"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013
Category Archives: Story

Value of fruits

by Md Imran Hasan Hira

In my country, there is a tradition to buy fruits while seeing patients in Hospital. It became a custom and I am seeing it since my childhood.

One thing that triggered me always, why fruits? Why not regular rice / bread ? Why not cash money ? Why not vitamin/protien bar ? And I can not find any convincing answer. So I came up with a hypothesis. This note is about a stupid hypothesis.

I think People express love to their closest people. And there are several way to express love. You can express in words, like saying “Hey, I really like you” . Or it can be a little bit less in words but more in action. An example could be, working with the things that your beloved ones like. You take care of them and hence express your love via something else. That something else, could be buying a diamond ring, or it could be just saying hello every morning, it could be planning to be together for fifty years. It could be helping them in different times, being with them.

Whatever way people express their love, it becomes a tradition and whenever other people on the society sees these ways, it impact their thoughts as well. And the next time a different person thinks about showing love, they think of it. Then they also tries to do similar thing, thinking of something that is definitely different that normal, something special.

Now, the question what can be something special ? I think while human were living in the jungle, they came to know about fruits. And fruits takes longer time to get. You can not just row a seed and get a fruit immediately, at least not as of today. You gotta wait till the plants grow bigger, wait till the flowers came, pollination happens, a green fruits appears. Then wait till it ripe and you can finally pick it with joy. This waiting time makes the fruit collection more special.

Historically, the more you crave for a certain thing, the more association you make with, the more important it becomes in your life. So, that’s how fruit became a symbol of something very important. And you buy it whenever you feel like showing something special for someone in hospital.

P.S. Scientific fact: Fruit contains a lot of vitamin, minerals and fiber which are in general good for health. But these nutritions are also met by vegetables in a similar manner if not more. Fruit just got the benefit of “craving till it grows” effect. It’s very sad that, in our society, a bunch of spinach doesn’t look good as a present as much of a pack of grapes.


Summer Party and Satisfaction Function

by Md Imran Hasan Hira

It was one fine evening of June. It’s the evening for summer party. The company arranges these type of events every year, so that the employees get the opportunity of knowing each other, extend their networks and have more comfortable work environment. It’s Summer Party……yeeeeee. Everybody already left office to join the party, except two morons.

: Hey, why are you still in the office ? It’s 6:00pm already!
: I am working on something.
: Hmm, are you not going to the party ?
: Nah, I like working.
: I saw you made some commits at very early morning. And you are still here, this late. How long do you work normally ?
: Just like this. Basically, I like to work.
: Well, working is good. There is nothing to blame. I used to be workaholic too.
: What happened then ?
: Nothing much, I am still workaholic :p
: Work is fun 🙂
: Yeah, of course. However, my satisfaction function changed a bit from time to time.
: What is a satisfaction function?
: The function that drives my feeling of happiness.
: How does it work?
: Basically I updated the function. Previously, when I found out that I am missing something, I used to be unhappy.
: Ok.
: But, then I added an extra step. Whenever, I found something that I didn’t achieve, I ask myself – “Do I want that?”, if the answer is “No”, then I don’t need to be unhappy. If the answer is Yes, then I ask the same question – “Do I really want it?”.
: Interesting.
: Yeah, if the answer to the second question is again “No”, which means I don’t necessarily want that, then I’m good with my happy state. But, if the answer is again “Yes”, I ask myself the last question – “What can I do to achieve that?” . That’s how I drive my happiness function from scattered thinking to a methodological way of work steps 🙂
: That’s a nice way of thinking.
: It actually finds the sweet balance between what I can achieve and what I want to achieve. I’m not sure if it will work for everyone, but for me it is working 🙂
: ah, there is nothing wrong in trying. I might want to apply that too. Thanks for sharing.
: You are welcome. I gotta run, enjoy your work and the weekend.
: You too, enjoy the party as well.


Let’s go the Sun

by Md Imran Hasan Hira

Electrical And Computer engineering building
: Mom, where are we going?
: To the Sun.
: But, it’s too hot there.
: Yeah, it’s also much brighter there.
: Mom, why do all people go to the Sun ?
: Because, that’s where we are supposed to go.
: What will happen if we can’t reach there ?
: Then we will lose.
: What will happen if we lose ?
: We won’t be able to see the things that other people saw already.
: Why do we need to see them ?
: Hmm, that’s a nice question. You have become mischievous these days 🙂 I don’t know the answer yet.
: Ok. Can’t we go to the Moon ?
: Moon will appear soon, we will go there as well.

( The photo is taken in front of Electrical & Computer building, BUET on January 3, 2013 )


পহেলা বৈশাখ – ১৪২৪

by Md Imran Hasan Hira

bengali-new-year-1424

( আজ পহেলা বৈশাখ। বাবা মা এর সাথে ঘুরতে বেরিয়েছে জারিফ)
: এইটা কোথায় নিয়ে আসলা?
: তুমি না বলছিলা মেলায় যাবা, এইটা বৈশাখী মেলা, আব্বু।
: আশেপাশে এত মানুষ কেন?
: বছরের প্রথম দিনে এরা সবাই আনন্দ করতে নেমেছে, তাই এত মানুষ।
: আনন্দ করতে এত মানুষ লাগে?
: হা হা, একাও মজা করা যায়, তবে সবাই মিলে থাকলে অনেক বেশী মজা করা যায়।
: সবাই মিলে থাকলে বেশী মজা কেন হয়?
: তুমি যখন নানাবাড়ি/দাদাবাড়ী বেড়াতে যাও, তখন যেররকম অনেক মজা হয়, অনেকটা সেরকম।
: আচ্ছা, নানাবাড়ি/দাদাবাড়ী আবার কবে যাব?
: যাব আব্বু, সামনের ছুটিতেই যাব।
: কি শুরু করছ তোমরা দুইজনে! এইসব গুরুগম্ভীর আলোচনা রাখ, আস ছবি তুলি 🙂 


বেশ পরিষ্কার একটা সকাল

by Md Imran Hasan Hira

আজকের সকালটা বেশ পরিষ্কার। শোবার ঘরের পর্দাটার ফাঁক দিয়ে আলতো করে সকালের মিষ্টি রোদটা এসে বিছানার পাশের টেবিল ল্যাম্পের উপর পড়ছে। গতদিনও সকালে মিষ্টি রোদ ছিল, কিন্তু পর্দা টানানো ছিল বলে আজকের মত এত পরিষ্কার ছিলনা। বেশ কিছুদিন ধরে শীত শীত ভাবটা একটু বেশী। কম্বল ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছা করে না।
আরেহ, এত সকালে ঘুম থেকে উঠে গেছ!
সু প্রভাত!
বাব্বাহ! বেশ খোশ মেজাজে আছ মনে হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই সাহিত্য শুরু করে দিয়েছ!
সাহিত্য কই দেখলে, অনেকদিন পর একটা জম্পেশ ঘুম দিলাম।
হুমম, অন্যান্য দিন ঘুমের ভিতর কেউ বিরক্ত করে বুঝি!
তা তো একটু করেই।
চা খাবে?
নাহ, চা খাব না।
কফি বানিয়ে দেই?
কফি পেলে মন্দ হয় না। আচ্ছা, আজকে বরং আমিই কফি বানাই।
(
কিচেনের ক্যাবিনেটগুলাতে কিছুক্ষণ খুঁজাখুঁজির পর )
এই, নেসক্যাফের কৌটাটা কই রেখেছ?
হয়েছে! তুমি বানাবে ছাই, একটা কৌটাই খুঁজে পাচ্ছনা! দেখি দাও আমাকে।
এই জন্যই তো তুমি এত্তগুলা ভাল।
আর ঢং করতে হবেনা। আমি আছি বলে জিনিসগুলো অন্তত চাইলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, তোমার মত আউলাঝাউলা হলে তো খবরই ছিল।
আহা, তুমি সবকিছু যেভাবে গুছিয়ে রাখ, তাতে আমার কফির কৌটা খুঁজার কি দরকার! খালি তোমাকে খুঁজে পেলেই হল।
তা আর বলতে। এই, হচ্ছেটা কি!
– 
কি হচ্ছে আবার, কিছুই হচ্ছে না।
একদম শয়তানি করবানা এখন।
আচ্ছা, ঠিক আছে করবনা।
কফি বানিয়ে দিচ্ছি, তারপর নাশতা খেয়ে সোজা অফিসে চলে যাবা।
জো হুকুম। তুমি বেরোবে না ?
হ্যা বের হব তো। একসাথেই বের হব।

বাসার সামনের কাগজীফুলের ডালে ফুলগুলো আজকে কড়া গোলাপি রঙ ছড়িয়ে বসে আছে। দরজা খুলে ফুলগুলো দেখলে যে কারও মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। তার উপর আবার পাশেই রজনীগন্ধা ফুটবে কিছুদিন পরে। সবকিছু সামলানোর পরে আবার কি সুন্দর করে এই কাজগুলো যে ও করে!


Five word romantic novels

by Md Imran Hasan Hira

Putting some random thoughts on five word romantic novels. They go as  –

* Time passed, she became lady.
* That umbrella! You still have.
* First road, we started walking.
* Bought some roses, never delivered. (inspired from “kids shoes, never worn” )
* Campus, Adieu, Intercontinent, Facebook. Then ?
* knock knock .. .. She opens door.
* You still wear that shirt!
* Ha ha, you are funny.
* Told you, she misses you.
* Hey, what is love ? Donno.
* It looks amazing! Love it!
* Who’s there ? No one, dad.
* Those eyes! Can stare forever.
* Hello, can you give Ilsa?

 


She likes it!

by Md Imran Hasan Hira

She likes the thoughts you shared
She likes the things you cared,
She likes the colors you paired
She likes all those you dared.

She is not rude, She thinks you as dude.
She likes sea food, She is in a good mood.

She jumps into the pool,
She is so damn cool.
She is the one you call dear,
She listens all those you hear.

She travels places, where you’ve gone
She does exactly, what you’ve done.
Has she gone already mad?
Boy, you are a dumb-ass lad.

Wonder? what happened to her ?
Remember! It was a good weather.
OMG? what happened after ?
Stupid! You both were all together.

 

বিঃ দ্রঃ এই ছড়ার প্রথম দুই লাইন চিন্তা করতে করতে আজকে ঘুম থেকে উঠেছি, তাই এটার নাম দিলাম “স্বপ্নে পাওয়া ছড়া”। ভাবছি Aqua – Barbie Girl এর মত এটারও একটা মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ফেলব।


নাস্তা

by Md Imran Hasan Hira
বাংলা ছায়াছবি’র নামগুলোতে ‘নাস্তা’ বসিয়ে নিয়ে মজা করার চেষ্টা –
  •  এ নাস্তা তোমার আমার (এ রাত তোমার আমার),
  • নাস্তা ছাড়া বাচবোনা (তোমাকে ছাড়া বাচবোনা),
  • হারানো নাস্তা (হারানো সুর),
  • মনের মত নাস্তা (মনের মত বউ),
  • নাস্তা খেয়ে পরিচয় (গান গেয়ে পরিচয়),
  • টোস্ট একটি নাস্তার নাম (তিতাস একটি নদীর নাম),
  • নাস্তা নিয়ে খেলা (মন নিয়ে খেলা),
  • নাস্তা এখন প্লেটে (গোলাপি এখন ট্রেনে),
  • নাস্তা তুমি কার (সখী তুমি কার),
  • নাস্তা দে (ভাত দে)
  • নাস্তা নাই (ক্ষমা নাই),
  • সেদিন নাস্তা ছিল (সেদিন বৃষ্টি ছিল),
  • ট্রে ভরা নাস্তা (বুক ভরা ভালবাসা),
  • নাস্তার জন্য পাগল (তোমার জন্য পাগল),
  • নিশ্বাসে নাস্তা বিশ্বাসে নাস্তা (নিঃশ্বাসে তুমি বিঃশ্বাসে তুমি),
  • ছোট্ট একটু নাস্তা (ছোট্ট একটু ভালবাসা),
  • কোটি টাকার নাস্তা  (কোটি টাকার কাবিন),
  • রানী কুঠির বাকি নাস্তা (রানী কুঠির বাকি ইতিহাস) ,
  • এ চোখে শুধু নাস্তা ( এ চোখে শুধুই প্রেম),
  • নাস্তা যেখানে হৃদয় সেখানে (মন যেখানে হৃদয় সেখানে),
  • কথা দাও নাস্তা দিবে (কথা দাও সাথী হবে)
আর একটা কথা, নাস্তা নিয়ে স্বয়ং আগুণ ও গেয়ে গেছেন 
আমার নাস্তাগুলো কেন এমন নাস্তা হয়,
এ মনটা কেন বারে বারে ভেঙ্গে যায়।
প্লেটের নুডুলসগুলো কেন এত কম করে হয়,
টোস্টের স্মৃতিগুলো প্রতিরাতে আমাকে কাঁদায়,
না না না না না, না আ আ আ না না না না,
না, না না না আ আ না না।

বন্ধ দুয়ার

by Md Imran Hasan Hira

দুয়ার বন্ধ করে কি লাভ বল?
ভিতরে আসতে দাও।
আজ আমি আসবই, আমার জন্য কফি বানাও।
নতুন কেনা কফি মেকারটা চালু কর।
কফির ক্যাপস্যুলটা বসানো আছে তো ঠিকমত?
ওহ, ক্যাপসুল তো এখনও এসে পৌঁছায়নি।
কোনটা যেন অর্ডার দিয়েছিলে, ক্যাপুচিনো ফ্লেভার ?
আচ্ছা, কফি থাক –
আজকে না হয় অপেক্ষাই পান করব,
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হবে।
জানি, ওপাশেই দাড়িয়ে আছ তুমি,
কান পেতে শুনছ, এমনভাবে
যেন কপাটের ফাঁক দিয়ে ফু দিলে,
সুড়সুড়িটা তোমার কানেই লাগবে।
নক নক নক, শুনতে পাচ্ছনা?

কি হল, এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে!
আচ্ছা, কালকে রাতে যে ট্র্যাকটা নামিয়েছিলে,
ওটা বাজাও না। আজ বরং গান শুনব,
আর তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব, ছন্দের তালে।
এই নিস্তব্ধতার বাঁধায় আমাকে আটকে রাখতে পারবে না।
তোমার ভালবাসার টানে আমি পেরিয়ে আসব আজ,
তোমার মান ভাঙ্গাবো, দেখি
কত অভিমান তোমার মনে।
আজ দুজনে চলে যাব অনেক গভীরে,
আসছি আমি ||


বাগানবিলাস

by Md Imran Hasan Hira

জুবিলী স্কুলের এইটের ক্লাস। একটু পরেই অঙ্ক ক্লাস শুরু হবে। স্যার আসলে পরে ক্লাসে টু শব্দ পর্যন্ত করা যাবেনা। স্যারের নামটাও সেরকম, শীতল কানাই। নাম শীতল হলে কি হবে, হাতে যে বেত থাকে, সেটার বাড়িতে পিঠ পুড়ে যেতে সময় লাগে না। আর যেদিন বেত থাকেনা, সেদিন অবশ্য অন্যরকম শাস্তি। তেমন কিছু না, খালি কান ধরে স্কুলের গেটে ছুটির সময় দাড়িয়ে থাকতে হবে। দুনিয়ার আর কোথাও এইরকম অপমানের শাস্তি আছে কিনা কে জানে। ক্লাস এইট বলে কি মান সম্মান নাই! ফাইভ সিক্সের পোলাপানরা যাইতে যাইতে দেখবে যে কান ধরে দাড়িয়ে আছে, কি লজ্জা!

স্যার ক্লাসে ঢুকেই দেখল পিছনের বেঞ্চে শয়তান দুইটা লাফাইতেছে। নরমাল টাইম হইলে সোজা পিছনে গিয়ে বেত দিয়ে মাইর দেওয়া শুরু করত। আজকে মতি-গতি সুবিধার না। সামনের বেঞ্চে মাঝ বরাবর কবির আর রায়হান বসছিল। কষায়া থাপ্পড় দিল দুইটারে – “তোরা ক্লাসে থাকতে ক্লাসের এমন অবস্থা কেন!” ক্লাসের ফার্স্ট আর সেকেন্ড ক্যাপ্টেনকে থাপ্পড় খেতে দেখে পুরা ক্লাস তব্দা মেরে গেল।

ছুটির ঘণ্টা বাজছে। স্কুলের সবাই হুড়মুড় করে গেট দিয়ে বের হচ্ছে. আর বের হওয়ার সময় গেঁটের পাশে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের দেখে একটু করে থামতেছে। ওমা, কয়েকজনের কাঁধে দেখি ব্যাজও আছে। এইটা শীউর কানাই স্যারের কাজ, উনার হাত থেকে ক্যাপ্টেনদেরও রেহাই নাই।
: কিরে এত নড়োস কেন ?
: এইখানে মশা আছে, তোরে কামড়াইতেছে না?
: ধুর ব্যাটা, কিসের মশা! এখান থেকে যাইতে পারলে বাঁচি। আগেই কইছিলাম যে স্যাররে ডাকি, তুই ই তো আটকাইয়া দিলি।
: আমিতো মনে করছি যে থাইমা যাইব, এমনে যে হুট কইরা স্যার আইয়া পড়ব কে জানত।
: স্যার কিন্তু ওই রুম থেইকা তাকাইয়া আছে। বেশি নড়িস না, নাইলে গার্লস স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত দাঁড়াইয়া থাকন লাগব।

পায়রা নদীর পাশেই স্কুল। স্কুলের গেট দিয়ে বের হয়ে পুর্ব দিকের যে রাস্তাটা আছে ওটা ধরে কিছুদূর গিয়ে একটা ব্রিজ পার হলেই জুবিলী রোড। রায়হানদের বাড়ি ওই জায়গার কাছেই। আর কবিরদের বাসা একটু দুরে। জুবিলী রোড ধরে বেশ কিছুদুর গেলে কবরস্থান। কবরস্থানের পাশে সমতা সড়ক দিয়ে সোজা ভিতরে যাওয়ার পরে একটু ডানে মোড় নিলেই একটা পুকুর দেখা যায়, ওটার পাশেই কবিরদের বাসা। আসলে মেইন রাস্তা দিয়ে ঢুকে সোজা গেলেই কয়েকটা বাড়ি পরে।

স্কুল ছুটির পরে প্রতিদিন দুই বন্ধু জুবিলী রোড ধরে হাটতে হাটতে বাসায় যায়। যদিও আজকে মেজাজ খারাপ। তাই যাওয়ার পথে নদীর পারে ঘাসের মধ্যে দুইজনে বসে পড়ল। পাশে ইটের স্তুপ ছিল, রায়হান একটা খোয়া নিয়ে জোরে দুরে মারল, টুউউউউপ করে একটা আওয়াজ হল।
: এইটা কোন কাজ করল স্যার! শয়তানি করল ওরা, আর মাইর খাইলাম আমরা।
: স্যারের মাথা ঠিক নাই, আজকে নিউ টেনের ক্লাসেও নাকি তিনজনেরে ধরছে।
: আরে দাড়া করায়া রাখছে সেইটা তো সমস্যা না। স্কুল থেকে যাওয়ার পথে রুবি (রায়হানের ছোটবোন) দেখছে। এখন বাসায় গিয়া আম্মাকে বইলা না দিলেই হয়।
: টেনশন লইস না। ছুটির সময় এত পোলাপানের ভিড়ে দেখবি তোরে খেয়ালই করেনাই। ল যাই, এমনেই দেরী হইয়া গেছে।

বিকালের আলো পড়ে এসেছে। কবির হাটতে হাটতে মেইন রোড থেকে সমতা সড়কের গলিতে ঢুকল। মুদির দোকানের কাছাকাছি আসতেই দেখল জাকির সাহেব বেরুচ্ছেন বাসা থেকে । পাঞ্জাবী পরা, হাতে জায়নামাজ, মাগরিবের জন্য মসজিদে যাবেন মনে হচ্ছে। কবির সালাম দিল, আসসালামু আলাইকুম চাচা। কিন্তু জাকির সাহেব শুনেনাই বোধ হয়। কবির ভাবল, ধুর, সালাম দিলাম, শুনলই না। এমনেই অঙ্ক ক্লাসের পর থেকে মন খারাপ। হাটতে হাটতে কিছুদূর গিয়ে মুদির দোকান পার হয়ে ডানে মোড় নিল। এইখানেই বাড়িটা। কনট্রাক্টরের বিল্ডিং বলে এলাকার লোকজন।

বাড়ির সামনে দিয়ে প্রায় চলেই যাচ্ছিল, হঠাত করে দু পা পিছনে এসে দোতলার জানালার দিকে তাকাল। বেণু, খুব মনোযোগ দিয়ে কি যেন পড়ছে। জানালাটা অর্ধেক খোলা। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই যাওয়ার সময় কবিরকে এইখানে থামতে হচ্ছে। থামতে হয় বললে ভুল হবে, আসলে দূর থেকে জানালাটার দিকে তাকালে অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করে। কিন্তু মানুষজন কি বলে আবার, এইখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যাবেনা। কবির বাসার দিকে হাঁটা দিল, আর ভাবতে লাগল প্রতিদিন এই সময় জানালায় কি করে মেয়েটা!

কনট্রাক্টরের বাড়িটাতে কেমন জানি একটা মায়া আছে। মেইন গেটের ছাউনির পাশ দিয়ে একটা কাগজী-ফুলের ঝোপ উঠেছে। যেটার একটা ডাল দোতলায় জানালা পর্যন্ত চলে গেছে। এর ফুলগুলোও বেশ সুন্দর, গাঢ় গোলাপি রঙের। অবাক লাগে দেখতে। সারা বছরই থাকে। ভাল একটা নাম আছে এই ফুলের, বাগানবিলাস না কি যেন।


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress