু মাঝে মাঝে বাংলা ছায়াছবি’র ডিস্ক ভাড়া করে আনত। সারা জীবন ক্যাসেটে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিকসঙ্গীত, পল্লিগীতি আর সাথে সোলসের কিছু গান শুনা আমি শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের গান শুনার হিড়িকে যোগ দিতে একটা সিডি কিনলাম। আমার প্রথম কেনা সিডি/এম্পিথ্রি – ইমরান হাশমি আর হিমেশ রেশমিয়া’র ৩০০ গানের কম্বিনেশন! সিডি চালু করলেই শুরু হইত এই গান দিয়ে। এত পরিমাণ এই গান শুনা হইছে, এখন এই টিউন শুনলেই মাথার মধ্যে অটোমেটিক প্রায় বিশ বছর আগের স্মৃতিগুলা হিট করে। হলি শুট! এত বছর হয়ে গেছে!


Who has the biggest brain?

by Md Imran Hasan Hira

২০০৭ সালের দিকে ক্রিস্টিয়ান সেগারস্ট্রালে নামের এক লোক প্লে-ফিস নামে একটা কোম্পানি শুরু করে। কো ফাউন্ডার হিসেবে ছিল সেবাস্টিয়ান, সামি আর সুক্রী নামের আরও তিনজন। এদের মেইন আপ্লিকেশন ছিল সোশ্যাল গেম বানানো। একবছরের মাথায় তারা ১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার এঁর ফান্ডিং পায়। এই কোম্পানির বানানো প্রথম গেম হল Who has the Biggest Brain? সেই ২০০৭ /০৮ এ ফেসবুক এর শুরুর দিকের সময়ে, মিলিয়নের উপরে ডেইলি ইউজার নিয়ে এই গেমটি টপ তালিকায় নাম লিখায়। এই রকম পপুলার অবস্থা দেখে, বছরখানে পরে ২০০৯ সালে ইলেক্ট্রনিক্স আর্টস ৪০০ মিলিয়ন ডলারে প্লেফিশ কে একূয়ার করে নেয়। তারপর যা হবার তাই হয়। ২০১৩ সালের মধ্যে প্লেফিশের সব ফাউন্ডাররা কোম্পানি ছেড়ে দেয় এবং এদের বানানোর সব গেমগুলা নামিয়ে ফেলা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে আমরা বুয়েটে ক্লাস শুরু করি। কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট পড়ি। প্রথম সেমিস্টারে আমার কম্পিউটার ছিল না। রুমমেট Tarek ভাই আর Sadik ভাইয়ার কম্পিউটারে বসে বসে সারাদিন গেম খেলি। ব্র্যাকনেটের আগের যুগ, যেটাকে আমরা রুমমেটরা প্রস্তর যুগ বলতাম, গ্যালাক্সি নেট ছিল তখন হলে। ২ কেবিপিএস স্পীড। তাও আবার শেয়ারড। স্পীড নিয়ে কোন সমস্যা হলে গ্যালাক্সি নেটের কর্নধার শীবলী ভাই এসে বলতেন “মানুষজন তো সমানে ডাউনলোড করছে, আপনাদের কি সমস্যা?” যাই হোক, এই স্পীডে ফেসবুকে ফ্লাশ গেম লোড হতে লাগে দশ মিনিট। গেমের নাম সদ্য পপুলার হওয়া Who Has the biggest Brain?

এই খেলায় চারটা ধাপ। প্রতিটা ধাপ এক মিনিট করে। প্রথম ধাপে কিছু বক্স থাকবে, যেগুলা এক নজরে দেখে বলতে হবে কয়টা বক্স আছে। দ্বিতীয় ধাপে কিছু সরল অঙ্ক থাকবে। তৃতীয় ধাপে কিছু ছবি দেখানো হবে, সেগুলার ক্রম ঠিক রেখে মনে রাখতে হবে। আর চতুর্থ ধাপে চলন্ত নাম্বার এঁর বেলুন এ ক্লিক করে ফাটাতে হবে। এঁর মধ্যে আরও দুটো মজার ধাপ ছিল যেখানে দাঁড়িপাল্লার মত করে কোন অবজেক্ট বেশি ভারী বের করতে হয় আর কার্ডের আর একটা। সব ধাপেই যত তাড়াতাড়ি সঠিক উত্তর দিবে, তত বেশি প্রশ্ন আসবে, মানে বেশী স্কোর হবে, আবার ডিফিকাল্টই লেভেলও বাড়বে।

আমি রশীদ হলের ৪০৬ নম্বর রুমে বসে গেম খেলতাম, রুমমেট অমি ছিল, সেও খেলত। অন্য হলে Ashiq Uz Zoha খেলত। আমরা সবাইই মোটামুটি এভারেজ মানের। গেমের ভিতরে র‍্যাঙ্কলিষ্ট ছিল যেখানে বাংলাদেশ কিংবা ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্ক দেখা যাইত। গেমটা এমনই আডীক্টিভ, একবার শুরু করলে কয়েক রাউন্ড না খেলে উঠা যায়না। রিসেন্ট টাইম চিন্তা করলে ফ্ল্যাপি বার্ডের মত আডীক্টিভ ছিল। যাই হোক, একদিন বিকেলে খবর পেলাম, আমাদের পাঁচ তলায় এক ভাইয়া থাকেন, নাম Alif ভাই। উনার নাকি বিগেষ্ট ব্রেইন এ চারপাশের ভিতরে হাইয়েষ্ট স্কোর। আচ্ছা ঠিক করলাম তাইলে উনার কাছ থেকে ট্রেইনিং নিব। আমি আর অমি মিলে উনার রুমে গিয়ে বললাম ভাই গেমপ্লে দেখব। তারপর আলিফ ভাই যেই খেলা দিল, বিশ্বাস করবেন না রাসেল ভাই, উনার রুম থেকে ফিরে আমি আগের থেকে মিনিমাম ২০-৩০% বেশী স্কোর করা শুরু করলাম। ভাই আসলেই লিজেন্ড।

এই রকম খেলতে খেলতে ফার্ষ্ট সেমিস্টার শেষ। আমার উপরে আমার আব্বু আম্মুর অত্যন্ত শক্তপক্ত বিশ্বাস আমি ইলেক্ট্রনিক্স পাইলেই সেটা নষ্ট করি। সেকেন্ড সেমিস্টারে যখন আব্বুর মোটামুটি ভরসা হইছে আমি কম্পিউটার নষ্ট করে ফেলবনা, তখন একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার পাই। এই দিকে আবার CSE102 কোর্সে তখন গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বেইজড প্রোজেক্ট করতে হবে। এতদিন কনসোলের ব্ল্যাক স্ক্রিনে স্টার আর রম্বস প্রিন্ট করতে করতে নাকের পানি চোখের পানি একাকার, OpenGL বেসড প্রোজেক্ট কিভাবে বানাবো! বেশ কিছুদিন চিন্তা করে কোন প্রজেক্ট পাইনা। প্রজেক্ট মাথায় আছে, কিন্তু সাহস পাইনা। রুমমেট অমি সাহস দিল।

শ্রদ্ধেয় Nirjon স্যার এর বানানো iGraphics আমাদের জন্য তখন আশীর্বাদ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই প্রজেক্ট এখনও ডিপার্টেমেন্টে ইউজ হচ্ছে। প্রায়ই প্রাউড হয় যে এরকম স্যারদের ক্লাস পাইছি। স্যার তখন সবে হায়ার স্টাডি’র জন্য বাইরে যাবেন। পরে আমাদের কোর্সে Nusrat ম্যাডাম ছিলেন আমার সুপারভাইজর। গেম বানানো শেষ করে সাবমিশনের দিনের টান টান সাসপেন্স বলে বুঝানো যাবে না। গেম ঠিকমত চলবে কিনা, এইটা সবথেকে বড় টেনশন। এক রাউণ্ড পুরা খেলতে মিনিমাম ছয় সাত মিনিট সময় লাগে। তার উপর গেমে ডিফিকাল্টই লেভেল আছে। প্রথমে ভাল না করলে ডিফিকাল্ট লেভেল আসবে না, না আসলে আমি যে হাই ডিফিকাল্টই লেভেলের জন্য কষ্ট করছি, সেটা ম্যাডামকে দেখানো যাবে না। সাথে কোড দেখানোর জন্য সময় আর সেগুলা নিয়ে প্রশ্ন উত্তরের সময়। সব মিলায়ে টাইট, পার স্টুডেন্ট খুব বেশী সময় থাকবে না ম্যাডামের হাতে। এইগুলা আগে থেকে প্লান করে মজা করে গেমের মধ্যে চিটকোড দেবার অপশন রাখছি যাতে করে দ্রুত এগুলা দেখাতে পারি। প্রোজেক্ট ডেমনস্ট্রেশনের সময় ঠিকই সেই কাহিনী হল, ম্যাডামকে বাকি লেভেল গুলা যাতে দেখাতে পারি, সেজন্য চীটকোড দিতে হল। সমস্যা হল, মজা করে চীটকোড দিয়েছিলাম ম্যাডাম এর ফার্ষ্ট নাম দিয়ে, যেটা পরে চেঞ্জ করা হয়নাই। উনার সামনে যখন সেটা টাইপ করতেছি, তখন মান সম্মান যাবার উপক্রম। মান সম্মানের মাথা খেয়ে গেমের বাকি অংশ দেখালাম। এবং কোর্স শেষে ভাল নম্বর দিয়ে ম্যাডামও মন খুশি করে দিলেন।

এইগুলা ২০০৮ এর অগাস্ট থেকে অক্টোবরের কাহিনী। আজকে বহু বছর পর পুরানো ডিস্ক থেকে হঠাত করে Brain.zip ফাইল খুজে পেয়ে যখন চিন্তা করতেছি এটা ভাইরাস কিনা, তারপর মনে হল, আমি তো লিনাক্সে। যাই একটু আনজিপ করে দেখি কি আছে। খুলে দেখি ওমা! iMain.cpp । ফাইলটা ওপেন করলাম, তারপর কি আর বলব। কোডের দিকে চেয়ে থেকে তারপর কিছুক্ষণ বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করলাম। এই রকম বাজে কোড কোন মানুষ লিখতে পারে, আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। যাই হোক আবেগ সামলে রেখে, গুগল সার্চ দিলাম Windows.h এর ম্যাক বিকল্প কি? এবং যথারীতি আমার মত এই গান্ডু প্রশ্ন যারা আগেও করছে, তাদেরকে ঝাড়ি খেতে দেখে, নতুন সার্চ দিলাম Mac এর wine আছে কিনা। দেখলাম Whisky নামে একটা অ্যাপ আছে, যেটা উইন্ডোজ এর এক্সিউট্যাবল চালাতে পারবে। বেশ কিছুক্ষণ গুঁতাগুঁতি করে ১৬ বছর আগের নিজের বানানো প্রথম গেমের ইন্টারফেস আবার দেখতে পারে আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম। বউ পাশ থেকে জিজ্ঞেস করল কাহিনী কি, বললাম যে বাচ্চাকালের বানানো প্রথম গেম চালাইতে পারছি 😛 তারপর সে আগ্রহ নিয়ে কয়েক রাউণ্ড খেলল 😃

পুরো বুয়েট সময়গুলাতে ল্যাবক্লাসগুলাতেই আমার সবথেকে পছন্দের সময় কাটাইছি। কারণ হয়ত আমি ছোটবেলা থেকেই জিনিসপাতি বানাতে পছন্দ করি। আর ল্যাব ক্লাসগুলাতে এই জিনিসটা প্রাকটিস করা যায় বেশী। যদিও ভার্সিটিতে থাকতে ল্যাবের পেরা/ক্রেডিট রেশিও হাই থাকার কারনে অনেক “সমস্যা” পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ডিপার্ট্মেন্টাল প্রায় প্রতিটা ল্যাবই জীবনের সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে।

Gameplay of windows version running on Mac


Student Housing in Netherlands

by Md Imran Hasan Hira

(Original Writer: Manzurul Haque)

If you are a student and looking for housing in the Netherlands, it is always wise to start as early as possible due to the shortage of housing in the Netherlands. Here are some of the websites which are reliable:

  1. https://kamernet.nl/en (Subscription is required, very reliable, rooms available anywhere in the Netherlands)
  2. https://www.canvas-student.com/why-canvas/ (Subscription not required, very reliable, Rooms in Utrecht city only, limited rooms available every week you have to be the first to book a room)
  3. https://www.xior-booking.com/# (Subscription not required, very reliable, might need a code from your university to book most of the rooms there, please visit website for more information)
  4. The other main point is that every university has a list of websites that they refer to for student housing. Please refer to those. This will vary in respect to the University. As an University in Amsterdam will only recommend housing in Amsterdam area so the list is tailored to university region. If you just google search Housing and your university name if should lead you to a page on how you can manage a housing (E.g Housing Tilburg University)
  5. Some universities also have affiliation with some of the student housing agencies so please try to find information through your university website if they can help you book a room before you arrive to the Netherlands.
  6. Even if it’s recommended except for Kamernet don’t but subscriptions for any other websites as they are useless and they mostly display ads from Kamernet and you will just have to end up buying kamernet subscription in the end to avail the housing.
  7. I am not recommending Funda and Pararius for students, as these websites are free for all but these are not dedicated for students and you will compete with all the Dutch Nationals and International expats, so it’s better to focus in Kamernet with few competition and other student housing which only offers to students.

আমাদের প্রথম সমুদ্র দর্শন আর প্রথম হানিমুন ট্রিপ

by Md Imran Hasan Hira

তখন বিয়ের দুই মাস হয়ে গেছে, হানিমুনে যাওয়া হয়নাই। যাওয়া তো দুরের কথা, কোন প্লানই নাই। একদিকে করোনার লকডাউন অন্যদিকে সামাজিক প্রত্যাশা, এই দুইয়ের চাপাকলে অতিষ্ট হয়ে হয়ে দিন গুনছি কবে লকডাউন শেষ হবে। এরই মধ্যে হঠাত একদিন রাত সাড়ে এগারটায় মনে হইল দুইজন মিলে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া উচিত। এবং পাঁচ মিনিটের মাথায় আমরা ঠিক করলাম যে চট্টগ্রাম যাব।

ঢাকার “কাছেই” অদূর মিরপুর থেকে সব কিছু গুছায়ে এই রাত্রিবেলা চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে কিনা, সেটা চিন্তা করে সারতে পারিনি, দেখি বউ লাগেজ গুছায়ে রেডি। সারাজীবন শুনে আসছি মেয়েরা রেডি হতে নাকি ঘণ্টা পার হয়ে যায়, আর আমার বউ, আইডিয়া আসার দশ মিনিটের আগেই রেডি হয়ে যায়। যাই হউক, ১১:৪০ এ আমরা রুম থেকে বের হয়ে দেখি আব্বু সোফায় বসে টিভি দেখতেছে। আমাকে লাগেজ হাতে নিয়ে বের হতে দেখে মজা করে জিজ্ঞেস করল যে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছি কিনা :p আমি বললাম যে চট্টগ্রাম ঘুরতে যাব। কিছুক্ষনের জন্য তব্দা খেয়ে তারপর আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল, কিভাবে যাব কোন প্লান আছে কিনা। আর আমাদের উত্তর – সায়েদাবাদ গিয়ে যা পাই সেটাতেই চড়ে বসব। আব্বু কিছুক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে তারপর একজনের ফোন নাম্বার দিয়ে বলল এইটা একজন টিকেট ম্যানেজার এর নাম্বার, মিরপুর ১৪ থেকেই তার বাস ছাড়বে, রাত বারটায় লাস্ট বাস। আমরা তাড়াতাড়ি গেলে ধরতে পারব। আমরা দৌড়ায়ে একটা রিক্সা নিয়ে কোনমতে সেই বাস ধরলাম। বাসে উঠেই দুইজন ভাবতেছিলাম জাস্ট আধাঘণ্টা আগেই রুমের বিছানায় বসে ঝিমাচ্ছিলাম, আর এখন ট্রিপের উত্তেজনায় ঘুম গায়েব।

অন্যদিকে যাদের বাসায় যাব, তাদেরকেও বলা হয়নি। এবং সেকথা মনে পড়ছে বাসে উঠার ঘণ্টা দুয়েক পর। রাত দুইটায় সময় বন্ধু রাকিবকে ফোন দিয়ে বললাম আমরা আসতেছি। সে বলে কোথায় আসতেছিস? বললাম যে তোদের বাসায়। তারপর বেচারা বলে “নতুন বউ নিয়া আসবি, আমাদের গুছানোর এক বেলা টাইম তো দিবি”। আমি বললাম, আমরা নিজেরাই জানতাম না যে আমরা আজকে চট্টগ্রাম যাব। বন্ধু আর বন্ধুপত্নীকে এই রকম কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে ওদের উপর অনেক মায়া হচ্ছিল। কিন্তু আমাদেরকে অবাক করে দিয়ে তারা সেই ভোর বেলা বাস স্টেশনে এসে পরেছিল আমাদেরকে রিসিভ করতে।

আমাদের প্লান, দিনের বেলা ঘুরাঘুরি করে রাতের বাসে ঢাকা ফেরত যাব। বাস স্টেশন থেকে সরাসরি চলে গেলাম নেভাল একাডেমী’র রাস্তাটাতে। চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময়টাতে এই রাস্তার পাশে বসে কর্নফুলী’র মোহনার জাহাজ গুনেছি অনেক 😀 যাই হোক, আমরা চারজন চা নিয়ে বসলাম। চা খেতে খেতে কর্নফুলীর উপর দিয়ে সুর্য উঠল। শিরোনামহীনের কথা মেনে সুর্যটাকে খেয়াল রেখে, একটু পর আমরা পতেঙ্গা বীচের দিকে রওয়ানা দিলাম। সকাল সকাল যাওয়ার কারনে পুরা বীচ ফাকা। নিজের মনে করে হাঁটাহাঁটি করলাম। কিছুদূর গিয়ে এক অখাদ্য চা খেয়ে চাওয়ালার গুন নিয়ে কিছুক্ষণ প্রশংসা করলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে দেখি পাশে হাল্কা বেগুনী রঙের কলমী ফুল। সেটা দিয়ে আমরা কিছুক্ষণ ফটোসেশন করে চায়ের স্বাদ উসুল করলাম 😀

দুপুর বেলা বাসায় আসতে আসতে আমি ঘুমে টাল। কিন্তু বাসায় ঢুকে বলি, এ কি! এত পরিপাটী করে বাসা সাজিয়ে রাখছে, দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল। আমাদের জন্য সাজানো রুমটাতে ঢুকে মনে হল, এইটা হানিমুন ট্রিপের রুমের থেকে কোন অংশে কম না 😀 😀 এত অল্প সময়ের মধ্যে খাবার দাবারও রেডি হয়ে গেল। খাওয়া দাওয়া করে ঘণ্টাদুয়েকের ঘুম দিলাম। প্লান হল, উঠে সবাই মিলে ভাটিয়ারী যাব। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে আবার খেয়েদেয়ে বের হতে হতে বিকাল হয়ে গেছে। তাও আমরা আশা ছাড়লাম না। নেভাল একাডেমী’র ভিতরে ছিমছাম জায়গায় হাটাহাটি করলাম। তারপর মেরিন ড্রাইভ এর রাস্তাটার পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রের উপর সুর্যাস্তর আগের দৃশ্য দেখে আমরা বীচে নেমে পরলাম।

দুজনের প্রথম সমুদ্র সৈকতে সুর্যাস্ত দেখা। যতবার সমুদ্রের কাছে এসেছি, সবসময়েই অনেক যুগলদের হাত ধরে হাঁটা দেখে হিংসা হত। মনের ভিতরে পুষে রাখা সেই হিংসা দমানোর সুযোগ পেয়ে আমিতো যারপরনাই আনন্দিত। ভাবছি বউকে বলব, হাত দাও। বউ আমার মনের কথা বুঝতে পেরে নিজেই আমার হাত ধরে হাটা শুরু করল। এমন বউই তো চেয়েছিলাম 😀

আমাদের “হাটাহাটি”র দৃশ্য ধারণ করতে করতে অন্য কাহিনী হল। কাকতালীয়ভাবে ওইদিনই আমাদের চট্টগ্রাম নেভী স্কুলের রিইউনিয়ন ছিল চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে। দৌড়াদৌড়িতে ভুলেই গেছিলাম রিইউনিয়নের কথা। রাকিব মনে করায়ে দিল। সন্ধ্যা হয়ে যাবার পর চলে গেলাম সেখানে। অনেকদিন পর স্কুলমেটদের চেহারা দেখে ভাল লাগল। পোলাপান সবগুলা এখনও আগের মতই আছে। ব্যস্ততার কারনে সবার সাথে সবসময় যোগাযোগ থাকে না। কিন্তু এরকম কিছু ইভেন্টের কারনে হলেও, দেখা হলে খুব ভাল লাগে। আরও ভাল লাগল যে বউয়ের সাথেও অনেকের পরিচয় হল 😀

রাতের বাসে ঢাকা ফেরত আসার কথা থাকলেও রাকিব আর আলভীর যত্নআত্তিতে সেটা পারলাম না। আড্ডা শুরুর করার পর কখন যে রাত পার হয়ে গেল টের পেলাম না। সারারাত ধরে গানের আসর হল। আমি ছাড়া বাকিরা ভাল গায়। আমার বেশী খুশী লাগল কারন অনেকদিন পর গলা খুলে চিৎকার করলাম এবং কেউ জাজ করল না :p সারারাত বকবক করে সকাল বেলা জম্বীর মত বাসে করে রওয়ানা দিলাম ঢাকার অদূরে সেই মিরপুরের উদ্দেশ্যে। আর এভাবেই শেষ হল আমাদের “অত্যধিক ঘটনাবহুল” প্রথম হানিমুন(লাফঝাপ) ট্রিপ 😀


Sunamganj Tour with Ibrahim Rashid

by Md Imran Hasan Hira

আমার বন্ধু Ibrahim Rashid একটা ট্যুর কাহিনী নিয়ে এই পোষ্ট। আমাদের যাওয়ার কথা ছিল বান্দরবন, কিন্তু চলে গেলাম সুনামগঞ্জ, তাও আবার কোন কিছু আগে থেকে বুক না করে, আর এক টি-শার্টের ট্রিপ, মোবাইলে ৩০% চার্জ 😛 শুনে মনে হচ্ছে পাথুরে সভ্যতা ২০০৯ এর কাহিনী, কিন্তু আসলে ২০১৯ এর 😛

ইব্রাহিম আর আমি মিলে বেশ কয়েকমাস ধরে বান্দরবন যাওয়ার প্লান করতেছি। সকাল বেলা ক্যামেরা ট্যামেরা রেডি করে, পাওয়ার ব্যঙ্ক চার্জ দিয়ে, ব্যাগ সুন্দর করে গুছিয়ে রেখে, বুয়েট ক্যাম্পাস গেসি। আশা ছিল, রাত্রে বেলা বান্দরবন যাব। কিন্তু ক্যাম্পাসে ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেলে, তাড়াহুড়া করে আমরা সেগুলোর কোন কিছু না নিয়েই সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন চলে যাই। বান্দরবনের কোন বাস নাই, আমরা কাউণ্টারের পর কাউন্টার খুজে যাচ্ছি। তারপর শেষমেশ দেখি সিলেটের লাস্ট বাস আছে, সেটাতেই উঠে পড়ি।

সকালবেলা শাহজালাল(রঃ) এর মাজারে একটু সালাম ঠুকে, সেখান থেকে একটা ভাঙ্গারি বাসে করে চলে যাই সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখি সরকারি বাংলো। দুই বন্ধু মিলে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলাম বাংলোতে কিভাবে থাকা যায়। ওখানের মামা সেটা টের পাবার পর বলল জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। তারপর আর কি, আমরা বুঝতে পারলাম যে বাংলোতে আমাদের থাকার ভাগ্য নেই। হোটেল খুঁজার জন্য সামনে এগোলাম। হোটেল খুঁজা নিয়ে কাহিনী।

একটা “হোটেল” পাইলাম ২০০ টাকা রুম / নাইট। ইব্রাহিম ছেলেটা আম্রিকান কোম্পানিতে কোটি কোটি টাকা বেতন পায় তখন। তো, হোটেলের ম্যানেজার, দাম বলার পর, আমি আর ইব্রাহিম প্রায় একসাথেই বলে বসলাম যে একশ টাকায় দিতে পারবে কিনা। সেই লোক আমাদের দিকে এমনভাবে তাকাইল, আমরা নিজেরাই বুঝতে পারলাম একটু বেশীই কম বলে ফেলছি। মুলামুলি করে ১৫০ টাকায় হোটেল ঠিক করা হইল। প্লান হইতেছে সুনামগজ ঘুরব। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে হুট করে মাথায় আসল টাঙ্গুয়ার হাওরে নৌকায় থাকব। তারপর বের হয়ে মটর সাইকেলে করে হাওরের ঘাটে গেলাম।

হাওরে তখন পর্যটকের আনাগোনা নাই বললেই চলে। দুইটা নৌকা আছে। তারা আমাদের দুইজনের জন্য এক রাতের ভাড়া চাইল ৩৫০০ টাকা। আমি আর ইব্রাহিম বলি ৬০০ টাকা। মামারাও রাজী হবে না, আর আমরাও ঠিক করছি নৌকা না পাইলে দরকার হইলে ঘাটেই ঘুমায়ে থাকব। নাইলে আশেপাশের বাড়িতে গিয়া বলব রাতটা থাকা যাবে কিনা। নৌকার লোকগুলা আমাদের উপর আশা ছেড়ে চলে গেল। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে প্রায়। হঠাত মাথায় একটা বুদ্ধি এল। ঘাটে এমনি বেশ কিছু নৌকা বাধা ছিল। সেগুলার গায়ে ফোন নাম্বার লিখা। ওইগুলাতে কল দিলাম। একজন রিসিভ করে বলল আসতে পারবে, ৮০০ টাকা লাগবে। কিন্তু উনার দেরী হবে, হাঁটে গেছে বাজার করতে। বাজার সদাই ঘরে রেখে উনি আসবে। আমরা তো রাজী, কিছু একটা পাওয়া গেছে। বাচ্চা পোলাপানের মত আমরা বিভিন্ন নৌকার উপর এলোপাথাড়ি ঘুরতে ঘুরতে, মাঝিভাই আসল একেবারে সুর্যাস্তের সময়। আর আমরাও রওয়ানা দিলাম টাঙ্গুয়ার হাওরের ভিতরে। ২০ জনের সাইজের নৌকায় আমরা তিনজন।

রাত্রে বেলা পুর্নিমার কড়া চাঁদ। হাওরের মধ্যে আমরা আমাদের চড়া গলায় সঙ্গীত সাধনা করছি (চিৎকার করছি)। রাত্রে বেলা একটা ওয়াচ টাওয়ারে থেমে স্থানীয় এক বাসায় খাবারের ব্যাবস্থা করল আমাদের মাঝি ভাই। ভাত, আলুভর্তা আর গ্রামের মত করে রান্না করা দেশী মুরগী। পেট পুরে খেয়ে আবারো নৌকায় উঠলাম। মাঝি ভাই তাপর নৌকা চালাতে চালাতে একটা বড় বাধের কাছে আনল, যেইখানে একটা চায়ের দোকান ছিল। সেখানে চা বিস্কুট খাইলাম আর পাঁচ টাকা/ঘণ্টা রেটে মোবাইল চার্জ দিলাম 😛

ঘুমের ব্যাবস্থা নৌকার মধ্যেই। আমরা কাঁথা বালিশ নিয়ে নৌকার ছাদে উঠে পরলাম। ব্যাপারটা শুনতে যতটা উত্তেজনাময় লাগছে, বাস্তবে তার থেকেও রোমাঞ্চকর ছিল। সকাল বেলা উঠে দেখি মশাদের চুমু খেয়ে মোটা হয়ে গেছি 😛 যাই হোক, ওদের ভালবাসার স্মৃতি নিয়ে আমরা আবার ফিরতি পথ ধরলাম। সকালের মিষ্টি রোঁদে হাওরের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে খারাপ লাগছিল না।
ভিডিও দেখলেই বুঝা যাবে, শটগুলা সব মোবাইলে তুলা। আর ব্যাকগ্রাউন্ডের ভীষণ প্রিয় এই গানটি আমাদের সঙ্গীত “সাধনার” অবিচ্ছেদ্য অংশ 😃 😃

ভিডিও: https://youtu.be/yNIi_LIhLt4


Is there a way to secure java source code?

by Md Imran Hasan Hira

The question:

Suppose I am working on a Java project and want to distribute it to others for different purposes (testing, release, etc.) Usually, I’d build a JAR file and then share it. Being platform-independent, it can run on any OS. Downfall is, the JAR archive can easily be extracted and from there, anyone can decompile the .class files and retrieve the source code. Is there a way out of this?

[ On another note, compiling a C++ program generates .exe/.out files which can be executed by the respective OS. Using Launch4J I can convert JAR to EXE. But for Linux, I haven’t found any such solution (except writing a script and executing the JAR through it) ]

— by Ataf Fazledin Ahamed

The answer

There are different ways depending upon which satisfactory level it is  

1. Obfuscating the source code: It’s basically going through the source code and replacing the variables+function names in just plain a/b/c/d, so when decompiled, they look like zombies had written that code. The decompiled version is a perfectly working java code, which, with enough motivation one can find out code logics. You can use proguard like tool to do the obfuscation and it has a way to keep a mapping of which symbol means what.

2. Converting java jar to exe/binary: This is again an encoding procedure, just on totally different machine level code.

#1 only gives you basic level of protection, because there are already decompilation software (i.e. JD Decompiler), you just drag&drop your jar file, it shows source code, organized by packages  

#2 is a bit hard to reverse engineer, takes lot of toil, though it exposes the execution sequences once reverse engineered. I would say it is a decent enough way to guard the source code.

There is another way, which is encryption.
3. Encrypting the byte codes, store the encryption key in a secure place. And then use an installer to get that key, decrypt the source and put it somewhere in the destination computer. Or use an executor which does the same thing at runtime, leaving no persistence trace of decompiled source codes.

Now to keep the encryption key secure, obviously you don’t distribute it with the jar itself. Rather you probably keep it in a server, and then when someone buys your licence, you deliver the key. You can also generate encrypted bytecodes based on your customer and ensure per customer encryption.

There is another way, which is more secure to manage key. You know there is a tiny chip in our sim card/credit card/national smart id card. It’s basically a secure element based usb token. This chips are made in a way that information extraction is really hard unless proper pin is matched. You can take this token and store your software license key inside that secure hardware token. This way, when the usb token is inserted, your software will read the key from usb(given a valid pin), and decrypt the bytecodes, load the java classes on the fly. And all this happen in operating system runtime memory, so it’s harder for novice developer to hack in. I did it back in 2013 and it’s a lot fun to play with bytecodes.

But then again, engineers with customized operating system can still read you decrypted bytecode from memory and get your code. That’s why, this type of solution is normally used in Bank, where a lot of security standards are followed and maintains complied legal laws. Basically such kind of companies where security is extremely essential and your client themselves guard the source code.

So you see, depending upon how much valuable your source code is, you spend your effort on securing it. Starting from hobbist projects, to business project, to nationwide govt security projects, this effort varies.

Efficiently managing license keys is like catching thieves. Delivering desktop installer is like 90s way. You release a version and then it chases you until your death because now you wanna add new feature, fix bugs, need to release new versions, do crush analytics and deprecate old versions. That’s why more and more companies going to software as a service model to avoid the whole chain of software distribution. Also not all distribution pipeline fit all customers. Hence we still have softwares distributed with full installer. The most common question that businesses have to answer “Is this source code worthy of the effort to keep it secure?” None the less, software distribution itself could be an interesting topic 🙂


আচরণগত স্বয়ংক্রিয় অংশগ্রহণ

by Md Imran Hasan Hira

– ভাই কষ্ট করে একটু লোকেশনটা অন রাখেন
– লোকেশন দিয়ে কি হবে, আমরা চৌধুরী পরিবারের লোক, আমাদের করোনা ধরেনা

সমস্যাঃ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তার সংস্পর্শে যারা যারা এসেছে, তাদের খুঁজে বের করা এবং দরকার হলে কোয়ারান্টাইন করা।

প্রযুক্তি ও আচরনগত দিক থেকে সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনাঃ

এখানে আসলে দুইটা সমস্যা –
A. ইউজারের লোকেশন ট্রাক করার প্রযুক্তি
B. মানুষজন যাতে লোকেশন ট্রাক করা বন্ধ করে না রাখে, এটা নিশ্চিত করা

#A সমাধান করা খুবই সহজ, ব্লুটুথ + জিপিএস + মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের টাওয়ার। যদিও গ্রামেগঞ্জে সবার স্মার্টফোন নাই, বা শহরে সবাই ইন্টারনেট অন করে রাখেনা, তারপরও একটা মোবাইল আপ্লিকেশন বানিয়ে এটা কাভার করা যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, #B যদি না থাকে তাহলে সামগ্রিক চেষ্টাটাই বৃথা যাবে।

#B হচ্ছে পুরাই বিহ্যাভিওরাল + কালচারাল ব্যাপার। এবং এটা সমাধান করা মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। কারন, একটা মানুষ করোনা ভাইরাস ব্যাপারটার ভয়াবহতা সব থেকে বেশী বুঝতে পারবে যখন সে নিজে/তার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হবে। এখন আক্রান্ত হবার আগে তাকে যতই বুঝাই, “ভাই কষ্ট করে একটু লোকেশনটা অন রাখেন” , সে বলবে “আমরা চৌধুরী পরিবারের লোক, আমাদের করোনা ধরেনা”

এটাই প্রব্লেম। কেউ আক্রান্ত হবার দু সপ্তাহ আগের লোকেশন ডাটা লাগবে। তার মানে একটা মানুষ করোনাতে আক্রান্ত না হলেও, তাকে কি ধরনের Reward Mechanism এ ফেললে সে নিজে থেকে এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে?

মানুষজন যাতে লোকেশন ট্রাক করা বন্ধ করে না রাখে, এটা নিশ্চিত করতে হলে কয়েক ধরনের সমাধান হতে পারে –

১। সকল মোবাইল অপারেটর টাওয়ার এর ডাটা ব্যবহার করে কে কোথায় কখন অবস্থান করছে সেটা খুঁজে বের করা এবং আক্রান্ত রোগীর সাথে ক্রস ম্যাচিং করা। ম্যাস লেভেলে, সরকারী পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে এটা সম্ভব। দুর্যোগকালীন সময়ের কথা চিন্তা করে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

২। মানুষ যাতে নিজে থেকেই লোকেশন শেয়ার দেয়, সেজন্য সচেতনতা তৈরী করা। মানুষজনকে বুঝাতে হবে যে আপ্লিকেশন এর এই ফিচারগুলো চালু করে রাখাটা তার জন্য জরুরী। এই বুঝানোর জন্য আবার কয়েকটা ফ্যাক্টর ইউজ করা যেতে পারে –
২.১ সিচুয়েশনের ভয়াবহতা পাব্লিসাইজ করা (Fear Factor)
২.২ সবাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এটা নিয়ে বলতেছে (Gaming Factor)
২.৩ অলরেডি যারা আক্রান্ত, অন্তত তাদের লোকেশন ট্রাজেক্টরির ভিজুয়ালাইজেশন ম্যাপ( Realisation Factor)

৩। ….

এইরকম আর কি কি উপায় হতে পারে ?


রেজওয়ান সাহেব আর জাদুর বাক্স

by Md Imran Hasan Hira

(এড়িয়ে যাবেন না, আর যারা এই মেসেজটি পাঁচজনকে ইনবক্সে না পাঠাবে, তারা আগামী দিনে সব টাকা পয়সায় লস খাবে :p )

গত সপ্তাহে রেজওয়ান সাহেব হাটতে হাটতে একটা বাক্সে উষ্টা খেলেন। বাক্সটা দেখে মনে হইল জাদুর বাক্স টাইপ। তুলে বাসায় নিয়ে আসলেন, পরিস্কার করে ওটাতে একশ টাকার একটা কচকচে নোট রেখে দিলেন। পরের দিন বাক্স খুলে দেখেন একশ টাকার দুইটা নোট। তাজ্জব বেপার।

বাক্সর মধ্যে টাকা রাখলে পরের দিন সেটা দুইগুন হয়ে যায়। বাহ, মজা তো।

তারপর একশ টাকার নোট দুইটা আবার বাক্সর মধ্যে রেখে দিল। তিন নাম্বার দিন দেখে সেখানে পাঁচশ টাকার নোট। মানে ডাবলের থেকেও বেশী। কেমনে কি! বউরে জিজ্ঞেস করলেন, বউতো অবাক! চাইর নাম্বার দিন এক হাজার টাকার নোট হয়ে গেল। লোকটা হিসাব কনফার্ম করার জন্য, ছেলের মাষ্টারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন এইভাবে টাকা বাড়তে থাকলে কতদিনে কত টাকা হবে। হিসাব করে দেখা গেল, বেশীদিন না, বিশ পঁচিশ দিনেই লাখপতি হয়ে যাওয়া যাবে।

এই খুশীতে রেজওয়ান সাহেব কাওরান বাজারে মাছের আরতে গেলেন, আজকে বড়সর একটা রুই মাছ কিনে বাসার সবাই মিলে খাবেন। মাছের বাজারে ঘুরতে ঘুরতে একটা রুই মাছ পছন্দ হইল। সাত কেজি ওজনের রুই মাছ। জীবনে এত বড় রুই মাছ কখনও কিনেন নাই। মাছ কিনে দোকানদারকে কাটতে দিলেন। এর মধ্যে পাশ থেকে এক লোক বড় করে দিল এক হাঁচি রেজওয়ান সাহেবের একেবারে মুখের উপর। রেজওয়ান সাহেব লোকটা ভাল মানুষ। যদিও চারদিকে করোনার ছড়াছড়ি। উনি অবশ্য এগুলাতে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। আল্লাহ চায় তো মারবেন, আল্লাহ চায় তো বাঁচাবেন। যাই হোক, বাজারের হাঁচি কাশীর যন্ত্রণায় তাড়াতাড়ি রুই মাছ নিয়ে বাসায় আসলেন।

ওইদিনের পর থেকে রেজওয়ান সাহেবের একটু জ্বর জ্বর ভাব। হাল্কা কাশিও আছে। টিভিতে বলতেছে এই সমস্ত লক্ষণ থাকলে বাড়ীর বাইরে না বেরে হতে। কিন্তু আজকে আবার শুক্রবার, জুম্মার নামাজ কি বাসায় বসে পড়া যায়! জ্বর শরীর নিয়েই কোন মতে গোসল করে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। দুইদিন পর রেজওয়ান সাহেবের অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন উনাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। ডাক্তাররা টেস্ট করার পর বলল যে রেজওয়ান সাহেব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আয়হায়, এখন কি হবে! এই ভাইরাসের তো এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাক্সিন নাই। এইদিকে বাক্সের মধ্যে টাকা কিন্তু বাড়তেছে। রেজওয়ান সাহেবের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে ডাক্তারকে বললেন “ডাক্তার সাহেব, যত টাকা লাগে নেন, তবুও একটা ভ্যাক্সিন দেন”। ডাক্তার সাহেব দেশের সেরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশুনা করা, অনেক বড় ডিগ্রীওয়ালা ডাক্তার। কিন্তু তারপরও উনাকে বলতে হইল, “দুক্ষিত, আমাদের কাছে এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই। আপাতত আমরা ইমার্জেন্সিতে নিয়ে রাখছি, বাকিটা আল্লাহর হাতে”।

হাসপাতালে আরও পাঁচদিন করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত রেজওয়ান সাহেব বাঁচতে পারলেন না। ভাইরাসের আক্রমণে মারা গেলেন। এদিকে রেজওয়ান সাহেবের স্ত্রী, বাক্স খুলে দেখেন অনেক টাকা। এত টাকা দিয়ে কি হবে, যেখানে মানুষটাই নাই।

রেজওয়ান সাহেবকে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হল। মারা যাবার পর তার রুহ বেশ খুশী। সারা জীবন নামাজ কালাম পড়ে আসছেন। কখনও কারও ক্ষতি করেননাই। করোনার মত রোগ নিয়েও জীবনের শেষ জুম্মা মসজিদে পড়ে আসছেন। ঝামেলা বাধল হাশরের ময়দানে যখন হিসাবের খাতা খুলা হল।

ডান কাঁধের ফেরেশতা বলল – “এই লোক জীবনে অনেক পুণ্য করেছে।” একে একে সব পুণ্যকাজের বর্ননা দিল। তারপর যখন বাম কাঁধের ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করা হল, সে বাধা দিয়ে বলল – “এই লোক সারাজীবন ভাল কাজ করছে। শুধু শেষে এসে নিজের করোনা ভাইরাস দিয়ে শত শত লোককে আক্রান্ত করেছে” । রেজওয়ান সাহেব তখন বলল – “আমি তো জানতাম না” ।বাম কাঁধের ফেরেশতা তখন বলবে – “কি জানতা না, তোমার এলাকার ডাক্তার বলছিল তোমাকে করনার জ্বর কাশি নিয়ে মসজিদে না যাইতে, বল বলছিল কিনা!” । রেজওয়ান সাহেব উত্তর দিলেন – “তা বলছিল”। ফেরেশতা ধমক দিয়ে বলল – “তাহলে এত সতর্ক করার পরেও রোগ নিয়ে মানুষজনের মাঝে গেছ কেন?” রেজওয়ান সাহেব বললেন – “আমি তো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গিয়েছি, আমাকে মাফ করে দেওয়া যায়না?” তখন উত্তর আসবে – “বারবার বলা সত্ত্বেও নিজের করোনা ভাইরাস বাকিদের ভিতরে ছড়িয়ে দিয়ে এতগুলো মানুষের মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।” শেষ পর্যন্ত রেজওয়ান সাহেব বেহেস্তে যেতে পেরেছিলেন কিনা, সেটা জানার সৌভাগ্য হয়নি। কারন তার আগেই ঘটনা বর্ননাকারী নিজেই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চলে গিয়েছেন।

যারা এতদূর পড়ে আসছেন, তাদের জন্য

  • আগামী কয়েক সপ্তাহ যতটুকু সম্ভব মানুষজনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। রোগশোক থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য এটাই দরকার এখন। প্যানিক হতে হবে এমন না, তবে নিজেকে সেফ রাখতে তো দোষের কিছু নাই।
  • ঘরের বাইরে গেলে যত কম পারা যায় বিভিন্ন জিনিস ছোঁয়া থেকে বিরত থাকুন।* বাইরে থেকে আসার পর সাবান/স্যানিটাইজার দিয়ে (মিনা কার্টূনের মত) ভাল করে হাত কনুই পর্যন্ত পরিষ্কার করুন।
  • আপনার জ্বর, কাশি থাকলে সেটা যাতে বাকিদের মাঝে ছড়াতে না পারে, তার জন্য আপনাকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু শুধু করোনা ভাইরাসের জন্য বেহেস্তে যাওয়ার সুযোগ হেলায় হারাবেন না।
  • যারা বলছে এগুলা কোন সমস্যা না, তাদেরকে বুঝান যে রোগ শোক থেকে দুরে থাকাটাও পবিত্রতার অংশ।

বাসন্তী-ফুল

by Md Imran Hasan Hira

: কিরে, নিচের দিকে তাকিয়ে কি দেখিস?
: শাড়ির কুচি লম্বা হয়ে গেছে মনে হচ্ছে, একটু দেখে দাও তো ঠিক আছে কিনা।
: ভাল করে দাড়া, দেখি। কই, ঠিকই তো আছে। এই শাড়ি কার কাছ থেকে নিছিস?
: আম্মুর শাড়ি।
: আচলটা সুন্দর, আন্টির পছন্দ আছে। চল ওইদিকে যাই, পোলাপান আছে।
: আর কিচ্ছুক্ষণ বসি আপু, প্লিইইজ
: এইখানে কি পাইছস?
: রোদ পড়তেছে, ভালই তো লাগতেছে।

#বসন্ত_বাতাসে
#না_হয়_একটু_দেরীই_হল


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress