"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013
Category Archives: What if you are the one?

আচরণগত স্বয়ংক্রিয় অংশগ্রহণ

by Md Imran Hasan Hira

– ভাই কষ্ট করে একটু লোকেশনটা অন রাখেন
– লোকেশন দিয়ে কি হবে, আমরা চৌধুরী পরিবারের লোক, আমাদের করোনা ধরেনা

সমস্যাঃ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তার সংস্পর্শে যারা যারা এসেছে, তাদের খুঁজে বের করা এবং দরকার হলে কোয়ারান্টাইন করা।

প্রযুক্তি ও আচরনগত দিক থেকে সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনাঃ

এখানে আসলে দুইটা সমস্যা –
A. ইউজারের লোকেশন ট্রাক করার প্রযুক্তি
B. মানুষজন যাতে লোকেশন ট্রাক করা বন্ধ করে না রাখে, এটা নিশ্চিত করা

#A সমাধান করা খুবই সহজ, ব্লুটুথ + জিপিএস + মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের টাওয়ার। যদিও গ্রামেগঞ্জে সবার স্মার্টফোন নাই, বা শহরে সবাই ইন্টারনেট অন করে রাখেনা, তারপরও একটা মোবাইল আপ্লিকেশন বানিয়ে এটা কাভার করা যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, #B যদি না থাকে তাহলে সামগ্রিক চেষ্টাটাই বৃথা যাবে।

#B হচ্ছে পুরাই বিহ্যাভিওরাল + কালচারাল ব্যাপার। এবং এটা সমাধান করা মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। কারন, একটা মানুষ করোনা ভাইরাস ব্যাপারটার ভয়াবহতা সব থেকে বেশী বুঝতে পারবে যখন সে নিজে/তার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হবে। এখন আক্রান্ত হবার আগে তাকে যতই বুঝাই, “ভাই কষ্ট করে একটু লোকেশনটা অন রাখেন” , সে বলবে “আমরা চৌধুরী পরিবারের লোক, আমাদের করোনা ধরেনা”

এটাই প্রব্লেম। কেউ আক্রান্ত হবার দু সপ্তাহ আগের লোকেশন ডাটা লাগবে। তার মানে একটা মানুষ করোনাতে আক্রান্ত না হলেও, তাকে কি ধরনের Reward Mechanism এ ফেললে সে নিজে থেকে এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে?

মানুষজন যাতে লোকেশন ট্রাক করা বন্ধ করে না রাখে, এটা নিশ্চিত করতে হলে কয়েক ধরনের সমাধান হতে পারে –

১। সকল মোবাইল অপারেটর টাওয়ার এর ডাটা ব্যবহার করে কে কোথায় কখন অবস্থান করছে সেটা খুঁজে বের করা এবং আক্রান্ত রোগীর সাথে ক্রস ম্যাচিং করা। ম্যাস লেভেলে, সরকারী পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে এটা সম্ভব। দুর্যোগকালীন সময়ের কথা চিন্তা করে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

২। মানুষ যাতে নিজে থেকেই লোকেশন শেয়ার দেয়, সেজন্য সচেতনতা তৈরী করা। মানুষজনকে বুঝাতে হবে যে আপ্লিকেশন এর এই ফিচারগুলো চালু করে রাখাটা তার জন্য জরুরী। এই বুঝানোর জন্য আবার কয়েকটা ফ্যাক্টর ইউজ করা যেতে পারে –
২.১ সিচুয়েশনের ভয়াবহতা পাব্লিসাইজ করা (Fear Factor)
২.২ সবাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এটা নিয়ে বলতেছে (Gaming Factor)
২.৩ অলরেডি যারা আক্রান্ত, অন্তত তাদের লোকেশন ট্রাজেক্টরির ভিজুয়ালাইজেশন ম্যাপ( Realisation Factor)

৩। ….

এইরকম আর কি কি উপায় হতে পারে ?


Why do we study “Sociology” or “Government” in Engineering undergraduate course ?

by Md Imran Hasan Hira
কোন একটা কিছু কার কাছে কি কাজে আসছে, এটা নির্ভর করে তারা কি কাজ করতেছে তার উপর। আমি আমার ব্যাপারটা বলতে পারি।
 
আমি মূলত কাজ করি Software Development নিয়ে। আপাতত যে কোম্পানিতে কাজ করছি, সেখানে আমি “মানুষের” জন্য একটা Software বানাচ্ছি। “মানুষ” শব্দটা কোটেশন করে বললাম, কারন যেই সার্ভিসগুলো আমি বানাই, সেগুলো অনেক অনেক মানুষ ব্যবহার করে। আবার যারা ব্যবহার করতেছে, তারা যাতে আরও ভালভাবে সুবিধা পায় বা যাতে আরও বেশি বেশি মানুষ এটা ব্যবহার করে, সেজন্য নতুন নতুন ফিচার বানাতে হয়। Sociology’র কিছু জ্ঞান থাকার কারনে আমার টিমের একজন User Researcher যখন আমার কাছে একটা আইডিয়া নিয়ে এসে বলে এইটা ভাল কাজ করবে, তখন আমি তার কথা সহজে বুঝতে পারি। অথবা না বুঝতে পারলেও প্রশ্ন করতে পারি।
 

Read the rest of this entry »


Just being there should be appreciated

by Md Imran Hasan Hira

আমরা অনেক সময় মুখ ফসকে বলেই ফেলিআমাদের রাজনীতিতে ভাল লোক কেউ আছে নাকি!”। ঢালাওভাবে এই কথাটা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। আমার কাছে বরং, ব্যাপারটা উল্টোই মনে হয়। 

রাজনীতি ব্যাপারটা আমার কাছে অনেকটা একটা প্রতিষ্ঠান (Organization) এর মত মনে হয়। এইটা এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যে কিনা সারা দেশকে চালাবার ক্ষমতা রাখে। এটা এমন একটা সিস্টেম, যেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমাদের দেশের সকল মানুষের জন্য কিভাবে আমাদের সম্পদ গুলো বরাদ্দ করা হবে। এবং কারা এই সিদ্দ্বান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে, সেটাও এই রাজনীতির অংশ। সুতরাং, রাজনীতি খারাপ বলে এই ধরনের বড় ব্যাপারগুলো থেকে আমরা নিজেদের আলাদা করে রাখতে পারিনা। রাখলে বরং সেটা বোকামিই হবে। অনেকটাআপনার সিদ্বান্ত আমার পছন্দ না, কিন্তু আমার আর কিছু করার নাইধরনের বোকামি। 

বর্তমান সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীরা না থাকলে এই সিস্টেমটাই চলতনা। সিস্টেম না চললে কি হত, সেটা হলফ করে কেউ বলতে পারবেনা। হয়ত এর থেকে খারাপ কিছু হইত, অথবা  ভাল কিছু হইত। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত সেইটা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান সিস্টেমটা যারা চালাচ্ছে, তাদেরকে অন্তত একটা ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। কারণ, অনেক অনেক মেধাবীরা, এই জিনিশটা নোংরা অপবাদ দিয়ে, এখানে আসতে চায়না। আর এই রকম নোংরা জিনিস জেনেও যারা এখনও এইখানে আছে, তাদের খারাপ কাজগুলো বাদে, শুধুমাত্র দায়িত্ব নেওয়ার জন্য হলেও তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

দেশ পরিচালনা করা সহজ ব্যাপার নয়। গণতন্ত্র নিয়ে একটা কথা অনেকেই বলেন “Democracy is not the right solution, but no one has implemented a better one yet”। রাজনীতি ব্যাপারটাও তেমনি যথেষ্ট জটিল। শতশত মানুষের উপর একটা সিদ্বান্ত নেওয়ার সময় অনেক চিন্তা ভাবনা করে নিতে হয়। এটা ঠিক যে বেশিরভাগ সময়, দুর্নীতির কবলে পড়ে সঠিক সিদ্বান্ত নেওয়া হয়না। এই জায়গাটাতেই অনেকের আপত্তি থাকে, কেন এই রকম একটা পদে থেকে একটা মানুষ দুর্নীতি করতে পারে! দুর্নীতি করা অবশ্যই খারাপ। সেখানে কোন দ্বিমত নেই। এখানে আমার মুল কথা হচ্ছে, কেউ যদি দুর্নীতি নাও করতে চায়, সেইটা দেখা যাবে দুর্নীতিগ্রস্থ সিস্টেমের কারণে সৎ থাকা সম্ভব হয়ে পড়েনা। এবং  দুর্ভাগ্যবশত, ঐতিহাসিক কারণে ( Historical Reason ), আমাদের  সিস্টেমটা ইতোমধ্যে দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে বসে আছে। সেকারণে, এইখানে গুটিকয়েক লোক এসে হুট করেই সব পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেনা।

এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যাবে, তাহলে কি আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবোনা ? ভুল সিদ্বান্তের প্রতিবাদ অবশ্যই জানাতে হবে। সেটা করার দুটো উপায় আছে –

  1. সিস্টেম গ্রহণ করবে এমন কোন উপায়ে চেষ্টা করা। ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হলেও আমাদের সিস্টেমে এটাই একমাত্র পদ্ধতিগত সমাধান। যেমন, কোন কাজে সাহায্য না পেয়ে কাস্টমার সার্ভিসে কল করা। অথবা বিভিন্ন অধিকার আইন অনুযায়ী মামলা করা।
  2. বিদ্রোহ করা। বিদ্রোহ সফল হলে সেটার ফল অনেক দ্রুতই আসে, কিন্তু সফল করতে যে পরিমাণ সক্রিয়ন শক্তি লাগে, সেটা সবসময় থাকে না। এই কারণে খুব কম সংখ্যক বিদ্রোহই এ পর্যন্ত সফল হয়েছে। আমাদের ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধও অনেকটা এরকম একটা সফল বিদ্রোহ।

সে যাই হোক, বিদ্রোহ করার সময়, অনেকেই বলে ফেলেন, যে অমুক পদে বসে তমুক যা ইচ্ছা তাই করছেন। আরে বাবা, অমুক পদে তো সে এমনি এমনি বসেনাই, হয় আমরাই ভোট দিয়ে তাকে বসিয়েছি, অথবা সে ফাকা মাঠে গোল দিয়েছে। মাঠ ফাকা না থাকলে হয়ত পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। তাই, এই ক্ষেত্রে মাঠ কিভাবে  ফাকা না রাখা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা খুব গুরুত্বপুর্ন।

রাজনীতি আমার কাছে একটা সেলফ ব্যালাঞ্চড সিস্টেম মনে হয়। এই ধরনের সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় ভাবেসিস্টেমকে নষ্ট করতে পারেএমন লোককে সিস্টেমের উপরে উঠতে দেয়না। অথবা, যাদেরকে উপরে উঠতে দেয়, তারা ততদিনে “সিস্টেম নষ্ট করা যাবেনা” এই ধারনায় খাপ খেয়ে নেয়। আসল কাহিনী হয়, দিনের পর দিন ধরে এই লুপ চলতে থাকে। এই লুপকে ভাঙতে হলে, আস্তে আস্তে ভাল মানুষদের সিস্টেমে ঢুকতে হবে (বিগত কয়েক বছরে এই ব্যাপারটা হচ্ছে)। অল্প অল্প করে সিস্টেমকে তৃনমূল পর্যায় থেকে বিশুদ্ধ করার এই পদ্ধতি আমাদের সিস্টেমে লম্বা সময়ে ভাল প্রভাব ফেলতে বাধ্য।


অকারণ প্রশ্ন

by Md Imran Hasan Hira

১। মানুষ অসুস্থ রোগী দেখতে যাওয়ার সময় ঘাস পাতা না কিনে ফল কেন কিনে ?
২। একজনের দোতলা একটা বাড়ি থাকার পরেও আরেকটা বাড়ি কেন বানায় ? ছেলেমেয়েদের নিজস্ব উন্নতি নিশ্চিত না করে কেন তাদের ভবিষ্যতের থাকার কথা চিন্তা করে ?
৩। দুধের মধ্যে কি খালি পুষ্টিই আছে নাকি অন্য কোন কারণে মানুষ মনে করে এইটা সেরা খাবার ?
৪। আমরা কেন ছেলে মেয়েদের বলি পড়াশুনা করে অনেক বড় হতে হবে ? অনেক বড় না হলে কি হবে ?
৫। সোনা আর হীরা দুইটাই বছরের পর বছর টিকে জানার পরেও মানুষ কেন বেশি টাকা দিয়ে হীরার আংটি কিনে ?
৬। মানুষের ভিতরে দৌড় প্রতিযোগিতা কবে থেকে শুরু হল ? কিভাবে তারা এটা চিন্তা করল যে কয়েকজন মিলে একসাথে একটা জিনিস শুরু করবে আর যে আগে শেষ করতে পারবে সেই জিতবে ? এটা কি শুধুই খেলা নাকি শক্তি পরীক্ষা নাকি অন্য কিছু ?


Collective bus service – Dillemma between Waste and Comfort

by Md Imran Hasan Hira

In Netherlands I see a lot of buses running nearly empty at mid night. Then I got this question in my mind, why? Why, why, like why ? Why do you even run this huge bus with capacity of 150 passengers, just empty?

Then I realized it’s not just about the bus running cost, it’s about the comfort of the citizen in case of their need. I think there is a very interesting concept grew in European people’s mind. I gave it a name – Collective Effort.

Let’s consider it also from operation cost. Running a bus for an hour at midnight costs x amount of money. Now, if a person need to commute at night, he might be needing a taxi if there is not public transport. And if five people are there at night in this similar need, the cost of running individual taxies are higher than running a bus. There comes the collective benefit.

There is another example. There is a insurance concept “Liability insurance”. If you participate, you pay ~2€ per month. And if there is any damage to your house or car due to wind, or other cars accidentally bumped upon your cars, you get reimbursed of the repair. So, 2€ per month is not a big deal, but it’s definitely a big help in case of accidents. The interesting part is, accident doesn’t happen often and if it happens people get benefit from the collective effort.

While I travel in the weekends in public transport, I see sometimes that cars are stuck at road, while the lane for public bus are wide open. That gives me a respect to the people that they care for public service. They grew this culture of collective thinking into their society. I hope, one day public transport in my Country will also be better than this 🙂

People in Netherlands pay high tax and also high price as commuting cost. And part of these money is used to maintain the transport companies running their service at midnight. The number of people traveling at night definitely not super high. But if people can benefit from little expense monthly, then why not?


We just can not let it go, and yet we need to go more further

by Md Imran Hasan Hira

আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষাটা আমাদেরকে একটু ভিন্নভাবে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হিসেবে আমাদের স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে সব সময়ই কিছু না কিছু থাকে। এই ব্যাপারটা খুবই ভাল। কিন্তু মাঝে মাঝে ইতিহাসের অংশ হিসেবে কে বা কারা এইটা করেছিল সেটা নিয়ে একটু মাতামাতি করা হয়। আমার মনে হয়, তার বদলে, ইতিহাসের মুল বক্তব্য হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের কারণ এবং সেখান থেকে আমাদের উন্নয়নের পথগুলো থাকা উচিত। 

এই নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে, দুইটা ব্যাপার আমার কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ন মনে হয়েছে
১। আমরা যে এত বড় একটা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি, এইটা জাতি হিসেবে আমাদের প্রত্যয়কে তুলে ধরে, এই আত্মবিশ্বাসটা ছোটদের মাঝে ছোটবেলায়ই দিয়ে দিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের বইগুলোতে এই ব্যাপারটা কিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেটা নিয়ে বিস্তারিত চিন্তা করা যেতে পারে।
২। সাথে সাথে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আর ব্যপকভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। ৩০ লক্ষ শহীদ হারানোর ক্ষত থেকে উঠে আসতে আমাদের কিরকম সময় লাগবে সেটার একটা লক্ষ্য দিয়ে দিতে পারলে ভাল হয়। অথবা অন্ততপক্ষে কেন আমাদের উঠে দাঁড়াতে এত সময় লাগছে, কোন পেশায় আমরা কতজন শ্রমিকবুদ্ধিজীবীদের হারিয়েছি, দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের যে সেটা পূরণ করতে হবে এইটা মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে।

এত কষ্ট করে অর্জন করা স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কাউকে খেলা করতে দিতে পারিনা। দেশ হিসেবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাশের দেশগুলোর তুলনায় আমরা এর মধ্যে অনেক দ্রুতগতিতে আগাচ্ছি। অন্যান্য দিকগুলোতেও আগানোর অংশ হিসেবে, সবার আগে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে এই চিন্তাভাবনা গুলো পৌঁছে দেওয়াটাই সবচেয়ে দরকারি বিষয় এখন।


আমি শুধু আমি নই, আমি মানে আমার দেশ, আমি মানে আমার পতাকা

by Md Imran Hasan Hira

সামাজিক মূল্যবোধ ব্যাপারটা আসলেই সামাজিকভাবে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে সেটা পরিবার থেকে, কারও ক্ষেত্রে স্কুল থেকে, কারও ক্ষেত্রে পরিচিত অন্যান্য মানুষ থেকে।

সাম্প্রতিক ঘটনা সমুহের ভিত্তিতে বলা যায় যে বর্তমান সময়ে মুল্যবোধ ব্যপারটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমে গেছে। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আসলে এই মূল্যবোধটা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। আমি যদি মনে করি আমার বাসা থেকে ময়লা নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিলেই আমার বাড়ি পরিষ্কার হয়ে গেল, তাহলে সেটা ভুল হবে। বরং সে ময়লাগুলো কিছুক্ষন পরে বাতাসে আবার আমার বাসাতেই হাজির হবে।

ব্যপারটা এমন না যে, ধরে কয়েকজনকে শাস্তি দিয়ে দিলাম, সমাধান হয়ে গেল। এটা একটা অস্থায়ী সমাধান। এটারও দরকার আছে। নাহলে পরাপর সময়গুলোতে এই ধরনের অঘটনের পরিমান বেড়ে যাবে। তবে সাথে সাথে লম্বা সময়ব্যাপী স্থায়ী সমাধানও দরকার। এখন না হোক ২০ বছর পরে যদি আমরা এমন একটা প্রজন্ম তৈরী করতে পারি যারা ঐ রাস্তাকেও নিজের দেশের একটা অংশ হিসেবে বিবেচনা করবে। হাটতে চলতে রাস্তার পাশে চুইংগাম ফেলতে গিয়েও আর একবার ভাববে। একটা কথা কি, আমাদের দেশের লোকগুলার সবাই যে খারাপ এটা না। বরং অনেকেই অনেক কিছু বুঝে। শিক্ষার হার (A+ এর কথা বলছিনা) আগের থেকে বেড়েছে। অনেকেই হয়ত এটার সাথে একমত হবেননা। কিন্তু আমার মনে আছে, এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে পত্রিকাগুলোতে রম্য লেখা হিসেবে চালে পাথর মিশানোর ব্যপারটা বেশ প্রচলিত ছিল। সেই জিনিসটা এখন বলতে গেলে খুবই কম। ছোটবেলায় শুনতাম রাস্তায় বের হলেই ছেলেধরা ধরে নিয়ে যাবে। সেটাও এখন খুব কমই আছে। অপরাধ যে কমে নাই হয়ে গেছে, সেটা নয়। বলা যায়, মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। আগের থেকে অনেক বেশী। আমাদের দেশের যেই মানুষগুলো রাস্তায় হাটতে গিয়ে যেখানে সেখানে কাশি-থুতু ফেলে, সেই একই মানুষগুলো বসুন্ধরা সিটি/যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে সুন্দর করে ডাস্টবিন/রেস্টরুম খুঁজে বের করে। সমস্যা নাই এটা বলব না। তবে আগে সমাধান করা যতটা কষ্টের ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক সহজ। আর সে জন্য চাই ঐ মুল্যবোধ।

যেটা বলছিলাম, বিভিন্ন অঘটনগুলোতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তার পক্ষে বা বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমান লাগে। নাহলে অনুমান বা আবেগের বশবর্তী হয়ে যে কেউ অন্যের নামে অভিযোগ করে দিলে কিছু করার থাকেনা। আর সাথে রাজনৈতিক যোগসুত্রের ব্যাপার তো আছেই। এসবের দিকে চেয়ে যদি আমরা বসে থাকি তাহলে ঠিক বিচার বা সমাধান পেতে অনেক দেরী হয়ে যাবে। আমরা হয়ত অন্য অনেকভাবে চেষ্টা করতে পারি। নতুন প্রজন্মের মাঝে মুল্যবোধের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হলে একটা উপায় হল পাঠ্যপুস্তকে এগুলোর পরিধি বাড়ানো। এই জিনিসটা আমাদের খুবই দরকার। একজন মানুষ তার আত্ম-চিন্তার বাইরে গিয়ে, সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য চিন্তা করবে, এটা মনে করতেই কত ভাল লাগে।যদিও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি ব্যাপারটা বাস্তবায়িত করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যপার, তারপরেও এটা আমাদের করতেই হবে। বেশি কিছু না, চাই একটি চিন্তা – আমি শুধু আমি নই, আমি আমার দেশের একটি অংশ। আমার চেহারায় খালি আমিই নাই, সাথে আছে একটি লাল-সবুজের পতাকা।

সাথে সাথে আরও একটি ব্যাপার যোগ করতে চাই। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে দারুন একটা ঐতিহ্য চালু হয়েছে। সেটা হচ্ছে অলিম্পিয়াড। গনিত-অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স-অলিম্পিয়াড, বায়োলজী-অলিম্পিয়াড। গত বছর থেকে শূরু হয়েছে বিজ্ঞান কনগ্রেস। এরকম বেশ কয়েকটি উদ্যোগ ইতোমধ্যে আমাদের নতুন প্রজন্মে বেশ সাড়া ফেলেছে। এগুলোর পিছনের কলাকুশলী আর স্বেচ্ছাসেবকদেরও অক্লান্ত পরিশ্রম কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা বেশ আগ্রহ নিয়েই এগুলোতে অংশগ্রহন করছে। বর্তমানে কেবল এই ধরনের জাতীয় আয়োজনগুলোই দেশের এতগুলো জেলার নতুন প্রজন্মের কাছে একসাথে পৌছাতে পেরেছে। আমরা কি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি না! এই রকম আয়োজনগুলোতে কি আমরা ১৫ মিনিট সময় মুল্যবোধের জন্য রাখতে পারি? আমি মনে করি যারা এই আয়োজনগুলোর সাথে জড়িত আছেন, তারা একটূ চিন্তা করলেই হয়ত ১৫ মিনিটের জন্য কিছু একটা ভিন্ন আইডিয়া বের করে ফেলতে পারবেন। হতে পারে কোন প্রেজেন্টেশন, হতে পারে কোন অ্যানিমেশন, হতে পারে কার্টুন বা তথ্যচিত্র। লক্ষ্য একটাই “আমি শুধু আমি নই, আমি মানে আমার দেশ” এই ব্যাপারটা ছড়িয়ে দেওয়া।

সবশেষে বলব, মুল্যবোধ জিনিসটা এমনি এমনি হয়না। এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া লাগে। আমার ভিতরে যদি সামান্যতম মূল্যবোধ থেকে থাকে, আমি বলব সেটা আমি পেয়েছি আমার পরিবার থেকে। আমার বাবা-মা’র কাছ থেকে। আমার চাচা/খালা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, তাদের কাছ থেকে। আমার স্কুল-কলেজের স্যারদের থেকে। আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে পড়া ঈশপের গল্পের বই আর নানুবাড়িতে ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে বের করা চয়নিকা বই থেকে। মোট কথায় আমরা যে পরিবেশে বড় হয়েছি, সেটাই আমাদেরকে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে। আর তাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, পরবর্তী প্রজন্মকে যেন আমাদের থেকেও ভাল একটা পরিবেশ আমরা তৈরী করে দিতে পারি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে যদি এরকম অঘটন হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের শিক্ষাদানে কোন এক জায়গায় ছোট ফুটো আছে। হয়ত সেই ফুটোর কারনেই আমরা সাম্প্রতিক অঘটনগুলো দেখতে পাচ্ছি। সামগ্রিকভাবে যদি কয়েকটা প্রজন্মের মধ্যে আমরা এই মুল্যবোধগুলো তৈরী করে ফেলতে পারি, তাহলে মনে হয় গত ৪৪ বছরে যতটূকু আগাতে পারিনি, আগামী ২০ বছরে তার থেকে দিগুন এগিয়ে যাবো।


What if there is an alien invasion ?

by Md Imran Hasan Hira

alienSuppose an alien invasion has been evoked on the earth. Some hunky punky aliens have come to the earth with their peculiar forces and started destroying peoples. The surprising fact is that they speak a language which you learned in your high school with your friends. Only you and your circle knows that language. When the captain of the alien army (named Mr. Aka Laka Tu) are informed of this fact, he attacked your house and took you to his spaceship. The spaceship looks very astounding and embellished with cutting edge equipment. You can understand that the aliens are excessively advanced than the people on earth. Actually it is for sure, otherwise earth people would have known about them far before they started this mess. Let’s get back to the alien captain. He asked you to help him about facilitating his wishes about the invasion. If Mr. Aka Laka Tu would request you to help him accomplish his goal, what would you do ? To help you let’s simplify your decision. Which one of the following thought seems most reasonable to you ?

Thought A: You love earth. You love it’s people. You love your family. You thought it would be much more patriotic to die instead of helping these beasts to continue the unbearable sufferings. You simply deny.

Though B: You accept the offer. You are thinking that using the aliens advanced technology, they will win the war. After the invasion ends, the aliens will reward you with a significantly super power for your contribution to establish the alien race on earth. On the other hand if the aliens can not win themselves, the earth would be so devastated. By this time, it would be equally hell to live on this planet than to get punished for deceiving earth people. So you take the chance of being high-ambitious with the aliens and agree with Mr. Aka Laka Tu to execute according to his plan.

Thought C: You are intelligent enough to make them understand that you are on their side. You need this one chance to get back to your race. Once you get back, you can somehow help constructing earth to fight these aliens. Whether the earth people win or not, you feel proud to stay beside of your people on their critical situation.


What if you are a high school teacher ?

by Md Imran Hasan Hira

Sometimes I think of being a high school teacher. I think about how I would share them good morals along with their class materials.

When I was in primary school, we had a subject named চারুকারু. In that subject we had to make some real life materials. Most of the times we had made something from clay. Sometimes we made different fruit (apple, Mango, Jackfruit). I remember once we were asked to make wooden swords (for the boys) and palm-leaf made hand coolers (for the girls). Those days were interesting. I learned a lot of things like how to make a soil paste, how to collect the right soil from right place, most importantly how to visualize the shape in memory and put curves to the molded soil accordingly.

However when I was in high school, we had no subject like this. There was another subject named শারীরিক শিক্ষা, where we were taught how to take different exercises, we learned about different indoor and outdoor games. It was also very exciting to get those ideas. But the thing I would like to share that we needed something like planning. I mean something that can help the student to think about the society. To improve the territory and develop the social skills to upgrade to a more better condition. The students currently studying in the high school, will be the future placeholders of different positions of a country. To continue the world advancement, to contribute to those development, these students need to be nurtured accordingly.

I would like to add some sort of thinking tasks to the syllabus of one of those high school subjects. These topics can be introduced as a class test (for 15 – 20 marks) of the corresponding subject. Here I suggest some sample topics which I would like to use as a assignment for the high school students.

  1. Design a tri-joint road
  2. Design a tetra joint road
  3. Draw a sample of a bridge parallel like hatirjhil
  4. Mark different items of a hospital and plan the hospital area
  5. Design a high school campus
  6. Analysis and comparison of personal transport / public transport / emergency transport of a mega city
  7. Mr. Present is going to deliver a speech  at your school. Plan a security force to avoid any unwanted attack.
  8. Arrange a football /cricket world cup tournament of 50 teams
  9. Plan an annual picnic of class with 50 student
  10. Plan relief distribution for flood affected people of a village
  11. Plan a one day long teachers training on a certain topic
  12. Describe marketing procedure of a new refrigerator to districts
  13. Plan how to clean a bad person from society
  14. Plan a chain shop
  15. Budget plan of setting a high school chemistry labratory

What if you are a mayor?

by Md Imran Hasan Hira

Let’s say you are a mayor of a city. You have the power to change anything. An extremely critical situation has occurred in your city. You are very worried. You have two options to choose and you decided to chose one. Before going to announce it publicly you saw on the television that some people(around 10%) from your city are protesting against the decision you are going to tell them. It is given that majority of your population do not bother with your decision.

The question is how do you measure the correctness of your decision at this point?


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress