"We human being, always find a solution, maybe not today, but if you really want to solve a problem, there’s always a way" – Ma Yun @ Stanford, 2013
Tag Archives: পাগলামি

আজ আফসানা’র ফ্লাইট

by Md Imran Hasan Hira

গুরাহ রাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। খুব একটা বেশী বড় না। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এর বিমান সাই সাই করে উড়িয়ে নিয়ে চলে আসছে। অনেকটা হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাসের মত। জাভা সাগরের উপর দিয়ে আসার সময় অনেক গুড়ি গুড়ি নৌকা চোখে পরছে। বিমান নামার আগে পাইলট এর কথামত কোমড়ের দড়ি(!) শক্ত করে বেধে নিয়েছিল আফসানা। ল্যান্ড করার পর সেটা আলগা করে নিল। নামার আগে চেক করে নিল পাসপোর্ট সাথে আছে কিনা। এখন প্রথমেই যে কাজ করতে হবে, ডলার ভাঙ্গিয়ে রুপিয়াহ বানাতে হবে। এয়ারপোর্ট এর ভিতরে একটা মানি এক্সচেঞ্জ আছে। কিন্তু ওইটাতে যে পরিমান ভিড়, তাতে সারাদিন লাগবে মনে হচ্ছে। আস্তে আস্তে এক্সিট দিয়ে বের হয়ে বাইরে আর একটা এক্সচেঞ্জ খুঁজে বের করল। এখানকার কারেন্সির যা অবস্থা, মানি এক্সচেঞ্জ করে তো সে প্রায় কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল।  

দেনপাসা শহরটা বেশ বড়ই। কি অদ্ভুত একটা নাম, শহরের নাম কেউ এমন দেয় ! দেনপাসা হচ্ছে বালির রাজধানী। ইন্দোনেশিয়ার ট্যুরিস্টিক এলাকাগুলোর মধ্যে বালি দ্বীপ একেবার টপের দিকে। জিওগ্রাফিকাল লোকেশন চিন্তা করলে এই দ্বীপের আবহাওয়া মোটামুটি মনসুন ক্লাইমেট এর মধ্যে পরে। সতের হাজার দীপের একটা দেশ, ম্যাপের উপরে ডানে বামে যেখানে তাকাই, সেখানেই খালি দ্বীপ। মনে হয় পানির মধ্যে থেকে এক গাদা ব্যাং মাথা উঁচু করে তাকিয়ে আছে। সম্ভবত বেশী বেশী ভূমিকম্প হবার কারনেই এমন হয়ে গেছে, কে জানে! 

আফসানা’র থাকার জায়গা হচ্ছে পুলম্যান রিসোর্ট। ন্যানোটেকনোলজির একটা কনফারেন্সে এসেছে ও। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে এইখানে ওদের কাজ একসেপ্ট হয়ে যাবে, ভাবতেই পারেনি। কনফারেন্স অথরিটি থেকে ও যখন কনফার্মেশন ইমেইল পেয়েছিল, কিছুক্ষণ হা করে ছিল। থিসিস সুপাভাইজরও বলল প্রেজেন্ট করে আস। এই কনফারেন্সটা প্রতিবার অনলাইনে করে। এবারই প্রথম ফিজিক্যাল ভেন্যুতে আরেঞ্জ করতেছে। সমুদ্র সৈকতের একেবারে পাশে। এয়ারপোর্ট থেকে একটা ট্যাক্সি নিয়ে রিসোর্টে চলে এসেছে সে।

তাড়াহুড়া করে কাজকর্ম গুছাতে গিয়ে ট্রিপের ব্যাপারে তেমন কোন প্লানই করতে পারেনি আফসানা। কনফারেন্স তিনদিনের। যেদিন শেষ, সেদিনই রিটার্ন করলে টিকেটেরে দাম বেশী দেখে দুইদিন পরের টিকেট নিয়েছে ও। ট্রাভেল এজেন্সি থেকে বলল দুইদিন এক্সট্রা থাকা লাগলেও, সব মিলিয়ে এটা ভাল ডিল। খারাপ হয়নাই, লাস্টের দিন এমনিতেও ওর প্রেজেন্টেশন নাই, সব মিলায়ে এক্সট্রা তিন দিন ফ্রি পাওয়া যাবে। হোটেলে পৌঁছে, ফ্রেশ হয়ে পেপারের কাজকর্মে বসে গেল। 

বিকালে হতে হতে খেয়াল করল পোস্টার প্রিন্ট করতে হবে। যতটুকু এডিট করেছে, সেটাই এখন প্রিন্ট না করালে আবার দোকান খোলা পাওয়া যাবে কিনা সেটাও একটা কথা। আশেপাশে প্রিন্ট করার জায়গা খুঁজতে গুগল ম্যাপে সার্চ দিল, কিছু দোকানের নাম দেখাচ্ছে। কোয়ালিটি কেমন হবে কে জানে। মোবাইলের ম্যাপে ও কিছুক্ষণ আশেপাসের জায়গা গুলো ব্রাউজ করে নিল, তাইলে নেট না থাকলেও ক্যাশ থেকে ম্যাপটা কাজ করবে। পেনড্রাইভে পোস্টারের ফাইলগুলা সেভ করে আফসানা বের হয়ে গেল হোটেল থেকে। 

প্রথম যে দোকানটা দেখেছিল ম্যাপে, সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর আর একটা দোকানে দেখল প্রিন্ট করা যায়। ওটাতে ঢুকল আফসানা। ঢুকতে ঢুকতে পাশ থেকে শুনল একজন বাংলায় ফোনে কথা বলতেছে, একপেশে কথা যদিও।  
– হ্যালো মামা, শুনতে পাচ্ছেন? মামা, আপনাদের বাসা নাম্বার যেন কত?
– আচ্ছা, আমি আর একবার বলি ঠিকানা, ঠিক আছে কিনা দেখেন তো।
– না মামা কিছু না, এমনেই জিজ্ঞেস করতেছি।
– জি আমি ভাল আছি, ইজতেহাদ আর ইরতিদা কেমন আছে?
– জ্বি মামা, এখন রাখি। দোয়া করবেন।

ফোনে কথা বলছিল যে, কিচ্ছুক্ষণ পর সে কাউণ্টারে এসে দুইটা পোষ্টকার্ড নিয়ে দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল যে এই দুটো বাংলাদেশে পাঠাতে কত খরচ পরবে। আফসানা একটু ওয়েট করল তার পোষ্টকার্ড পাঠানো শেষ পর্যন্ত, তারপর আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল – 
– আরেহ ভাই, আপনি বাংলাদেশী নাকি ?
– হ্যা, আপনি?
– বাংলা শুনে তো বুঝতেই পারছেন।
– হা হা, সেটা ঠিক।  
– ঘুরতে এসেছেন?
– হ্যা, আপনি?
– আমি একটা কনফারেন্সে আসছি। পোস্টার প্রিন্ট করাব, এইজন্য ভাল একটা দোকান খুজতেছি। 
– কিসের পোস্টার?
– কনফারেন্সের কাজকর্ম আর কি। 
– উড়ি বাবা! গবেষনা কাজকর্ম, সে তো অনেক কঠিন কাজ।
– কি বলেন, আমার কাছে তো এখন প্রিন্ট করানোটা আরও কঠিন কাজ মনে হচ্ছে। 
– হুম, পোস্টারের জন্য তো বড় প্রিন্টার লাগবে।
– হ্যা।
– দাঁড়ান দেখি। 
কিছুক্ষন গুগলে সার্চ দিয়ে দুইটা দোকানের সাজেশন দিল। তারপর আফসানাকে মোবাইলে দেখিয়ে দিল কিভাবে যেতে হবে।

কনফারেন্সের মেইন দুইদিন বেশ দৌড়াদৌড়ি গেছে। প্রতিদিনই হোটেলের রুমে আসতে আসতে অনেক দেরী। আর টায়ার্ড হয়ে কোনমতে ফ্রেশ হয়ে ঘুম। শেষদিন সবকিছু গুছিয়ে বিকালের আগে যা একটু সময় পাওয়া গেছে। আফসানা ভাবল বীচ থেকে ঘুরে আসবে। 

রীসোর্ট থেকে বেরিয়েই সমুদ্র সৈকত। হাটতে হাটতে লেগিয়ান বীচের ধারে এসে পড়ছে। আকাশটা বেশ পরিষ্কার থাকায় সমুদ্রের পানি নীল হয়ে গেছে। 
– আরেহ আপনি এখানে ?
– হ্যা, আমি কাছেই থাকি। 
– থাকেন মানে?
– থাকি মানে, এখানে একটা airbnb নিয়ে থাকি। 
– আপনি না ঘুরতে এসেছেন? 
– হ্যা, ঘুরতে আসছি। ঘুরতে আসলে কি থাকা যাবেনা?
– না না, তা না। কতদিন ধরে আছেন এখানে? 
– সপ্তাহখানেক হল এসেছি। মাসখানেক থাকব।
– এতদিন ধরে থাকবেন?
– আমি আসলে এখান থেকে কাজ করি। আমার জবটা রিমোট জব। এই জন্য একটু সুবিধা। 
– আচ্ছা। আপনি তো বেশ আরামে আছেন। জব করার উছিলায় ঘুরাঘুরি করতেছেন। 
– সব সময় তো ঘুরাঘুরি হয়না। আজকে কাজ করতে করতে একটা জিনিস মিলতেছিলনা, এই জন্য মাথা খালি করতে হাঁটতে বের হইছি। আপনার প্লান কি? 
– তেমন স্পেসিফিক কোন প্লান নাই। এখানে কিছুক্ষণ থাকব। তারপর উলুয়াতু মন্দিরের দিকে যাব। আপনি গেছেন নাকি?
– হ্যা, গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে। জায়গাটা সুন্দর অনেক। 
– আমিও শুনেছি এটা নিয়ে, দেখি কেমন লাগে। 
– আপনার কনফারেন্স কেমন হল? 
– ভালই হয়েছে। 
– কিছু মনে করবেন না, আপনি কোন ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতেছেন? 
– বুয়েট থেকে। 
– হা হা 
– হাসতেছেন কেন?
– আপনি কোন ব্যাচ?
– আমরা কেবল পাস করে বের হয়েছি। 
– আচ্ছা, আমি ‘০৭ ব্যচ। 
– আরেহ তাই নাকি ভাইয়া। 
– (মনে মনে) ধুর এভাবে ভাইয়া বলে ফেলল ! (অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রেখে) বাহ, এখন কি মাস্টার্স করতেছ? তুমি করে বললাম। কিছু মনে করনাই তো! 
– আরেহ না না, সমস্যা নাই, আমরা তো ছোটই। হ্যা, মাস্টার্সের লাস্ট সেমিস্টার চলতেছে। কিভাবে কিভাবে যেন পেপারটা আক্সেপ্টেড হয়ে গেল। তাই এখানে আসছি। 
– কিসের উপর পেপার ছিল?
– এইত, ন্যানোনিডল নিয়ে। আমরা আন্ডারগ্রাড এ থাকতে পার্টটাইম কাজ করেছিলাম একটা কোম্পানিতে। ওখানে কাজ করতে গিয়ে একটা টীমের সাথে পরিচয় হয়। ঢাকা ভার্সিটির একটা টিম আর বুয়েট মিলে এই রিসার্চটা করতেছে। টপিকটাতে বেশ মজা পেয়ে যাই। তারপর সেটাই মাস্টার্সের প্রোজেক্টে এ সিলেক্ট করেছিলাম।
– ভাই রে ভাই, কিভাবে পার!
– কই আর পারলাম, এত পড়ালেখা করে শেষ পর্যন্ত সুই বানাচ্ছি।
– সুইকে সুই বলে ছোট করে দেখার কিছু নাই। 
– আপনি মাষ্টার্স করছেন?
– নাহ, আমি স্বল্পশিক্ষিত মানুষ, বেশী লেখাপড়ার সুযোগ হয়নাই :p

হাটতে হাটতে ওরা লাবনী পয়েন্ট থেকে একেবারে কলাতলী বীচে চলে এসেছে। ধুর, কি বলতেছি, লেগিয়ান বীচ থেকে কুতা বীচে চলে এসেছে। 
– এই জায়গাটা দেখতে অনেকটা কলাতলী বীচের মত। 
– সেটা আবার কোন বীচ? 
– কক্সবাজারের একটা বীচ। আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন? 
– গিয়েছিলাম মনে হয় একবার। সে তো অনেক আগে। বুয়েট থেকে বের হবার পরপর মনে হয়। ও হ্যা মনে পড়েছে, কলাতলী বীচ। সবচেয়ে ময়লা বীচটা?
– তা অবশ্য ঠিক বলছেন। মানুষজন বেশী বেশী গিয়ে ময়লা করে ফেলেছে।
– এখানে সমুদ্রের ডেপথ একটু বেশী থাকার জন্য সমুদ্র সৈকত খুব একটা প্রশস্ত না। কলাতলীর ওখানে মানুষজনকে অনেক দুর পর্যন্ত যেতে দেখছি মনে হয়।
– হ্যা। এখানের বীচও তো কম ময়লা না। এর থেকে সেন্ট মারটিন এর বীচ অনেক সুন্দর। 
– সেন্ট মারটিন গিয়েছিলাম আমাদের র‍্যাগ ট্যুরে।
– তাই নাকি?
– হ্যা, সেই ট্যুর। ওই সময়টা পুর্নিমা ছিল। আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে বীচেই এক রাত পার করে দিছিলাম। আমার অবশ্য খুব বেশী কিছু মনে নাই। ব্যাচের কয়েকজন সবকিছু আরেঞ্জ করছিল দেখে আমরা বাকিরা দিব্যি আরামে ট্যুর দিছি। তখন আসলে বুঝতাম না যে ঘুরাঘুরি করতে কত মজা। 
– ঘুরাঘুরি করতে কার না ভাল লাগে! 
– ভাল লাগেনা এমন না। মানে ভার্সিটীতে থাকতে ঘুরার অনেক সময় ছিল, পোলাপান ছিল, ঘুরিনাই।
– ঘুরেননাই কেন?
– হলে বসে ঝিমাইছি। যা মিস হয়ে গেছে, গেছে। এখন সেগুলো পোষাতে হবে :p তোমাদের র‍্যাগ ট্যুর কই ছিল? 
– সেন্ট মারটিন এই। আমি অবশ্য যেতে পারিনি। 
– কেন?
– এমনেই
– এমনেই মানে! কেউ কি ইচ্ছা করে র‍্যাগ ট্যুর মিস করে নাকি!
– না, তা না।
– আরেহ ধুর, কি যে বলেন!
– র‍্যাগ ট্যুরে না গিয়ে করছ কি তাহলে?
– বসে বসে গান গাইছি। 
– কি গান?
– আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে
– সেন্ট মার্টিনে তো বন নাই। 
– কে বলেছে নাই, ছেড়া দ্বীপের ওইখানে একটু ঝোপঝাড় আছে, ওটারেই বন হিসেবে ধরেন। 
– হা হা, হইল না, সুন্দরবন গেলে না হয় বলতে পারতা।

আফসানা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল তিনটার মত বাজে। 
– আচ্ছা, আমি এখন উলুয়াতু মন্দিরের দিকে যাব। আপনি যাবেন নাকি?
– যাওয়া যায়, আমার এমনিতেও এখন কাজে মন বসবে না। তার থেকে ওখানে বসে সুর্যাস্ত দেখতে মন্দ হবে না।  

কুতা বীচ থেকে উলুয়াতু মন্দির ট্যাক্সিতে ঘন্টাখানেকের রাস্তা। একা একা গেলে ভালই খরচ পরত। দুইজন হওয়াতে মোটামুটি কমই। চারটার একটু পরে ওরা পৌঁছুল। আজকে সন্ধ্যা হবে সাড়ে ছয়টার দিকে। হাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মত সময় আছে।

ঢোকার মুখে টিকেট কাউন্টার। ট্যাক্সি ড্রাইভার টিকেট কেটে দিবে বলে টাকা নিয়ে গেল, একটু পরে আবার ফেরত আসল। কেচাক নাচ নামে একটা নাচ হবে। সেটার টিকেট আলাদা করে বিক্রি করতেছে। দেড় লাখ রুপিয়া। ওরা কিনবে কিনা জিজ্ঞেস করল।
– লাখ টাকার নাচ, দেখবা নাকি? 
– দেখা যায়। আপনি দেখবেন? 
– চল।

দুটো টিকেট কেটে ওরা মন্দিরের মধ্যে ঢুকল। মন্দির খোলা থাকে সাতটা পর্যন্ত। মন্দিরের ভিতরে হাটার রাস্তাটা পাহারের কিনার ঘেঁষে বেয়ে বেয়ে গেছে। একটা জায়গায় মোটামুটি ফাকা দেখে দাড়াল ওরা।  আকাশের রংটা হলুদ আর লালের একটা মিক্স হয়ে গেছে। ওরা যেখানে দাড়িয়েছে, সেটা একটা চুড়া। আসলে পুরো মন্দির এলাকাটাই পাহাড়ের চুড়ায়। ক্লিফ ঘেঁষে রাস্তা বানানো, অনেক খাড়া ক্লিফ। লাফ দিলে ভাল একটা দড়ি ছাড়া বাঞ্জি জাম্পিং হয়ে যাবে। ক্লিফের আশেপাশে কিছুদুর পরপর কাগজী ফুলের ঝোপ। বিকালের হলদে আলোতে আফসানাকে দেখতে অন্যরকম লাগছে। আর তার সাথে পিছন থেকে গোলাপি ফুলগুলো, সব মিলিয়ে আলাদা একটা মায়া কাজ করতেছে। কাগজী ফুল দিয়ে দুটো ঝুমকা বানিয়ে দিলে মানাবে বেশ। মনের অজান্তেই গুনগুন করে একটা সুর চলে আসল –

অই দুর পাহাড়ে, লোকালয় ছেড়ে দুরে
মন কেড়েছিল এক দুরন্ত মেয়ে সেই কবে
হিমছড়ীর বাঁকে

– গান গাচ্ছেন নাকি?
– হ্যা, অনেক বড় শিল্পী তো, প্রতিভা চেপে রাখা যাচ্ছেনা।
– দেখছেন, এই জায়গাটা দেখতে হিমছড়ির মত না?
– আরেহ তাইতো, ঠিক বলছ।
– চলেন, কেচাক এর টাইম হয়ে গেছে। আগে আগে না গেলে ভাল সীট পাওয়া যাবেনা। 

কেচাক নাচ দেখতে এইখানে অনেক লোক আসে। জিনিসটা রামায়ণের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বানানো। হনুমানের নেতৃত্বে একদল বানর থাকে। বানরের দল রাবনের সাথে যুদ্ধ করে রামকে জিতিয়ে দেয়। প্রায় শখানেকের মত পার্ফরমার। স্টেজ এ ওরা যেখানে বসেছে, সেখান থেকে দুরে তাকালে সমুদ্র। ক্লিফ এর মাথায় একটা “Door of heaven” এর স্ট্যাচু। Door of heaven হল দুইটা বড় কপাটের মত, মাঝখান দিয়ে খোলা। ইন্দোনেশিয়াতে মোটামুটি সব জায়গায়ই এইটার ছোট/বড় ভার্শন দেখা যায়। তো ওইটা বরাবর তাকালে সমুদ্রের উপর সুর্যাস্ত দেখা যাচ্ছে।

নাচের মাঝখানে কয়েকটা মশালে আগুন ধরায়ে দিল। সুর্য ডোবার পরে যখন একটু অন্ধকার হয়ে গেল তখন পুরো ব্যাপারটাতে একটা জংলী ভাব চলে আসল। আদিম যুগে মানুষজন আগুন জালায়ে চারপাশে যেমন নাচত, ওইরকম। সব মিলিয়ে সেট আপটা সুন্দর, ভাল লাগার মত। পুরো সময়টা বেশ ভালই কাটল।

মন্দির থেকে বের হয়ে, ওরা চিন্তা করছিল কোথায় খাবে। একবার চিন্তা করল উলুয়াতুর আশেপাশে কোথাও বসে খাবে। পরে মনে হল একবারে রিসোর্টের কাছে গিয়েই কোন একটা জায়গায় বসবে। একটা ট্যাক্সি করে রওয়ানা দিল কুতা বীচের দিকে। মাঝপথের রাস্তা ঢাকা চিটাগং হাইওয়ের মত, একটু চাপা আর কি। অন্ধকার হয়ে গেছে যদিও, তারপরও দুই পাশে দোকানপাটের লাইটের আলো আছে। কুতা বীচের কাছে আসতে আসতে রাস্তা ফকফকা, দেখে মনেই হচ্ছেনা রাত। অবশ্য এতক্ষণে ওরাও টের পেল পেট খিদেয় চো চো করছে। 

–x–

সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী, এতক্ষণ দেখছিলেন এ সপ্তাহের নাটক “আজ আফসানার ফ্লাইট”। আজকে এতটুকুই রইল। এখন শুরু হবে রাত দশটার সংবাদ 🙂


Give me back the original tune

by Md Imran Hasan Hira

Have you ever had this feeling, where you listened a music and then all of a sudden you can’t find the original tone in that music?

So, I was listening a music from youtube for couple of days (yeah I fall looped). But one night I had a bad sleep and in the morning when the music is playing I just can’t recognize the original tone. It’s changed. I checked the url, it looks same, checked from my browsing history, it’s the same music. But somehow I just don’t recognize it as I heard the night ago.

I tried to listen it couple of times, but every time I hear it, I find it quite different. The beats are slow, the tone jumps are different. I search in youtube with same music and they all sound different. The main difference is that the new tune (possibly it’s just my perception) has extra layer of push on every ending beat for a line. And finding it not similar to the one I heard before, gives me a feeling that someone is mocking the music.


Value of fruits

by Md Imran Hasan Hira

In my country, there is a tradition to buy fruits while seeing patients in Hospital. It became a custom and I am seeing it since my childhood.

One thing that triggered me always, why fruits? Why not regular rice / bread ? Why not cash money ? Why not vitamin/protien bar ? And I can not find any convincing answer. So I came up with a hypothesis. This note is about a stupid hypothesis.

I think People express love to their closest people. And there are several way to express love. You can express in words, like saying “Hey, I really like you” . Or it can be a little bit less in words but more in action. An example could be, working with the things that your beloved ones like. You take care of them and hence express your love via something else. That something else, could be buying a diamond ring, or it could be just saying hello every morning, it could be planning to be together for fifty years. It could be helping them in different times, being with them.

Whatever way people express their love, it becomes a tradition and whenever other people on the society sees these ways, it impact their thoughts as well. And the next time a different person thinks about showing love, they think of it. Then they also tries to do similar thing, thinking of something that is definitely different that normal, something special.

Now, the question what can be something special ? I think while human were living in the jungle, they came to know about fruits. And fruits takes longer time to get. You can not just row a seed and get a fruit immediately, at least not as of today. You gotta wait till the plants grow bigger, wait till the flowers came, pollination happens, a green fruits appears. Then wait till it ripe and you can finally pick it with joy. This waiting time makes the fruit collection more special.

Historically, the more you crave for a certain thing, the more association you make with, the more important it becomes in your life. So, that’s how fruit became a symbol of something very important. And you buy it whenever you feel like showing something special for someone in hospital.

P.S. Scientific fact: Fruit contains a lot of vitamin, minerals and fiber which are in general good for health. But these nutritions are also met by vegetables in a similar manner if not more. Fruit just got the benefit of “craving till it grows” effect. It’s very sad that, in our society, a bunch of spinach doesn’t look good as a present as much of a pack of grapes.


Summer Party and Satisfaction Function

by Md Imran Hasan Hira

It was one fine evening of June. It’s the evening for summer party. The company arranges these type of events every year, so that the employees get the opportunity of knowing each other, extend their networks and have more comfortable work environment. It’s Summer Party……yeeeeee. Everybody already left office to join the party, except two morons.

: Hey, why are you still in the office ? It’s 6:00pm already!
: I am working on something.
: Hmm, are you not going to the party ?
: Nah, I like working.
: I saw you made some commits at very early morning. And you are still here, this late. How long do you work normally ?
: Just like this. Basically, I like to work.
: Well, working is good. There is nothing to blame. I used to be workaholic too.
: What happened then ?
: Nothing much, I am still workaholic :p
: Work is fun 🙂
: Yeah, of course. However, my satisfaction function changed a bit from time to time.
: What is a satisfaction function?
: The function that drives my feeling of happiness.
: How does it work?
: Basically I updated the function. Previously, when I found out that I am missing something, I used to be unhappy.
: Ok.
: But, then I added an extra step. Whenever, I found something that I didn’t achieve, I ask myself – “Do I want that?”, if the answer is “No”, then I don’t need to be unhappy. If the answer is Yes, then I ask the same question – “Do I really want it?”.
: Interesting.
: Yeah, if the answer to the second question is again “No”, which means I don’t necessarily want that, then I’m good with my happy state. But, if the answer is again “Yes”, I ask myself the last question – “What can I do to achieve that?” . That’s how I drive my happiness function from scattered thinking to a methodological way of work steps 🙂
: That’s a nice way of thinking.
: It actually finds the sweet balance between what I can achieve and what I want to achieve. I’m not sure if it will work for everyone, but for me it is working 🙂
: ah, there is nothing wrong in trying. I might want to apply that too. Thanks for sharing.
: You are welcome. I gotta run, enjoy your work and the weekend.
: You too, enjoy the party as well.


Five word romantic novels

by Md Imran Hasan Hira

Putting some random thoughts on five word romantic novels. They go as  –

* Time passed, she became lady.
* That umbrella! You still have.
* First road, we started walking.
* Bought some roses, never delivered. (inspired from “kids shoes, never worn” )
* Campus, Adieu, Intercontinent, Facebook. Then ?
* knock knock .. .. She opens door.
* You still wear that shirt!
* Ha ha, you are funny.
* Told you, she misses you.
* Hey, what is love ? Donno.
* It looks amazing! Love it!
* Who’s there ? No one, dad.
* Those eyes! Can stare forever.
* Hello, can you give Ilsa?

 


She likes it!

by Md Imran Hasan Hira

She likes the thoughts you shared
She likes the things you cared,
She likes the colors you paired
She likes all those you dared.

She is not rude, She thinks you as dude.
She likes sea food, She is in a good mood.

She jumps into the pool,
She is so damn cool.
She is the one you call dear,
She listens all those you hear.

She travels places, where you’ve gone
She does exactly, what you’ve done.
Has she gone already mad?
Boy, you are a dumb-ass lad.

Wonder? what happened to her ?
Remember! It was a good weather.
OMG? what happened after ?
Stupid! You both were all together.

 

বিঃ দ্রঃ এই ছড়ার প্রথম দুই লাইন চিন্তা করতে করতে আজকে ঘুম থেকে উঠেছি, তাই এটার নাম দিলাম “স্বপ্নে পাওয়া ছড়া”। ভাবছি Aqua – Barbie Girl এর মত এটারও একটা মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ফেলব।


নাস্তা

by Md Imran Hasan Hira
বাংলা ছায়াছবি’র নামগুলোতে ‘নাস্তা’ বসিয়ে নিয়ে মজা করার চেষ্টা –
  •  এ নাস্তা তোমার আমার (এ রাত তোমার আমার),
  • নাস্তা ছাড়া বাচবোনা (তোমাকে ছাড়া বাচবোনা),
  • হারানো নাস্তা (হারানো সুর),
  • মনের মত নাস্তা (মনের মত বউ),
  • নাস্তা খেয়ে পরিচয় (গান গেয়ে পরিচয়),
  • টোস্ট একটি নাস্তার নাম (তিতাস একটি নদীর নাম),
  • নাস্তা নিয়ে খেলা (মন নিয়ে খেলা),
  • নাস্তা এখন প্লেটে (গোলাপি এখন ট্রেনে),
  • নাস্তা তুমি কার (সখী তুমি কার),
  • নাস্তা দে (ভাত দে)
  • নাস্তা নাই (ক্ষমা নাই),
  • সেদিন নাস্তা ছিল (সেদিন বৃষ্টি ছিল),
  • ট্রে ভরা নাস্তা (বুক ভরা ভালবাসা),
  • নাস্তার জন্য পাগল (তোমার জন্য পাগল),
  • নিশ্বাসে নাস্তা বিশ্বাসে নাস্তা (নিঃশ্বাসে তুমি বিঃশ্বাসে তুমি),
  • ছোট্ট একটু নাস্তা (ছোট্ট একটু ভালবাসা),
  • কোটি টাকার নাস্তা  (কোটি টাকার কাবিন),
  • রানী কুঠির বাকি নাস্তা (রানী কুঠির বাকি ইতিহাস) ,
  • এ চোখে শুধু নাস্তা ( এ চোখে শুধুই প্রেম),
  • নাস্তা যেখানে হৃদয় সেখানে (মন যেখানে হৃদয় সেখানে),
  • কথা দাও নাস্তা দিবে (কথা দাও সাথী হবে)
আর একটা কথা, নাস্তা নিয়ে স্বয়ং আগুণ ও গেয়ে গেছেন 
আমার নাস্তাগুলো কেন এমন নাস্তা হয়,
এ মনটা কেন বারে বারে ভেঙ্গে যায়।
প্লেটের নুডুলসগুলো কেন এত কম করে হয়,
টোস্টের স্মৃতিগুলো প্রতিরাতে আমাকে কাঁদায়,
না না না না না, না আ আ আ না না না না,
না, না না না আ আ না না।

বন্ধ দুয়ার

by Md Imran Hasan Hira

দুয়ার বন্ধ করে কি লাভ বল?
ভিতরে আসতে দাও।
আজ আমি আসবই, আমার জন্য কফি বানাও।
নতুন কেনা কফি মেকারটা চালু কর।
কফির ক্যাপস্যুলটা বসানো আছে তো ঠিকমত?
ওহ, ক্যাপসুল তো এখনও এসে পৌঁছায়নি।
কোনটা যেন অর্ডার দিয়েছিলে, ক্যাপুচিনো ফ্লেভার ?
আচ্ছা, কফি থাক –
আজকে না হয় অপেক্ষাই পান করব,
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হবে।
জানি, ওপাশেই দাড়িয়ে আছ তুমি,
কান পেতে শুনছ, এমনভাবে
যেন কপাটের ফাঁক দিয়ে ফু দিলে,
সুড়সুড়িটা তোমার কানেই লাগবে।
নক নক নক, শুনতে পাচ্ছনা?

কি হল, এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে!
আচ্ছা, কালকে রাতে যে ট্র্যাকটা নামিয়েছিলে,
ওটা বাজাও না। আজ বরং গান শুনব,
আর তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব, ছন্দের তালে।
এই নিস্তব্ধতার বাঁধায় আমাকে আটকে রাখতে পারবে না।
তোমার ভালবাসার টানে আমি পেরিয়ে আসব আজ,
তোমার মান ভাঙ্গাবো, দেখি
কত অভিমান তোমার মনে।
আজ দুজনে চলে যাব অনেক গভীরে,
আসছি আমি ||


ভেদ

by Md Imran Hasan Hira

 

ওয়াল ভেদ করে রাস্তা খুঁজে বেড়াই
মেঘ ভেদ করে সূর্য খুঁজে বেড়াই
বিল্ডিং এর দেয়াল ভেদ করে ওই ফ্ল্যাটের মেয়েকে খুজে বেড়াই
হাড়ি ভেদ করে ভাত খুঁজে বেড়াই
পুকুরের পানি ভেদ করে মাছ খুঁজে বেড়াই
হার্ডডিস্ক ভেদ করে ফাইল খুঁজে বেড়াই
শার্ট ভেদ করে প্যান্ট খুঁজে বেড়াই
ভাই এইবার থামেন , আর ভেদ কইরেন না

চিপসের প্যকেট ভেদ করে বাতাস খুজে বেড়াই
আকাশ ভেদ করে বাতাস খুঁজে বেড়াই
মেলার শত লোকের ভিড়ে তোমাকে খুঁজে বেড়াই
সাগর ভেদ করে নদীকে খুঁজে বেড়াই
পরমাণুকে ভেদ করে অণুকে খুঁজে বেড়াই
জাহাজে করে আমি ডিঙ্গি খুঁজে বেড়াই
প্লেনে চরে মাটি খুজে বেড়াই
পাঞ্জাবী পরে আমি লুঙ্গি খুঁজে বেড়াই
গোসলের পরে গামছা খুজে বেড়াই
দৌড়ানো ভেদ করে আমি হাটা খুঁজে বেড়াই
স্বপ্ন ভেদ করে আমি ঘুম খুঁজে বেড়াই
ভাত ভেদ করে চাল খুজে বেড়াই
ঘুমের মাঝে আমি উষ্ণতা খুঁজে বেড়াই
মশারী ভেদ করে আমি মশা খুঁজে বেড়াই
সোমবার ভেদ করে আমি শনিবার খুঁজে বেড়াই
উষ্ণতা ভেদ করে তোমাকে খুজে বেরাই
বসন্ত ভেদ করে আমি শীত খুঁজে বেড়াই
বর্ষা ভেদ করে শুষ্কতা খুঁজে বেড়াই
গরম ভেদ করে ঠান্ডা খুজে বেরাই
কাল চুল ভেদ করে উকুন খুঁজে বেড়াই
সৈকত ভেদ করে সাগর খুজে বেরাই
বর্ষাকে ভেদ করে আমি জলিলকে খুঁজে বেড়াই
পাহাড়ের চুড়া ভেদ করে হ্রদ খুঁজে বেড়াই
আমি দক্ষিণের জানালয় উত্তরের বাতাস খুঁজে বেড়াই
সমুদ্রের অতল গহবর ভেদ করে আগ্নেয়গিরি খুঁজে বেড়াই
হ্রদ ভেদ করে নীল সৌন্দর্য খুজে বেরাই
আমি সীমার মাঝে অসীমকে খুঁজে বেড়াই
মরুভূমি ভেদ করে গিরিখাত খুঁজে বেড়াই
আমাকে ভেদ করে তোমাকে খুজে বেরাই
মহাশুন্য ভেদ করে এন্ড্রোমিডা খুজে বেরাই
আমি ঢাকার আকাশে চট্টগ্রামের চাঁদকে খুঁজে বেড়াই
ঝোপঝাড় জঙ্গল ভেদ করে পরিচ্ছন্নতা খুঁজে বেড়াই
ব্লাকহোল ভেদ করে আমি শুভ্রতা খুঁজে বেড়াই
আমি আলু তরকারীতে পটল খুঁজে বেড়াই
প্যারাসিটামল ভেদ করে সর্দিজ্বর খুঁজে বেড়াই
গোলাপের পাপড়ি ভেদ করে আমি কাঁটা খুঁজে বেড়াই
আমি কাকের মাঝে কোকিলের সৌন্দর্য খুঁজে বেড়াই
মৌবন ভেদ করে আমি মৈমাছি খুঁজে বেড়াই
পার্সপোর্ট অফিসে আমি ভিসা খুঁজে বেড়াই
রজনীগন্ধার সুবাস ভেদ করে তোমাকে খুঁজে বেড়াই
হুমায়ন এর লেখার মাঝে আমি জাফর ইকবালকে খুঁজে বেড়াই
সাগের নীল ভেদ করে সূর্যের লাল খুজে বেরাই
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ভেদ করে কৈশোর খুঁজে বেড়াই
ভাবনার মাঝে আমি নির্ভাবনা খুঁজে বেড়াই
ব্যস্ততার মাঝে আমি নির্লিপ্ততা খুঁজে বেড়াই
বইয়ের পৃষ্ঠা ভেদ করে মলাট খুঁজে বেড়াই
রসায়ন ভেদ করে পদার্থ খুজে বেরাই
কীবোর্ড ভেদ করে আমি মাউস খুঁজে বেড়াই
আমি শালীনতাকে দূরে ঠেলে অশালীনতা খুঁজে বেড়াই
সন্ধ্যাতারা ভেদ করে তোমার সকালস্নাত চোখ খুঁজে বেড়াই
দাড়ি ভেদ করে গোফ খুজে বেরাই
তুমি আমার, তাই আমার সবকিছুতে শুধু তোমাকে খুঁজে বেড়াই
তোমাকে ভেদ করে সবকিছু খুজে বেরাই
আমি তোমার মুখে বানরের সৌন্দর্য খুঁজে বেড়াই
দিবাকে ভেদ করে কর খুজে বেরাই

মানিব্যগ ভেদ করে এটিএম কার্ড খুজে বেরাই
এটিএম কার্ড ভেদ করে টাকা খুঁজে বেড়াই
মরূ ভেদ করে দিগন্ত খুজে বেরাই
টাকার মাঝে আমি তোমার নম্বর খুঁজে বেড়াই
টাক মাথায় আমি চুল খুঁজে বেড়াই
পত্রিকা ভেদ করে পাত্রী চাই খুজে বেরাই
আমি মরুভূমিতে ঘোড়ার ডিম খুঁজে বেড়াই
টিউশনি ভেদ করে ছাত্রী খুজে বেরাই

এতক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ফল মনে হয় শূন্য…
বৃথা কষ্ট…কেউ কিছু পায়নাই…

 

 

উপরের এই প্রায় কবিতাটি, প্রখ্যাত ছড়াকার দিবাকর দাস এর নিম্নোক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাস অবলম্বনে লিখা, আর সার্বক্ষনিক সহায়তায় ছিলেন ফকির দিপল শাহ

ভালবাসি আমি স্থিতির মাঝে গতিশীলতা
ভালবাসি আমি উদাসীনতার মাঝে কঠোরতা
অন্ধকারকে ভেদ আমি করে আলো খুঁজে বেড়াই
আমার মাঝে আমি আমার স্বপ্নের পৃথিবী সাজাই


Theme by Ali Han | Copyright 2025 Md Imran Hasan Hira | Powered by WordPress