"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013

Yet another biking day ( Schoterbos, IJMuiden )

by Md Imran Hasan Hira

আটলান্টিকের কোনা আর স্পার্ন নদীর তীর ঘেঁষে সাইকেল চালিয়ে আসলাম 🙂

ঘুরতে গেছিলাম Schoterbos, আবহাওয়া’র পুর্বাভাস অনুযায়ী ঘণ্টাখানেক পরে বৃষ্টি নাম্বার কথা। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখি আকাশ ব্যাপক পরিষ্কার। ওইখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাফিরা করে, আকাশ যেহেতু পরিষ্কার আছেই, সাইকেল নিয়ে আগালাম। তারপর Santpoort-Zuid হয়ে একটা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে লাগলাম। ওইটা আসলে Burgemeester Rijkensparkছিল। এই পার্কটার ভিতরে একটা ঘোড়ার র‍্যাঞ্চ আছে। যখন বনের ভিতরে ঢুকছিলাম, তখন বুঝিনাই, চারপাশে ঘন বনের মাঝখানে বন্য প্রাণীর ডাক শুনেই আৎকে উঠছিলাম :p বনের মধ্যে এইরকম ঘোড়ার আস্তাবল, দেখতেই সেইরকম লাগতেছিল।

এরপর Velserbeek থেকে সামনে এসে দেখি সামনে সুন্দর নীল পানিওয়ালা নদী। ব্যপক সৌন্দর্য!! সেখান থেকে ভাবলাম নদী যেতু পাইছিই, আর আশেপাশে আটলান্টিকও থাকার কথা, একটু মোহনা ঘুরেই যাই। কিন্তু মোহনা দেখতে গিয়ে বাতাসের উল্টা দিকে সাইকেলিং করতে হইছে।

ভাবছিলাম কাছেই তো কয়েক কিলো হবে, কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক ধরে প্যাডেল করেও বেশী দুর আগাতে না পেরে Heerenduinen এর দিকে চালানো শুরু করলাম। এইদিকে হালকা উঁচু পাহাড়ের পাশ দিয়ে হাইওয়ে রাস্তা চলে গেছে। সেটার পাশ দিয়ে সুন্দর হাঁটার রাস্তা আর সাইকেলের রাস্তা আছে। ওইখান দিয়ে “নীল আকাশের নিচে” গাইতে গাইতে বেশ কিছুক্ষণ চালানোর পরে Ijmuiden Aan Zee সমুদ্রে সৈকতে পৌছুলাম। মানুষজন সার্ফিং করতেছিল। ব্যপক বাতাস। ওইখানে সী-পোর্ট এর কাছে একটা লম্বা প্লাটফর্মের মত আছে, প্রায় কিলোমিটার খানেকের মত সমুদ্রের ভিতরে চলে গেছে। সেটা ধরে অনেক দুর গেলাম। তখন সূর্য পরে আসছে কেবল। গাংচিল গুলো বাতাসের বিপরীতে এমনভাবে উড়তেছে, দেখে মনে হচ্ছে থেমে থেকে রোদ পোহাচ্ছে!!

এরপর Marina Seaport IJmuiden হয়ে ভাবলাম Spaarnwoude হয়ে ফেরত যাব। ঠিক করলাম, আগেরবার তো বাতাসের উল্টা দিকে আসছি, এইবার বুঝি একটু সুবিধা পাব। কিসের কি! যাওয়ার সময় আবার উল্টা বাতাস। সারা রাস্তা দুই মিনিট প্যাডেল মেরে বিশ মিনিট ধরে জিরায়ে নিয়ে কোনমতে Golfbaan Spaarnwoude নামে একটা গলফ এরিয়ার কাছাকাছি আসছি। সকালবেলা দু মুঠো অন্ন মুখে দিয়ে বেড়িয়েছিলাম। যেই খিদা লাগছে!! কিন্তু আশেপাশে পুরাই জঙ্গল, খাবার দাবাড়ের দোকানে যাব তো দুরের কথা সারাদিন সাইকেল চালিয়ে পুরাই টাল।

Spaarndam এর ওখানে ব্রিজের উপর গিয়ে ব্যপক প্রশান্ত একটা বাতাস পেলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে, দিগন্তের দিকে তাকিয়ে টকটকে লাল আভা থেকে কিছু শক্তি সঞ্চয় করলাম, আর মনে মনে খরগোশ-কচ্ছপের গল্পের মত বলতে লাগলাম – “ঐ যে পাহাড়, গাছটাও দেখা যাচ্ছে। ওখানে আমাকে যেতেই হবে।” এরপর স্পার্ন নদীর তীর ধরে মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সাইকেল চালিয়ে (কখনো চালিয়ে, কখনো ঠেলে) Haarlem, Netherlandsপৌছুলাম। আহ! বাড়ী, মিষ্টি বাড়ী 🙂

54.6 km. Lots of calories(!) burned. Though gained nearly much multiple of them later in Almere.

Error fetching Flickr photos: XML or PCRE extensions not loaded!


বন্ধ দুয়ার

by Md Imran Hasan Hira

দুয়ার বন্ধ করে কি লাভ বল?
ভিতরে আসতে দাও।
আজ আমি আসবই, আমার জন্য কফি বানাও।
নতুন কেনা কফি মেকারটা চালু কর।
কফির ক্যাপস্যুলটা বসানো আছে তো ঠিকমত?
ওহ, ক্যাপসুল তো এখনও এসে পৌঁছায়নি।
কোনটা যেন অর্ডার দিয়েছিলে, ক্যাপুচিনো ফ্লেভার ?
আচ্ছা, কফি থাক –
আজকে না হয় অপেক্ষাই পান করব,
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হবে।
জানি, ওপাশেই দাড়িয়ে আছ তুমি,
কান পেতে শুনছ, এমনভাবে
যেন কপাটের ফাঁক দিয়ে ফু দিলে,
সুড়সুড়িটা তোমার কানেই লাগবে।
নক নক নক, শুনতে পাচ্ছনা?

কি হল, এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে!
আচ্ছা, কালকে রাতে যে ট্র্যাকটা নামিয়েছিলে,
ওটা বাজাও না। আজ বরং গান শুনব,
আর তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব, ছন্দের তালে।
এই নিস্তব্ধতার বাঁধায় আমাকে আটকে রাখতে পারবে না।
তোমার ভালবাসার টানে আমি পেরিয়ে আসব আজ,
তোমার মান ভাঙ্গাবো, দেখি
কত অভিমান তোমার মনে।
আজ দুজনে চলে যাব অনেক গভীরে,
আসছি আমি ||


What do you see?

by Md Imran Hasan Hira

When I was a kid, I had always this question, how a movie Director work? What kind of quality they have so that other people let them be directed? I don’t know the answer, but I have some assumptions. I think they understand the whole pattern of sequences. And they can relate characters expressions to those sequences. They have something in their head that tells them if every bits and pitches on the screen are as expected or not. They can see how the people looks like, how their structures, there skeletons. They understand the pattern that this boy or girl will be perfect for the character for his next movie when put in a certain angle.

How does a Mathematician works ? To answer that question, we need to find what math is ? To me, it’s a certain calculation procedure. All the equations we studied in high school, they all represents some sort of calculation. Our fellow ancestor humans found them while working with different things. People found calculating mass of a certain thing help them to trade. Calculating surface area helps them to find out how pain it is needed for a wall. There are a lot of these silly example. I think the most important thing here is to find out a specific case where calculations are needed. Then trying to find out a new formula or enhance an existing one for that calculation. I think that’s where mathematicians are good at.

Now how about artists? I was always overwhelmed by artists. Whenever I look at peoples faces, all I can see is face. Well, obviously that’s a face, but when I try to draw it in paper, I draw a circle for the face, and then some few smaller circles to represent the eyes and another hole for the mouth. But that’s limit for my stupid drawing skill. On the other hand, when an artist get to draw a face, he knows how does a face look like. He remembers all the details that a face has, how much curve do the eyebrows have, the relative distance and directions between the eyepetals, should he draw the eyeline first or later so that he can draw the eyeball borders, how much shade is there under the nose, how much smile is on the leap, and that little dimple, or even all details about it’s gloominess or enchantments. He see all these things, border by border, layer by layer.

Music composers, they feel the vibration of the tunes. They think about the chords, ups and downs of the beats. They know which sequence produces a soothing feeling and which one makes grieve, which one makes joyful feelings. They try with lots of variation on their head and come up with a several pose, try them and finally we get a nice composition.

Poets, They see the nature, they can describe to the deep details which you may have never thought of. It’s just not about nature, it can be any thing, city, human body, event. They basically describe. And to describe you need to see all those little peaks. Putting into words are easy when you get the skill of seeing details.

Magicians see where people wouldn’t see and use that as a illusion. Good magic always looks like an surprise. They remain surprised until they reveal the magic. Sometime even remain thundered after revealing that how could they miss the trick! Sometimes magicians even invent new technology as part of their magic. It’s magicians job to find out scenarios where people will not look over, finding out the blind spots.

Team Leads who works as a people manager, see how the fellow colleagues work, what is blocking them, what are they missing. What could be the possible problem that they are stuck at, did they already identified the problem, are they willing to hear it from a second mouth, would it better to directly suggest the solution or asking the right question to trigger so that the peer finds the problem themselves. That’s how team leads see.

Politicians, they see the trend in people’s need. Good politicians understands what people wants, understands what opponents might be doing, they make relations with other politicians to get the benefit. Investors see the ups ans downs of people need. The need that can be filled up by the product that will be there in future.

As a human, it’s one our greatest skills that we can see. We see different things. If you are reading this line, I give you a special thank, you’ve survived all above stupid words. Enough garbage talks, let me pose the final question, what do you actually see ?


A slice of fall color with lot’s of adventure

by Md Imran Hasan Hira

It was supposed to be a half hour cycling, then it turned out to a whole day hiking. Photocredit of the pictures that I’m in, goes to self-timer :p

একটু আশেপাশে ঘুরব বলে সাইকেল নিয়ে সকালবেলা বের হয়েছিলাম। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে পার্কে ঢুকে, পথ হারিয়ে, বন-জঙ্গল পেরিয়ে, পাহাড়-পর্বত মারিয়ে, মরুভূমি-সমুদ্র পর্যন্ত যে সারাদিন চলে যাবে ভাবিনি :p

Zuid-Kennemerland National Park জায়গাটা বেশ সুন্দর। পার্কের ভিতরে হাটা’র জন্য রাস্তা আছে, এমনকি ঘোড়ার চলার জন্য আলাদা ট্রেইলও আছে। তবে একেবারে পথ ছেড়ে বনের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া, সাইকেল নিয়ে জংগলের মধ্যে দৌড়ানো, হুট করে জঙ্গলের মধ্যে লেক এর আবির্ভাব, সাইকেল ঠেলে পাহাড়(!) পেরোনো, শিংওয়ালা হরিণের সামনে পরা, সারাদিন না খেয়ে থেকে হাঁপানো, তারপর বন থেকে বের হয়ে হঠাত করে সামনে সমুদ্র পেয়ে যাওয়া, সেখানে আইসক্রিম দিয়ে লাঞ্চ করা, ব্যাপারটা খারাপ না 🙂

 

Error fetching Flickr photos: XML or PCRE extensions not loaded!


বাগানবিলাস

by Md Imran Hasan Hira

জুবিলী স্কুলের এইটের ক্লাস। একটু পরেই অঙ্ক ক্লাস শুরু হবে। স্যার আসলে পরে ক্লাসে টু শব্দ পর্যন্ত করা যাবেনা। স্যারের নামটাও সেরকম, শীতল কানাই। নাম শীতল হলে কি হবে, হাতে যে বেত থাকে, সেটার বাড়িতে পিঠ পুড়ে যেতে সময় লাগে না। আর যেদিন বেত থাকেনা, সেদিন অবশ্য অন্যরকম শাস্তি। তেমন কিছু না, খালি কান ধরে স্কুলের গেটে ছুটির সময় দাড়িয়ে থাকতে হবে। দুনিয়ার আর কোথাও এইরকম অপমানের শাস্তি আছে কিনা কে জানে। ক্লাস এইট বলে কি মান সম্মান নাই! ফাইভ সিক্সের পোলাপানরা যাইতে যাইতে দেখবে যে কান ধরে দাড়িয়ে আছে, কি লজ্জা!

স্যার ক্লাসে ঢুকেই দেখল পিছনের বেঞ্চে শয়তান দুইটা লাফাইতেছে। নরমাল টাইম হইলে সোজা পিছনে গিয়ে বেত দিয়ে মাইর দেওয়া শুরু করত। আজকে মতি-গতি সুবিধার না। সামনের বেঞ্চে মাঝ বরাবর কবির আর রায়হান বসছিল। কষায়া থাপ্পড় দিল দুইটারে – “তোরা ক্লাসে থাকতে ক্লাসের এমন অবস্থা কেন!” ক্লাসের ফার্স্ট আর সেকেন্ড ক্যাপ্টেনকে থাপ্পড় খেতে দেখে পুরা ক্লাস তব্দা মেরে গেল।

ছুটির ঘণ্টা বাজছে। স্কুলের সবাই হুড়মুড় করে গেট দিয়ে বের হচ্ছে. আর বের হওয়ার সময় গেঁটের পাশে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের দেখে একটু করে থামতেছে। ওমা, কয়েকজনের কাঁধে দেখি ব্যাজও আছে। এইটা শীউর কানাই স্যারের কাজ, উনার হাত থেকে ক্যাপ্টেনদেরও রেহাই নাই।
: কিরে এত নড়োস কেন ?
: এইখানে মশা আছে, তোরে কামড়াইতেছে না?
: ধুর ব্যাটা, কিসের মশা! এখান থেকে যাইতে পারলে বাঁচি। আগেই কইছিলাম যে স্যাররে ডাকি, তুই ই তো আটকাইয়া দিলি।
: আমিতো মনে করছি যে থাইমা যাইব, এমনে যে হুট কইরা স্যার আইয়া পড়ব কে জানত।
: স্যার কিন্তু ওই রুম থেইকা তাকাইয়া আছে। বেশি নড়িস না, নাইলে গার্লস স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত দাঁড়াইয়া থাকন লাগব।

পায়রা নদীর পাশেই স্কুল। স্কুলের গেট দিয়ে বের হয়ে পুর্ব দিকের যে রাস্তাটা আছে ওটা ধরে কিছুদূর গিয়ে একটা ব্রিজ পার হলেই জুবিলী রোড। রায়হানদের বাড়ি ওই জায়গার কাছেই। আর কবিরদের বাসা একটু দুরে। জুবিলী রোড ধরে বেশ কিছুদুর গেলে কবরস্থান। কবরস্থানের পাশে সমতা সড়ক দিয়ে সোজা ভিতরে যাওয়ার পরে একটু ডানে মোড় নিলেই একটা পুকুর দেখা যায়, ওটার পাশেই কবিরদের বাসা। আসলে মেইন রাস্তা দিয়ে ঢুকে সোজা গেলেই কয়েকটা বাড়ি পরে।

স্কুল ছুটির পরে প্রতিদিন দুই বন্ধু জুবিলী রোড ধরে হাটতে হাটতে বাসায় যায়। যদিও আজকে মেজাজ খারাপ। তাই যাওয়ার পথে নদীর পারে ঘাসের মধ্যে দুইজনে বসে পড়ল। পাশে ইটের স্তুপ ছিল, রায়হান একটা খোয়া নিয়ে জোরে দুরে মারল, টুউউউউপ করে একটা আওয়াজ হল।
: এইটা কোন কাজ করল স্যার! শয়তানি করল ওরা, আর মাইর খাইলাম আমরা।
: স্যারের মাথা ঠিক নাই, আজকে নিউ টেনের ক্লাসেও নাকি তিনজনেরে ধরছে।
: আরে দাড়া করায়া রাখছে সেইটা তো সমস্যা না। স্কুল থেকে যাওয়ার পথে রুবি (রায়হানের ছোটবোন) দেখছে। এখন বাসায় গিয়া আম্মাকে বইলা না দিলেই হয়।
: টেনশন লইস না। ছুটির সময় এত পোলাপানের ভিড়ে দেখবি তোরে খেয়ালই করেনাই। ল যাই, এমনেই দেরী হইয়া গেছে।

বিকালের আলো পড়ে এসেছে। কবির হাটতে হাটতে মেইন রোড থেকে সমতা সড়কের গলিতে ঢুকল। মুদির দোকানের কাছাকাছি আসতেই দেখল জাকির সাহেব বেরুচ্ছেন বাসা থেকে । পাঞ্জাবী পরা, হাতে জায়নামাজ, মাগরিবের জন্য মসজিদে যাবেন মনে হচ্ছে। কবির সালাম দিল, আসসালামু আলাইকুম চাচা। কিন্তু জাকির সাহেব শুনেনাই বোধ হয়। কবির ভাবল, ধুর, সালাম দিলাম, শুনলই না। এমনেই অঙ্ক ক্লাসের পর থেকে মন খারাপ। হাটতে হাটতে কিছুদূর গিয়ে মুদির দোকান পার হয়ে ডানে মোড় নিল। এইখানেই বাড়িটা। কনট্রাক্টরের বিল্ডিং বলে এলাকার লোকজন।

বাড়ির সামনে দিয়ে প্রায় চলেই যাচ্ছিল, হঠাত করে দু পা পিছনে এসে দোতলার জানালার দিকে তাকাল। বেণু, খুব মনোযোগ দিয়ে কি যেন পড়ছে। জানালাটা অর্ধেক খোলা। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই যাওয়ার সময় কবিরকে এইখানে থামতে হচ্ছে। থামতে হয় বললে ভুল হবে, আসলে দূর থেকে জানালাটার দিকে তাকালে অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করে। কিন্তু মানুষজন কি বলে আবার, এইখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যাবেনা। কবির বাসার দিকে হাঁটা দিল, আর ভাবতে লাগল প্রতিদিন এই সময় জানালায় কি করে মেয়েটা!

কনট্রাক্টরের বাড়িটাতে কেমন জানি একটা মায়া আছে। মেইন গেটের ছাউনির পাশ দিয়ে একটা কাগজী-ফুলের ঝোপ উঠেছে। যেটার একটা ডাল দোতলায় জানালা পর্যন্ত চলে গেছে। এর ফুলগুলোও বেশ সুন্দর, গাঢ় গোলাপি রঙের। অবাক লাগে দেখতে। সারা বছরই থাকে। ভাল একটা নাম আছে এই ফুলের, বাগানবিলাস না কি যেন।


টিপ টিপ বৃষ্টি

by Md Imran Hasan Hira

আজ অফিসে সায়মা’র প্রথম দিন। সে অনেক আগের কথা। হালকা হালকা বৃষ্টি পড়তেছে। প্রথম দিনের ঝক্কি ঝামেলা শেষ করে সায়মা IPVision অফিস থেকে কেবল বের হবে। নাহ, ভুল করে আজকে ছাতাটা আনা হয়নি। সকাল বেলা তো কড়কড়ে রোদ ছিল, কে জানত এখন এইভাবে বৃষ্টি নামবে। বৃষ্টি একটু থামি থামি ভাব দেখিয়ে আবার অঝোড়ে পরতে শূরু করল।

ওয়েব টিম থেকে ইব্রাহীম আজকে একটু আগে ছুটি পেয়েছে। ভেবেছিল তারাতারি বাসায় গিয়ে কয়েকটা কাজ সেরে নিবে। লিফট দিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে সাইকেলের লক খুলতে খুলতে দেখে, বাইরে যে বৃষ্টি তাতে সাইকেলে গেলে কাকভেজা হওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। তাছাড়া গত দুইদিন ধরে একটু কাশিও আছে। ভাবল রিকশায় যাবে। সাইকেল জায়গামত রেখে গেট দিয়ে বাইরে বের হয়ে এসে একটা রিকশা দেখতে পেল। ডাক দিল “মামা যাবেন ?” ওদিক থেকে একই সময় শুনতে পেল আরেকজন বলছে “এই খালি, যাবেন?”

আরেহ, এই মেয়েটাকে তো আজকে সকালেই অফিসে দেখেছে সে। লিফটে একই সাথে উঠছিল। একটা হাই বলেছে শুধু। নতুন এসেছে বোধ হয়। জিজ্ঞেস করল
: আপনি কোথায় যাবেন?
: মালীবাগ।
: আপনার আপত্তি না থাকলে চলেন, একসাথে যাই।
: (অনেকক্ষন ধরে কোন রিকশা পাচ্ছিলনা, তাই খানিকটা চিন্তা করে) আপনার বাসা ওদিকেই নাকি?

সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী, আপনারা দেখছিলেন বর্ষার প্রথম দিন উপলক্ষে আমাদের বিশেষ প্যাকেজ নাটক – “টিপ টিপ বৃষ্টি”। নাটকের বাকি অংশ দেখবেন বিজ্ঞাপন বিরতির পর।

–x–

(দর্শকদের আকুল আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিমার্জিত প্লট)
দিপল জানালা দিয়ে দেখল যে বৃষ্টি অনেক বেশি। আজকে এমডি স্যারের সাথে একটা জরুরী মিটীং হওয়ার কথা। তাই সবাই নেমে গেলেও সে বসে আছে। হঠাত করে এমডি স্যারের পিএ এসে জানাল “আজকে মিটিং হবে না, আপনারা বাসায় যেতে পারেন। আর বাইরে তো বৃষ্টি, এমডি স্যার আপনাদের জন্য একটা মাইক্রো ব্যবস্থা করতে বলেছেন। সেটা নিচে আছে, আপনাদেরকে বাসায় পৌছিয়ে দিবে”। খুশিতে কম্পিউটার বন্ধ করে ওরা নিচে নামল, অফিসের গাড়িতে করে বাসায় যাবে বলে। একজন কলিগ আগে চলে যাওয়াতে মাইক্রোতে একটা সীট ফাকা আছে।

অফিস থেকে বের হওয়ার সময় দিপল গাড়ির ভিতর থেকে দেখল যে, আজকে ওর সার্ভার টীমে যে নতুন মেয়েটা জয়েন করছে সে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবল আরে ওর বাসা তো মালীবাগ, সকালে বলছিল। মাইক্রোর রুটেই পরছে। মেয়েটা বৃষ্টির মধ্যে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছে, ডাক দেই। সবাই একসাথে যাওয়া যাবে। দীপল বলল –

: এই সায়মা, বাসায় যাচ্ছ ?
: জ্বী ভাইয়া।
: গাড়িতে এসো, আমরা তো অই রুটেই যাব, তুমি রেলগেটে নেমে যেও।
: অনেক থ্যাঙ্কস দিপল ভাইয়া। একটু দাড়ান। আচ্ছা ভাইয়া, আপনি তাহলে রিকশা নিয়েই যান।

–x–

(টিপ টিপ বৃষ্টি – পর্ব তিন)
সাদিয়া ল্যাব ক্লাশে। সবার এক্সপেরিমেন্ট মিলে গেছে, কিন্তু স্যারের যেন কি একটা পছন্দ হয়নি, কতক্ষন ধরে সবাইকে লেকচার দিচ্ছে। ক্লাশের বাকিদের মেজাজ ব্যপক খারাপ। ক্লাশ শেষ করে দিলেই তো হয়, এক্সটেন্ড করার আর টাইম পাইলনা! সাদিয়া’র অবশ্য খারাপ লাগছে না। আজকের ল্যাবের টীচারটা বেশ হ্যান্ডসাম। কয়েকবার চোখাচোখিও হয়েছে। ও অবশ্য এমন ভাব করেছে যেন স্যারের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে।

বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভালই রোদ ছিল বলে সাইকেলটা সাথে করেই বুয়েটে এসেছিল। আজ সায়মা’র প্রথম অফিস। বিকালে একসাথে আড্ডা দেওয়ার কথা আছে। সাদিয়া ল্যাব শেষে সায়মা’র অফিসের দিকে রওয়ানা দিল। পথিমধ্যে ঝুম বৃষ্টি। কি আর করা, থেমে গেলে আবার সায়মা চলে যাবে। ভাগ্যিস ব্যাকপ্যাকে একটা রেইনকোট ছিল। সেটা গায়ে জড়িয়ে আবার সাইকেলে প্যাডেল চালালো।

আইপিভিশন কোম্পানিটা হয়েছে বেশীদিন হয়নি। কয়েক বছর মাত্র, এর মধ্যেই বেশ লোকজন রিক্রুট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ফ্লেক্সিবল অফিস আওয়ার, অফিস প্রেমাইজেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা, থাকার জন্য ডর্মিটরি – ভালই সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। গতদিন হ্যাংআউটে সায়মাই বলছিল এগুলো। সাদিয়া নিজেও অবশ্য চলে যাবে কিছুদিন পরে বিদেশে। ভাল একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিটা কনফার্ম হয়ে গেছে। পরীক্ষা শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি। বিদেশে চলে গেলে সায়মার সাথে এভাবে প্রতিদিন বিকালে সামনা সামনি বসে আড্ডা দিতে পারবেনা। সাইকেল চালাতে চালাতে এগুলো মাথায় ঘুরছিল। মনটা একটু নষ্টালজিক হয়ে গেল। ততক্ষনে অফিসের প্রায় সামনে চলে এসেছে।

–x–

বৃষ্টি কমে গেছে। ইব্রাহীম চিন্তা করল খামোখা সাইকেলটা অফিসে রেখে যাবে, তারচে ওটাতে করেই বাসায় যাওয়া যাক। এই ভেবে সে যখনই সাইকেল নিয়ে গেট দিয়ে বের হতে যাবে, আচমকা আরেকটা সাইকেল এসে গায়ের উপর পড়ল। ঘটনার আকস্মিকতায় ইব্রাহীম এবং সাদিয়া দুজনেই অবাক।
: সর‍্যি ভাইয়া, একেবারেই খেয়াল করিনি।
: তুমি নিজে ঠিক আছ তো ?
: আমার তেমন কিছু হয়নি। আপনার তো দেখি সামনের চাকা ভেঙ্গে গেছে।
: হুমম। সমস্যা নেই।
: তুমি কই যাচ্ছিলা ?
: কোথাও না। সায়মা’র সাথে দেখা করব।
: সায়মা কে ?
: আমার বান্ধবী, আজকেই জয়েন করছে আপনাদের অফিসে।
: ওহ, বুঝতে পারছি। ও তো কিছুক্ষণ আগে বাসায় চলে গেল বোধ হয়।
: কি বলেন! আমাকে বলল এখানে আসতে, এখন ভুলে গেছে!
: আচ্ছা, তুমি ফোন দিয়ে দেখ। আমি বাসায় যাই।
: আপনার বাসা কোথায় ?
: মালিবাগের চৌধুরী পাড়া।
: ওয়াও, সায়মা’র বাসাও ওইদিকে। চলেন, একসাথে যাই।
: আচ্ছা। তুমি সাইকেলে করে চলে যাও। আমার তো হেঁটে হেঁটে যাওয়া লাগবে।
: আরেহ, টেনশন নিয়েন না, এক জায়গায়ই তো যাব। হাতিরঝিল দিয়ে হেটেই চলেন।

বৃষ্টি থেমে গেছে। ওরা দুজন সাইকেল ঠেলতে ঠেলতে রওয়ানা দিল। নিকেতনের গেট পার হয়ে, হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে বেশ সুন্দর রাস্তা। বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তার পাশের সবুজ ঘাসগুলো যেন আরও বেশি সবুজ হয়ে গেছে। ইব্রাহিমের এই জায়গাটা বেশ পছন্দের। অফিস শেষ করে বিকালে এখান দিয়ে যেতে ভালই লাগে।

সাদিয়ারও যে এই ধরনের পরিবেশ ভাল লাগে না তা না। সাইকেল ভেঙ্গে দিয়েছে দেখে একটু মন খারাপ আর কি। তবে, কিছুক্ষন বাদে হাটতে হাটতে রামপুরার দিকের আকাশে হালকা করে যে রংধনুটা উকি দিচ্ছে, সেটার দিকে তাকিয়ে মনটা ভাল হয়ে যেতে সময় লাগল না।
(অসমাপ্ত)


Pursuit of Success ?

by Md Imran Hasan Hira

Try to walk straight keeping your eyes shut. After some time you will see that you got shifted or tilted a bit from the main course. Now open your eyes and correct the deviation. Then start again. We call these making balance. The balance between concentration and correction. Walking on the road with eyes closed, is the weirdest idea. Because you can not see what’s in the road, you may stumble on stones or people from opposite direction, or even you may not be in the footpath. Just like that, you can’t see precisely what’s in future of your life, what you are going to be after 10 years. You can only sense the surroundings and act upon them.

 


Bumps – The obvious part of our life

by Md Imran Hasan Hira

Have you ever watched the small three wheel cars that village children often used to play with. They collect some cycle or rickshaw bearings from repairing shop and set those wheel like bearings to some wooden board. That’s all. It is the car, those children dream of in their childhood.

Have you ever ride on any of them? They are such cranky and uncomfortable that you can feel each jolt of the road. Because the radius of the wheel is so small, it responds instantly with every ups and downs of the roads. On the other hand when you ride modern Tesla cars, or let’s say a regular Toyota car, you can hardly feel any bump. The reason is simple, you use springs between the chasis and the wheels. You sit on a comfy seat that leverage those bumps. More importantly, you make the radius of the wheel a bit more larger. This big radius wheel surface just helps to let your car ignore all those small cracks on the road.

Life is a continuous journey. Along with this journey the sky remains high and the roads are obviously long. And there are ups and downs in those long roads. If you walk with small vision, you have to response frequently with those small bumps. Where, if you target a several years long plan, you will feel that these bumps are not hitting you any more. It doesn’t mean that your sensors are getting weaker. It means, you have found the fine points, you can feel them deeply and you know which items to prioritize.

As a society we have our families with us. We are loved by our dearest ones. Most people understand this love when they have a fear of losing the attachment with their dearest ones. There are neighbours, critics, evils as well. They scolds on your failure, they claps when you succeed. These are part of life. The more you can tolerate your surroundings, the more wisdom you can reach yourself.

We, human being, remember our life events by milestones. He did great in High schools. She did great high schools. They did great in competitions. But if you look ten years back from now, you see that there are a lot of small events that you can not remember yourself. And when after 30 years from now, should someone else write your biography, they will search for your ingenious deeds. The milestones. They will wrap those into stories, mix some hurdles and represent to the world as you ingeniously handled all of them. The awesome heroes who really did brilliant works, had definitely failed in their work, but they ignored their failures, went more deeper to the fine details. The catch is, if you look far, the mole like events doesn’t turn out your course. It helps to focus on larger achievements.

Pray for the best, accept what happens and then make the best out of it. Sail yourself for the important things that you want in your life. Let anything else not change your course. Happy sailing 🙂


দুষ্টুর হাড্ডি

by Md Imran Hasan Hira

: বাবা, কি কর?
: এইতো আম্মু, কাজ করছি।
: জানো, স্কুলে স্যার আজকে একটা নতুন হোমওয়ার্ক দিয়েছে।
: কি?
: স্যার বলেছে যে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে বিদেশী বন্ধুর কাছে চিঠি লিখতে হবে।
: তাই নাকি! তোমার আবার বিদেশী বন্ধু হল কবে?
: এখনও হয়নি, চিঠি লিখলে পরে হবে।
: হা হা, তা তোমার জীবনের লক্ষ্য কি?
: সেটা নিয়েই তো চিন্তায় আছি
: তুমি কি ডাক্তার হতে চাও?
: সবাইই তো ডাক্তার হতে চায়। জিনিয়া বলছে সে ডাক্তার হবে। অন্তরাও।
: কেন, ডাক্তার ছাড়া কি আর কিছু হবার নেই? ডাক্তারই হতে হবে কেন? তুমি কি মীনা কার্টুনের মত সিনেমার নায়িকা হতে চাও?
: উহু, না
: কেন নায়িকা হওয়া তো ভাল। তোমাকে টিভিতে দেখাবে। বিলবোর্ডগুলাতে তোমার ছবি থাকবে। তোমাকে কত লোক চিনবে smile emoticon
: তুমি না সেদিন বললে যে নতুন জামাটাতে আমাকে একেবারে প্রিন্সেস এর মত লাগছে। তাহলে আবার নতুন করে নায়িকা হব কেন!
: তাহলে এক কাজ কর, তুমি জার্নালিস্ট হও।
: অইযে টিভিতে সাংবাদিক আছে, ওদের কথা বলছ? খবর নেওয়ার জন্য ক্যামেরা হাতে দৌড়ে বেড়ায়।
: হ্যা, কত কত জায়গায় যায়। তুমি না অনেক ঘুরতে যেতে চাও, সাংবাদিক হলে সারাদিন ঘুরে বেড়াবা।
: উমমম
: কি পছন্দ হলনা? তাহলে তুমি প্রধানমন্ত্রী হও।
: প্রধানমন্ত্রী! সেতো অনেক বড় মানুষ। আমি পারব না।
: পারবেনা কেন ? এইটা তো সোজা, তোমাকে অবশ্য অনেক মানুষের সাথে মিশতে হবে, কথা বলতে হবে। ওদের ভাল মন্দ বুঝতে হবে। কোথায় কিভাবে কি করলে সবাই মিলে ভাল একটা কাজ করা যায় সেটা ভাবতে হবে।
: থামোতো, সেই কতক্ষন ধরে কি কি সব বলেই যাচ্ছ। হোমওয়ার্কে এগুলো কিভাবে লিখব!
: আচ্ছা, আগে একটা ঠিক করে ফেল, তারপরেরটুকু দুজন মিলে বের করে ফেলব।
: নাহ একটাও ভাল লাগছে না। মানে কি লিখব সেটাই তো বুঝতেছিনা।
: তুমি আগে দেখ কোনটা তোমার ভাল লাগতেছে। নিচতলার শান্তা কি লিখেছে ?
: স্কুল থেকে আসার সময় জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলতেছিল ও নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবে।
: (পাশের রুম থেকে হোম মিনিষ্টারের হুঙ্কার) হাহ! তোমার আর ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে না। বাসায় এক ইঞ্জিনিয়ার নিয়েই পারিনা, আরেকজন আসলে তো কথাই নেই। দেখা যাবে বাবার মত মেয়েও সারাদিন কম্পুটার নিয়ে পরে থাকবে।
: আহা, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ভাল তো। ওরা যদি ভাল ভাল বাড়ি গাড়ি না বানাত তাহলে থাকতে কোথায়, চড়তে কি! আর সব ইঞ্জিনিয়ার তো কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে না। সে যাই হোক, আম্মু তুমিতো বিজ্ঞানীও হতে পার। নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করবে। সারা বিশ্বের মানুষ সেটা জানবে, কত্ত বড় হতে পারবে!
: আচ্ছা বাবা, সবাই বলে পড়াশুনা করে অনেক বড় হতে হবে। বড় হয়ে আসলে কি হবে ?
: বড় হয়ে অনেক বড় চাকরি করবে, ভাল জায়গায় থাকবে, আরাম আয়েশ করবে।
: আরাম আয়েশ করে কি হবে?
: আরামে থাকলে তুমি আরও বেশি কাজ করার শক্তি পাবে।
: সেটাতো বুঝলাম। কিন্তু এত এত কাজ করে হবে টা কি আসলে!
: তুমি কাজ করলে সেটা মানুষের অনেক উপকারে আসবে। সবাই মিলে তখন পৃথিবীটাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
: পৃথিবী এগিয়ে গেলে কি হবে ?
: পৃথিবী এগিয়ে গেলে… ইয়ে, দেখতো আম্মু অই রুমে কি করছে… আমি খুঁজে বের করি পৃথিবী এগিয়ে গেলে কি হয়।
: বাবা তুমি না! কিছু না পারলে সবসময় এইরকম ইয়ে ইয়ে কর…


Power of SCRUM

by Md Imran Hasan Hira

Few months ago I heard about SCRUM. It’s an iterative and incremental agile software development methodology for managing product development. In our office, we got four Certified SCRUM Master. I have been fortunate enough to have such kind of open environment in my current workplace. It’s not about how many of them we have, I am saying about the practices that we try to follow. Those CSM’s have already been started to implement SCRUM in their teams. They are doing great. They also gave a half day briefing to us about SCRUM processes, it’s roles, dos and donts etc.

Since then my team was continuously trying to implement SCRUM in our team. But we failed to incorporate upto the standards, rather what we got, is actually called ScrumBut by definition. We don’t mind. We are trying and we will get success. At least we know about the ScrumBut effect. Despite of all these, what amuses me most are –

1. Scrum  doesn’t support Micro Management! – It’s a myth. It’s not true. Scrum highly emphasize on Micro Management. Please continue to read the rest of this paragraph. One need to manage herself at micro level to get the best out of her. It’s kind of human nature. Scrum facilitates this. Scrum says all the micro management will solely be kept inside the team. This micro management data can not be visible to anyone outside of the team, even not to the Product Owner. Otherwise the idea behind self-micro-motivation will be failed.

2. Who will play the scrum cards ? And when ?

3. Our storypoint calibrations are not converging! What to do ?

4. Can we say “Difficulty Level” instead of story point ?

 

 

Wait, I’ll keep you guys updated later. I got the idea just now, I though to write something about it so I can remember it later. I promise, I’ll come back with the rest of my thoughts.


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress