"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013
Category Archives: Uncategorized

নিয়মিত ঘুরাঘুরি আর আয় উপার্জন

by Md Imran Hasan Hira
"নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন; দুটিই সমানভাবে কিভাবে করা যায়? অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করেন,ট্র্যাকিং করেন। তারা আসলে কিভাবে উপার্জন করেন?"

যদিও প্রশ্নটা শুনতে অনেক সহজ, এখানে অনেকগুলা কিন্তু আছে। পোস্টের দুইটা লাইনকে স্টেরিওটিপিক্যাল পয়েন্ট থেকে বলি

প্রথম পয়েন্ট হলঃ “নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন; দুটিই সমানভাবে কিভাবে করা যায়?”

ঘুরতে টাকা পয়সা লাগে না, এই কথাটা সত্য না। ইউরোপে বেশ কিছু দেশ ঘুরার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরতে কম টাকা লাগে না। ইটালি’র আমালফী কোষ্টের একটা হোটেলের খরচ, কিংবা সান্তরিনি’র নীল সাদা কেভ হাউজ অথবা রোমের কলোশিয়ামের এন্ট্রি টিকেট কোনটাই সস্তা না। আবার এটারও অন্য সাইড আছে। সান্তরিনি’র নীল সাদা কেভ হাউজ এর কাছাকাছি ডরমিটরি হোটেল তুলনামূলক অনেক সস্তা। প্যারিস সিটি সেন্টারের থেকে মেট্রোতে ৩০/৪০মিনিট দূরত্বে হোটেল তুলনামূলক অনেক সস্তা। ঘুরতে গেলে কেউ চারদিন ট্রিপের তিনদিনই হোটেল সুইমিং পুলে কাটায়, কারও কাছে হয়ত ৪/৫ স্টার হোটেলের সুমিং পুলের থেকে রাস্তা ধরে হাঁটতেই ভাল লাগে। কেউ হয়ত চার দিন ট্রিপের প্রতি রাতেই ভাল রেস্টুরেন্টে ডিনার করবে, কেউ হয়ত তিনদিন টার্কিস সস্তা মজার ডোনার খেয়ে একদিন দামী রেস্টুরেন্টে ডিনার করবে। কেউ হয়ত ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এক ঘণ্টার পশ বোট রাইড দিবে, কেউ হয়ত এক হাজার টাকায় পাহাড়ের হাইকিং শেষে পেনিন্সুলাতে বসে সুর্যাস্ত দেখবে।

ট্রাভেল এর সাথে আয় উপার্জনের একটা ভাল সম্পর্ক আছে। কারণ ট্রাভেল এর খরচ তো কাউকে না কাউকে দিতে হবে। বুয়েটীয়ান একজন ১২ হাজার টাকার দুইটা টিউশনি কড়ায়ে মাসে ২৪হাজার টাকা পেলে, সেই টাকায় চাইলে প্রতি মাসেই ট্রিপ দিতে পারবে। বছর শেসে দেশের বাইরেও ট্রিপ কোন ব্যাপার না। এটা করবে, কারণ হলের সীট ভাড়া একেবারেই নগণ্য। কিন্তু সেই একই ছেলেকে যদি আজিমপুরে একটা বাসা নিয়ে থাকতে হত, তাহলে ২৪হাজার টাকার ১০ হাজার টাকা চলে যেত বাসা ভাড়ায়। তখন মাসে মাসে ট্রিপ দেওয়া একটু কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু আবার সেই ছেলেরই যদি অলরেডি ঢাকাতে ফ্যামিলি থাকে, তাইলে আবার বাসা ভাড়া বেচে গেল।

দিনশেষে নিজের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানোর পরে বাজেট থাকলে মানুষ ঘুরাঘুরি করে। কিন্তু এটারও আবার ব্যাতিক্রম আছে। যেমন কিছু কিছু মানুষের ঘুরাঘুরি করাটাই একটা বেসিক চাহিদা। শুনতে কঠিন শুনালেও এই ব্যাপারে উপার্জন ক্লাস বিভাজন জিনিসটা খুব প্রকট। উপার্জন বেশী হলে ঘুরাঘুরির প্যাটার্ন এক রকম হবে। উপার্জন কম হলে রমনা পার্ক ঘুরেই খুশি লাগবে। এই পয়েন্টের সামারি হইল নিয়মিত ট্রাভেল ও আয় উপার্জন, দুটিই সমানভাবে সবসময়ই করা যায়, কিন্তু ট্রাভেলের পছন্দ আর উপার্জন দুইটা মিলে ফাইনাল কি কি কতোটুকু ঘুরাঘুরি হবে, সেটা ঠিক করে দেয়।

এবার আসি সেকেন্ড পয়েন্টেঃ “অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করেন,ট্র্যাকিং করেন।”

এই লাইনের ভিতরে একটা বিশাল ট্র্যাপ আছে। সেটা হল, শুনা কোথায়, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্ট দেখে কে কোন ক্যাটাগরি’র সেটা অনুমান করা ঠিক না। তার থেকেও বড় কথা হল, সেই পোষ্ট দেখে নিজের সাথে কম্পেয়ার করাও ঠিক না। ট্র্যাপ বলছি কারণ কম্পেয়ার না করতে চাইলেও, আশেপাশে অনেকে করছে, এই জিনিসটা এক ধরনের পিয়ার প্রেশার তৈরী করে। এটা একটা সোশ্যাল স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দেয়। যেই স্ট্যান্ডার্ড এর বেইজ হয়ত ভুল অনুমানের উপর চিন্তা করা। এটার অনেক কারণের মধ্যে কয়েকটা হল

১। ঘুরাঘুরি করতেছে আর ভাল ভাল ছবি দিতেছে মানেই অনেক টাকাপয়সা উপার্জন করতেছে, এমন না।
২। ঘুরাঘুরি করতেছে না মানেই ভাল উপার্জন করতেছে না, এমন না।
৩। ট্যুর দেখে অনেক উপর্জন করে মনে হলেও, সেটা হয়ত শুধু নিজের উপার্জন না। হয়ত ডাবল ইনকাম ফ্যামিলি। আবার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া উপার্জনও হতে পারে।
৪। উত্তরাধিকার সূত্রে যে শুধু উপার্জনই হতে হবে এমনও না। হয়ত বাবা/মা এতটাই এস্টাব্লিষ্টড যে ছেলে মেয়ের উপর নির্ভরতা নাই। হয়ত মাসিক খরচের পিছুটান নাই।
৫। মাসে কি পরিমাণ খরচ হবে, সেটার প্রেডীক্টাবিলিটি কোন শহরে বাস করতেছে সেটার উপর ডিপেন্ড করে। ইউরোপের লাইফস্টাইলে প্রেডীক্টাবল খরচের মধ্যে ট্যুরের প্লান করা সহজ। কিন্তু ঢাকার লাইফস্টাইলে মান্থলি খরচ সবসময় প্রেডীক্টাবল না।

“অনেকেই ভালো উপার্জন করেন, নিয়মিত অনেকদিনের জন্য ট্রাভেল করে” , এই কথাটার “অনেকেই” অংশটা অনেক আপেক্ষিক। এই গ্রুপের যারা মেম্বার, তাদের নেটওয়ার্কও বুয়েটিয়ানদের সাথে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর বুয়েটিয়ানদের বেশিরভাগই তাদের সমসাময়িক অন্যান্যদের থেকে ভাল বেতনের চাকরীতে থাকবে, এটাও স্বাভাবিক। এখন নেটওয়ার্কের বেশিরভাগই যখন নিয়মিত ঘুরাঘুরি করতেছে, সেটাও স্বাভাবিকই লাগা উচিত, কারণ এই স্যাম্পল সেটের বেশিরভাগই উচ্চ উপার্জনশীল ক্লাস ক্যাটাগরি’র, যারা ফাইনানশিয়ালি স্ট্যাবল। ফাইনানশিয়ালি স্ট্যাবিলিটী ব্যাপারটাও হয় নিজের উপার্জন, না হয় জামাই বউ দুইজনের উপার্জন, না হলে উত্তরাধিকার সূত্রের উপার্জন দিয়ে হচ্ছে। ঘুরাঘুরির টাকা তো কোন না কোন গৌরী সেনের পকেট থেকেই দিতে হবে।

সবশেষে বলব, ঘুরাঘুরি হইল একটা লাইফস্টাইল। এই লাইফস্টাইল এর আবার অনেক ছেলেপেলে ক্যাটাগরি আছে – পশ ঘুরাঘুরি, হাইকিং ঘুরাঘুরি, স্ট্রিট ট্রাভেলার ঘুরাঘুরি, রেস্টুরেন্ট ঘুরাঘুরি। সেই ছোট ক্যাটাগরির আবার নাতিপুতি ক্যাটাগরি আছে – পশ গাড়িতে ঘুরাঘুরি, পশ হোটেলে ঘুরাঘুরি, সিরিয়াস হাইকিং ক্যাম্পিং, পাহাড়ে রেগুলার ক্যাম্পিং, স্টুডেন্ট বাজেট ঘুরাঘুরি। সব লাইফস্টাইল লিড করতে ভাল উপার্জন লাগে এমন না। যার ঘুরাঘুরি’র লাইফস্টাইল যত টাকা ডিমান্ড করে, তার সেরকম উপার্জন+সাপোর্ট থাকলেই হবে, এটাই।


Tu hi meri shab he

by Md Imran Hasan Hira

২০০৫ এর কথা, চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হইছি আমরা চট্টগ্রাম নৌবাহিনী স্কুল থেকে ১১ জন। সবার আব্বুর চাকরি নেভী ঘাটীতে হওয়ায় আমাদের সবার বাসাই নেভি স্কুলের আশেপাশে। আলাদা আলাদা যাওয়ার থেকে বন্ধুরা একসাথে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে আমরা পুরো টেম্পুই রিজার্ভ করে ফেলতাম। আমাদের এতগুলা মানুষকে নিয়ে টাইগার পাস এসে টেম্পু আর উঠতে পারতোনা। হঠাত হঠাত দুই একজনকে নেমে হেটে ব্রিজ এর মাঝে পর্যন্ত এসে তারপর আবার টেম্পুতে উঠা লাগত।

কলেজের ক্লাস শেষ করে ফেরার পথে হইত আরেক ঝামেলা। কলেজের সামনে থেকে টেম্পুতে উঠাই প্যারা, তার পর রিজার্ভ তো করাই যাবে না। প্রায়ই আমরা সিএনজি তে সাতজন উঠে পরতাম। সমস্যা করত টাইগার পাস এর ওখানে পুলিশ মামা। এক সিএনজিতে নাকি সাতজন উঠা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধ ঢাকতে এমনভাবে সিটীং এরেঞ্জ করা হইত, যাতে বাইরে থেকে বুঝা না যায় ভিতরে কয়জন বসছে! বন্ধুদের কয়েকজন এর কাছে ছিল সেই সময়কার বিখ্যাত নকিয়া কিংবা বেনকিউ সিমেন্স মোবাইল।

মাঝে মাঝে গনি বেকারী পর্যন্ত হেটে এসে তারপর টেম্পুতে উঠে জামালখান রোডের উপর দিয়ে আজিজ স্টেডিয়াম পার হয়ে লালখান বাজার ইস্পাহানী সার্কেল এঁর সামনে নেমে, সেখানে বাস ধরে আবার নেভি হাসপাতাল গেট। তবে গনি বেকারি থেকে টেম্পু না পাওয়া গেলে শেষ ভরসা হিসেবে জামালখান রোডের পর চেরাগির পাশ দিয়ে ডিসি হিল হয়ে নিউ মার্কেট, সেখান থেকে বাস।

অই সময়টায় এফ এম রেডিও ছিল তুঙ্গে। নিউ মার্কেটের সামনে সব হকার দোকানে এফ এম রেডিও ঝুলত। রেডিও শুনার ঝোঁক ছিল না বিধায় আমি অলওয়েজ এই রেডিওগুলার দিকে তাকায় থাকতাম আর চিন্তা করতাম এইগুলা কারা কিনে! বিভিন্ন আকৃতি আর ডিজাইনে ভরপুর সেই এফএম রেডিওগুলা দেখতে দেখতে রাস্তা পার হয়ে যাইত। আর রাস্তায় রাস্তায় বাসে ঘাটে হাই ভলিউমে চলত এই গান।

আমি বাসায় থাকা অবস্থায় বাসায় ডিশ চ্যানেল ছিলনা। যখন কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে, তখন একটা ভিসিডি প্লেয়ার কিনা হইল। সেই ভিসিডি প্লেয়ার এ দেখার জন্য আব্বু মাঝে মাঝে বাংলা ছায়াছবি’র ডিস্ক ভাড়া করে আনত। সারা জীবন ক্যাসেটে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিকসঙ্গীত, পল্লিগীতি আর সাথে সোলসের কিছু গান শুনা আমি শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের গান শুনার হিড়িকে যোগ দিতে একটা সিডি কিনলাম। আমার প্রথম কেনা সিডি/এম্পিথ্রি – ইমরান হাশমি আর হিমেশ রেশমিয়া’র ৩০০ গানের কম্বিনেশন! সিডি চালু করলেই শুরু হইত এই গান দিয়ে। এত পরিমাণ এই গান শুনা হইছে, এখন এই টিউন শুনলেই মাথার মধ্যে অটোমেটিক প্রায় বিশ বছর আগের স্মৃতিগুলা হিট করে। হলি শুট! এত বছর হয়ে গেছে!


Who has the biggest brain?

by Md Imran Hasan Hira

২০০৭ সালের দিকে ক্রিস্টিয়ান সেগারস্ট্রালে নামের এক লোক প্লে-ফিস নামে একটা কোম্পানি শুরু করে। কো ফাউন্ডার হিসেবে ছিল সেবাস্টিয়ান, সামি আর সুক্রী নামের আরও তিনজন। এদের মেইন আপ্লিকেশন ছিল সোশ্যাল গেম বানানো। একবছরের মাথায় তারা ১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার এঁর ফান্ডিং পায়। এই কোম্পানির বানানো প্রথম গেম হল Who has the Biggest Brain? সেই ২০০৭ /০৮ এ ফেসবুক এর শুরুর দিকের সময়ে, মিলিয়নের উপরে ডেইলি ইউজার নিয়ে এই গেমটি টপ তালিকায় নাম লিখায়। এই রকম পপুলার অবস্থা দেখে, বছরখানে পরে ২০০৯ সালে ইলেক্ট্রনিক্স আর্টস ৪০০ মিলিয়ন ডলারে প্লেফিশ কে একূয়ার করে নেয়। তারপর যা হবার তাই হয়। ২০১৩ সালের মধ্যে প্লেফিশের সব ফাউন্ডাররা কোম্পানি ছেড়ে দেয় এবং এদের বানানোর সব গেমগুলা নামিয়ে ফেলা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে আমরা বুয়েটে ক্লাস শুরু করি। কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট পড়ি। প্রথম সেমিস্টারে আমার কম্পিউটার ছিল না। রুমমেট Tarek ভাই আর Sadik ভাইয়ার কম্পিউটারে বসে বসে সারাদিন গেম খেলি। ব্র্যাকনেটের আগের যুগ, যেটাকে আমরা রুমমেটরা প্রস্তর যুগ বলতাম, গ্যালাক্সি নেট ছিল তখন হলে। ২ কেবিপিএস স্পীড। তাও আবার শেয়ারড। স্পীড নিয়ে কোন সমস্যা হলে গ্যালাক্সি নেটের কর্নধার শীবলী ভাই এসে বলতেন “মানুষজন তো সমানে ডাউনলোড করছে, আপনাদের কি সমস্যা?” যাই হোক, এই স্পীডে ফেসবুকে ফ্লাশ গেম লোড হতে লাগে দশ মিনিট। গেমের নাম সদ্য পপুলার হওয়া Who Has the biggest Brain?

এই খেলায় চারটা ধাপ। প্রতিটা ধাপ এক মিনিট করে। প্রথম ধাপে কিছু বক্স থাকবে, যেগুলা এক নজরে দেখে বলতে হবে কয়টা বক্স আছে। দ্বিতীয় ধাপে কিছু সরল অঙ্ক থাকবে। তৃতীয় ধাপে কিছু ছবি দেখানো হবে, সেগুলার ক্রম ঠিক রেখে মনে রাখতে হবে। আর চতুর্থ ধাপে চলন্ত নাম্বার এঁর বেলুন এ ক্লিক করে ফাটাতে হবে। এঁর মধ্যে আরও দুটো মজার ধাপ ছিল যেখানে দাঁড়িপাল্লার মত করে কোন অবজেক্ট বেশি ভারী বের করতে হয় আর কার্ডের আর একটা। সব ধাপেই যত তাড়াতাড়ি সঠিক উত্তর দিবে, তত বেশি প্রশ্ন আসবে, মানে বেশী স্কোর হবে, আবার ডিফিকাল্টই লেভেলও বাড়বে।

আমি রশীদ হলের ৪০৬ নম্বর রুমে বসে গেম খেলতাম, রুমমেট অমি ছিল, সেও খেলত। অন্য হলে Ashiq Uz Zoha খেলত। আমরা সবাইই মোটামুটি এভারেজ মানের। গেমের ভিতরে র‍্যাঙ্কলিষ্ট ছিল যেখানে বাংলাদেশ কিংবা ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্ক দেখা যাইত। গেমটা এমনই আডীক্টিভ, একবার শুরু করলে কয়েক রাউন্ড না খেলে উঠা যায়না। রিসেন্ট টাইম চিন্তা করলে ফ্ল্যাপি বার্ডের মত আডীক্টিভ ছিল। যাই হোক, একদিন বিকেলে খবর পেলাম, আমাদের পাঁচ তলায় এক ভাইয়া থাকেন, নাম Alif ভাই। উনার নাকি বিগেষ্ট ব্রেইন এ চারপাশের ভিতরে হাইয়েষ্ট স্কোর। আচ্ছা ঠিক করলাম তাইলে উনার কাছ থেকে ট্রেইনিং নিব। আমি আর অমি মিলে উনার রুমে গিয়ে বললাম ভাই গেমপ্লে দেখব। তারপর আলিফ ভাই যেই খেলা দিল, বিশ্বাস করবেন না রাসেল ভাই, উনার রুম থেকে ফিরে আমি আগের থেকে মিনিমাম ২০-৩০% বেশী স্কোর করা শুরু করলাম। ভাই আসলেই লিজেন্ড।

এই রকম খেলতে খেলতে ফার্ষ্ট সেমিস্টার শেষ। আমার উপরে আমার আব্বু আম্মুর অত্যন্ত শক্তপক্ত বিশ্বাস আমি ইলেক্ট্রনিক্স পাইলেই সেটা নষ্ট করি। সেকেন্ড সেমিস্টারে যখন আব্বুর মোটামুটি ভরসা হইছে আমি কম্পিউটার নষ্ট করে ফেলবনা, তখন একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার পাই। এই দিকে আবার CSE102 কোর্সে তখন গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বেইজড প্রোজেক্ট করতে হবে। এতদিন কনসোলের ব্ল্যাক স্ক্রিনে স্টার আর রম্বস প্রিন্ট করতে করতে নাকের পানি চোখের পানি একাকার, OpenGL বেসড প্রোজেক্ট কিভাবে বানাবো! বেশ কিছুদিন চিন্তা করে কোন প্রজেক্ট পাইনা। প্রজেক্ট মাথায় আছে, কিন্তু সাহস পাইনা। রুমমেট অমি সাহস দিল।

শ্রদ্ধেয় Nirjon স্যার এর বানানো iGraphics আমাদের জন্য তখন আশীর্বাদ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই প্রজেক্ট এখনও ডিপার্টেমেন্টে ইউজ হচ্ছে। প্রায়ই প্রাউড হয় যে এরকম স্যারদের ক্লাস পাইছি। স্যার তখন সবে হায়ার স্টাডি’র জন্য বাইরে যাবেন। পরে আমাদের কোর্সে Nusrat ম্যাডাম ছিলেন আমার সুপারভাইজর। গেম বানানো শেষ করে সাবমিশনের দিনের টান টান সাসপেন্স বলে বুঝানো যাবে না। গেম ঠিকমত চলবে কিনা, এইটা সবথেকে বড় টেনশন। এক রাউণ্ড পুরা খেলতে মিনিমাম ছয় সাত মিনিট সময় লাগে। তার উপর গেমে ডিফিকাল্টই লেভেল আছে। প্রথমে ভাল না করলে ডিফিকাল্ট লেভেল আসবে না, না আসলে আমি যে হাই ডিফিকাল্টই লেভেলের জন্য কষ্ট করছি, সেটা ম্যাডামকে দেখানো যাবে না। সাথে কোড দেখানোর জন্য সময় আর সেগুলা নিয়ে প্রশ্ন উত্তরের সময়। সব মিলায়ে টাইট, পার স্টুডেন্ট খুব বেশী সময় থাকবে না ম্যাডামের হাতে। এইগুলা আগে থেকে প্লান করে মজা করে গেমের মধ্যে চিটকোড দেবার অপশন রাখছি যাতে করে দ্রুত এগুলা দেখাতে পারি। প্রোজেক্ট ডেমনস্ট্রেশনের সময় ঠিকই সেই কাহিনী হল, ম্যাডামকে বাকি লেভেল গুলা যাতে দেখাতে পারি, সেজন্য চীটকোড দিতে হল। সমস্যা হল, মজা করে চীটকোড দিয়েছিলাম ম্যাডাম এর ফার্ষ্ট নাম দিয়ে, যেটা পরে চেঞ্জ করা হয়নাই। উনার সামনে যখন সেটা টাইপ করতেছি, তখন মান সম্মান যাবার উপক্রম। মান সম্মানের মাথা খেয়ে গেমের বাকি অংশ দেখালাম। এবং কোর্স শেষে ভাল নম্বর দিয়ে ম্যাডামও মন খুশি করে দিলেন।

এইগুলা ২০০৮ এর অগাস্ট থেকে অক্টোবরের কাহিনী। আজকে বহু বছর পর পুরানো ডিস্ক থেকে হঠাত করে Brain.zip ফাইল খুজে পেয়ে যখন চিন্তা করতেছি এটা ভাইরাস কিনা, তারপর মনে হল, আমি তো লিনাক্সে। যাই একটু আনজিপ করে দেখি কি আছে। খুলে দেখি ওমা! iMain.cpp । ফাইলটা ওপেন করলাম, তারপর কি আর বলব। কোডের দিকে চেয়ে থেকে তারপর কিছুক্ষণ বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করলাম। এই রকম বাজে কোড কোন মানুষ লিখতে পারে, আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। যাই হোক আবেগ সামলে রেখে, গুগল সার্চ দিলাম Windows.h এর ম্যাক বিকল্প কি? এবং যথারীতি আমার মত এই গান্ডু প্রশ্ন যারা আগেও করছে, তাদেরকে ঝাড়ি খেতে দেখে, নতুন সার্চ দিলাম Mac এর wine আছে কিনা। দেখলাম Whisky নামে একটা অ্যাপ আছে, যেটা উইন্ডোজ এর এক্সিউট্যাবল চালাতে পারবে। বেশ কিছুক্ষণ গুঁতাগুঁতি করে ১৬ বছর আগের নিজের বানানো প্রথম গেমের ইন্টারফেস আবার দেখতে পারে আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম। বউ পাশ থেকে জিজ্ঞেস করল কাহিনী কি, বললাম যে বাচ্চাকালের বানানো প্রথম গেম চালাইতে পারছি 😛 তারপর সে আগ্রহ নিয়ে কয়েক রাউণ্ড খেলল 😃

পুরো বুয়েট সময়গুলাতে ল্যাবক্লাসগুলাতেই আমার সবথেকে পছন্দের সময় কাটাইছি। কারণ হয়ত আমি ছোটবেলা থেকেই জিনিসপাতি বানাতে পছন্দ করি। আর ল্যাব ক্লাসগুলাতে এই জিনিসটা প্রাকটিস করা যায় বেশী। যদিও ভার্সিটিতে থাকতে ল্যাবের পেরা/ক্রেডিট রেশিও হাই থাকার কারনে অনেক “সমস্যা” পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ডিপার্ট্মেন্টাল প্রায় প্রতিটা ল্যাবই জীবনের সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে।

Gameplay of windows version running on Mac


Student Housing in Netherlands

by Md Imran Hasan Hira

(Original Writer: Manzurul Haque)

If you are a student and looking for housing in the Netherlands, it is always wise to start as early as possible due to the shortage of housing in the Netherlands. Here are some of the websites which are reliable:

  1. https://kamernet.nl/en (Subscription is required, very reliable, rooms available anywhere in the Netherlands)
  2. https://www.canvas-student.com/why-canvas/ (Subscription not required, very reliable, Rooms in Utrecht city only, limited rooms available every week you have to be the first to book a room)
  3. https://www.xior-booking.com/# (Subscription not required, very reliable, might need a code from your university to book most of the rooms there, please visit website for more information)
  4. The other main point is that every university has a list of websites that they refer to for student housing. Please refer to those. This will vary in respect to the University. As an University in Amsterdam will only recommend housing in Amsterdam area so the list is tailored to university region. If you just google search Housing and your university name if should lead you to a page on how you can manage a housing (E.g Housing Tilburg University)
  5. Some universities also have affiliation with some of the student housing agencies so please try to find information through your university website if they can help you book a room before you arrive to the Netherlands.
  6. Even if it’s recommended except for Kamernet don’t but subscriptions for any other websites as they are useless and they mostly display ads from Kamernet and you will just have to end up buying kamernet subscription in the end to avail the housing.
  7. I am not recommending Funda and Pararius for students, as these websites are free for all but these are not dedicated for students and you will compete with all the Dutch Nationals and International expats, so it’s better to focus in Kamernet with few competition and other student housing which only offers to students.

What is a “Formal definition of thing” and why it is important

by Md Imran Hasan Hira

This note is about alignment in term of concepts while discussing any topic.

Working in a multi-cultural company has it’s own benefit and tricky things. People come from different styles, different behaviours. One thing common among us is, we want to solve our customer’s problem. The most important part in a discussion is to be aligned on the topic that is being discussed. Being able to understand the terminologies that is being used in the discussion, really helps everyone.

It can happen that people arguing about the same thing for some time. Even if they don’t argue, but keep talking same about the same thing, that is more worse than just wasting the time. It creates miscommunication/confusion and people have to revisit the same issue after a few days or week. “Formal definition” is here to rescue.

What the heck is this “formal definition” ?

Any form of representation that can be seen/read by more than one person at the same time, can be considered as a formal definition.It can be in written form ( i.e. documentation, wiki, email etc.) or visualised form ( i.e. diagrams, flowchart… etc.). These persistent things helps people to look at together and thus tie on what each one is talking about.

  • What is the benefit of “formal definition”: It’s easy to follow up with defined terminologies. It’s kind of a quantisation. With formal definition, people can argue about the specific system, avoiding personal conflicts. Once things are quantised, we can compare among solutions, we can discard old/suboptimal stuff and explore better stuff.
  • Why waste time in explaining if we can just fix it in minutes: Well, we are developers/engineers. We can fix things quickly. But for other people or for a developer who doesn’t have the context, will spend more time in understanding what we just did in two minutes. Some situations it might take more time than making a formal definition.
  • Traps of not doing formal definition : There is a common scenario when people say “we are just building things”, “the thing is changing too much” or “it’s too early to write formal documentation”. All these phrases are valid, and we all know that premature documentation is costly to maintain. But we need to make sure we have at least high+mid level definitions from where people can start further documentation.
  • When is “formal definition” not required : Formal definition might not be required when people work alone and don’t have to explain things to others. In booking.com we don’t have much of these scenarios.

Dude, isn’t it what we call ‘documentation’ ?

It is close to documentation. It’s a marketing technique to sell similar product in new packets :p The reason why I avoided “documentation” because I think there is a different perspective. Just “documentation” isn’t helpful. Making sure audiences are aware of the documentation is also important. We need to tie terminologies with context. The part I want to emphasise is whenever we have discussions with another person, we might be thinking that the other person already knows this. But in reality it may not be. With ‘formal definition’ keeping in mind, explaining the terminologies upfront, we can improve the outcome. Or at least that’s how we keep us aligned 🙂


Java Reflection API

by Md Imran Hasan Hira

In Kona Software Lab Ltd. we arrange sessions to focus on technology trends, coding behavior, team spirit etc. We call this session as Kona Tech Adda. Today the topic was about Java reflection api.



Breadboard internal structure

by Md Imran Hasan Hira

A person asked me about how breadboard works. I think this image should be enough 🙂

Breadboard internal connections

Breadboard internal connections


Android ndk makefile – Android.mk vs Application.mk

by Md Imran Hasan Hira

Android.mk and Application.mk – these are the two important files which are used in android ndk project build lifecycle. Those who got to work with android ndk projects are better familiar with these two.

 

I first encounter with these at my office for a project. To build ndk application I needed to add necessary configurations to those files. There are two help file for Android.mk and Application.mk . The help files are located into the “NDK_ROOT/docs/ANDROID-MK.html” and “NDK_ROOT/docs/APPLICATION-MK.html” where NDK_ROOT is the directory where your ndk files are located in.

To be master on android ndk build toolchain one first need to read the two help files. Here are some highlights about what we can do with this files-

 

Application.mk file

1. APP_PROJECT_PATH – configure the c/cpp source file directory

2. APP_OPTIM – mode debug or release

3. APP_CFLAGS / APP_CPPFLAGS – settings for compiler flags

4. APP_ABI – configure machine code generation for different CPU architechture, like MIPS, x86, armeabi etc.

5. APP_STL – choose C++ runtime library, needed to configure using C++ stl classes

 

 

Android.mk file:

1. Including source files, ony by one or using regular expression to recursively choose files

2. How to include prebuilt static or shared library files ?

3. What kind of target the project will be built with, like – share library or static library or machine executable file ?

4. How to build different modules from the codebase ?

5. LOCAL_CPP_FEATURES for using rtti ( Run time type information ) and/or cpp exceptions.

6. and some other important things included in the build toolchain.

 


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress